রামপুরায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল
রাজধানীর
রামপুরায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের দফায়
দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে
শিক্ষক ও বাড্ডা থানার ওসিসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর ভ্যাট বাতিলের দাবিতে আজ বুধবার দুপুরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজের উপর অবস্থান নিলে এ সংঘর্ষ হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের উপর শুধু লাঠিচার্জই নয়, গুলি বর্ষণও করেছে। তবে পুলিশ গুলি বর্ষণের কথা অস্বীকার করেছে।
সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রামপুরা প্রগতি স্মরণীতে সব ধরনের যানবাহন চলাচলা বন্ধ ছিল। এতে করে ওই এলাকা ও তার আশাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, সরকার শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র উপর প্রথমে ১০ ভাগ ও পরে সাড়ে ৭ ভাগ ভ্যাট আরোপ করেছে যা বহন করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই ফি প্রত্যহারের দাবিতে বুধবার দুপুরে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এমন সময় পুলিশ এসে বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষণ করেছে। এ সময় একজন শিক্ষকসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ভার্সিটির মেডিকেল সেন্টার ও স্থানীয় হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রথমে পুলিশের হামলায় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হলেও পরবর্তীদের ধাপে ধাপে তারা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিকেলে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে পুনরায় ব্রিজের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের শ্লোগান দিতে থাকে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিহাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, যতদিন পর্যন্ত টিউশন ফির উপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট বাতিল না হবে ততদিন পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। এছাড়া পুলিশের গুলিতে যে সব শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন ও যারা গুলি করেছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একইসাথে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে মিডিয়ার সামনে বলতে হবে ‘দুনিয়াতে সবচেয়ে বড় রাবিশ আমি’।
এদিকে হামলা ও গুলির কথা অস্বীকার করে গুলশান জোনের ডিসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘ভ্যাট বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজের উপর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলো। এতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন হওয়ায় তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তারা পুলিশের কথা না শোনায় তাদের সরিয়ে দেয়া হয়। তাদের ওপর লাঠিচার্জ কিংবা গুলি ছোড়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
রাত সাড়ে ৭টার দিকে যোগাযোগ করা হলে বাড্ডা থানার এসআই নির্মল জানান, শিক্ষার্থীরা ব্রিজের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। পুলিশ তাদের চার পাশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশের হামলার নিন্দা ছাত্রদলের
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ এক বিবৃতিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল হাসান এ প্রতিবাদ জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। এক দেশে ২ নীতি বিদ্যমান। সরকারের লোকজন ইচ্ছামত টাকা-পয়সা লুটপাট করে এখন সেই টাকা নিরীহ জনগণের পকেট থেকে উঠাতে ব্যস্ত। না হলে উচ্চশিক্ষাকে যেখানে সরকারের প্রণোদনা দেয়া উচিত, সেখানে কি করে করারোপ করা হতে পারে?
তারা বলেন, সেই অন্যায্য দাবি বাতিলে ছাত্ররা যখন অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করছে তখন তাদের উপর পুলিশের আক্রমণ, গুলিবর্ষণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই সরকারের ওপর জনরোষ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তারা প্রশাসনের লাঠির ওপর ভরসা করে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। তাই তো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করতেও দ্বিধাবোধ করছে না।
নেতৃদ্বয় ছাত্রদের ওপর এমন অমানবিক হামলার যথাযথ বিচার এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান।
অপর এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইয়াসিন আলীকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে ইয়াসিন আলীর মুক্তি দাবি করেন এবং তার নামে করা সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর ভ্যাট বাতিলের দাবিতে আজ বুধবার দুপুরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজের উপর অবস্থান নিলে এ সংঘর্ষ হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের উপর শুধু লাঠিচার্জই নয়, গুলি বর্ষণও করেছে। তবে পুলিশ গুলি বর্ষণের কথা অস্বীকার করেছে।
সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রামপুরা প্রগতি স্মরণীতে সব ধরনের যানবাহন চলাচলা বন্ধ ছিল। এতে করে ওই এলাকা ও তার আশাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, সরকার শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র উপর প্রথমে ১০ ভাগ ও পরে সাড়ে ৭ ভাগ ভ্যাট আরোপ করেছে যা বহন করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই ফি প্রত্যহারের দাবিতে বুধবার দুপুরে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন। এমন সময় পুলিশ এসে বিনা উস্কানিতে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষণ করেছে। এ সময় একজন শিক্ষকসহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ভার্সিটির মেডিকেল সেন্টার ও স্থানীয় হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রথমে পুলিশের হামলায় শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হলেও পরবর্তীদের ধাপে ধাপে তারা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। বিকেলে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে পুনরায় ব্রিজের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের শ্লোগান দিতে থাকে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিহাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, যতদিন পর্যন্ত টিউশন ফির উপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট বাতিল না হবে ততদিন পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। এছাড়া পুলিশের গুলিতে যে সব শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন ও যারা গুলি করেছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একইসাথে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে মিডিয়ার সামনে বলতে হবে ‘দুনিয়াতে সবচেয়ে বড় রাবিশ আমি’।
এদিকে হামলা ও গুলির কথা অস্বীকার করে গুলশান জোনের ডিসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘ভ্যাট বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজের উপর অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলো। এতে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন হওয়ায় তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তারা পুলিশের কথা না শোনায় তাদের সরিয়ে দেয়া হয়। তাদের ওপর লাঠিচার্জ কিংবা গুলি ছোড়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
রাত সাড়ে ৭টার দিকে যোগাযোগ করা হলে বাড্ডা থানার এসআই নির্মল জানান, শিক্ষার্থীরা ব্রিজের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। পুলিশ তাদের চার পাশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশের হামলার নিন্দা ছাত্রদলের
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ এক বিবৃতিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশিদ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আকরামুল হাসান এ প্রতিবাদ জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। এক দেশে ২ নীতি বিদ্যমান। সরকারের লোকজন ইচ্ছামত টাকা-পয়সা লুটপাট করে এখন সেই টাকা নিরীহ জনগণের পকেট থেকে উঠাতে ব্যস্ত। না হলে উচ্চশিক্ষাকে যেখানে সরকারের প্রণোদনা দেয়া উচিত, সেখানে কি করে করারোপ করা হতে পারে?
তারা বলেন, সেই অন্যায্য দাবি বাতিলে ছাত্ররা যখন অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করছে তখন তাদের উপর পুলিশের আক্রমণ, গুলিবর্ষণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই সরকারের ওপর জনরোষ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তারা প্রশাসনের লাঠির ওপর ভরসা করে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। তাই তো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করতেও দ্বিধাবোধ করছে না।
নেতৃদ্বয় ছাত্রদের ওপর এমন অমানবিক হামলার যথাযথ বিচার এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান।
অপর এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইয়াসিন আলীকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে ইয়াসিন আলীর মুক্তি দাবি করেন এবং তার নামে করা সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
No comments