দাবি আদায়ে এবারও সফল হবো -মানববন্ধনে ড. কামাল
গণফোরাম
সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জনগণের দাবি আদায়ের আন্দোলনে প্রত্যেকবার
সফল হয়েছি। এবারো ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস
ক্লাবের সামনে ভোটের অধিকারের দাবিতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার এক মানববন্ধনে
সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ড. কামাল বলেন, আজকের এই মানববন্ধনে
আপনাদের উপস্থিতি প্রমাণ করছে জনগণ হারে হারে টের পাচ্ছে বাংলাদেশে একটি
নিরপেক্ষ নির্বাচনের কত প্রয়োজন। এই নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আন্দোলনের
মাধ্যমে আদায় করতে হবে। গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করতে
হবে। কারণ জনগণের মূল্যবান কোনো দাবি আদায় করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হয়।
ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করতে হয়।
প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, আমরা কতগুলো ব্যাপারে পরীক্ষা করে দেখেছি।
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬ দফা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সব জায়গাতে আমরা সফল হয়েছি। যেটাকে অসম্ভব মনে করা হতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেটাকে সম্ভব করা হয়েছে। অতীতে প্রত্যেকবার আমরা আন্দোলনে সফল হয়েছি। এবারো ইনশাআল্লাহ সফল হব। সফল হয়ে আমরা দেশে সরকার গঠন করবো এবং তা হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আমরা চাই জনগণের মালিকানা এ দেশে প্রতিষ্ঠা হোক। এটা অসম্ভব কিছু না। আমাদের সংবিধানে লেখা আছে বাংলাদেশের মালিক জনগণ। সেই মালিকের ভূমিকা আপনাদের রাখতে হবে। মালিক হয়ে অসহায় বোধ করলে চলবে না। মালিকানা ভোগ করতে হলে মালিকের ভূমিকা রাখতে হবে। আর এই ভূমিকা রাখার জন্যই আজ আমাদের এই আন্দোলন। এই আন্দোলনে সফল হওয়ার জন্য নারী পুরুষ সবাই মিলে ঐক্য তৈরি করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা যদি জনগণের হাতে না থাকে তাহলে পাইকারি হারে লুট হয়। আজকে দেশে সেই কাজটাই হচ্ছে। দেশে লুটপাট হচ্ছে।
এই লুটপাটের টাকা যাচ্ছে বিদেশে। এটা জনগণ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে। তাই আমরা যেখানে যাই, সাড়া পাই। আজকে আপনাদের উপস্থিতি আমাদের আশ্বাস দিচ্ছে ১৬ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবর্তন আনবে। সেই পরবির্তনের কারণে আমরা সামনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখছি। কারণ বৈধভাবে সরকারে আসতে হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমরা জনগণের ঐক্য প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের এই আন্দোলন অব্যশই সফল হবে।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭ দফা দাবির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছি। রাজবন্দিদের মুক্ত করতে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত রাজনৈতিক মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। নতুন কোনো মামলা করা যাবে না। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। হয়েছে উল্টোটা। কাউকে মুক্ত তো করা হয়নি বরং হাজার হাজার নতুন গায়েবি মামলা করা হয়েছে। এই কারণে আজকে আমাদের আন্দোলনকে আরো তীব্র করতে হবে। ১৬ কোটি মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রমাণ করতে হবে এই দেশটা আমাদের সবার। এই দেশ কোনো ব্যক্তি, দল বা কোনো পরিবারের নয়। আমরা যদি সবাই মিলে দাবি রাখি অতীতে যেমন আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সফল হয়েছি এবারো সফল হব।
তাহলে জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরে আসবে। তিনি বলেন, আমাদের যে সম্ভাবনা আছে সেটা কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্ন অবশ্যই পূরণ করতে হবে। জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে আমরা তা প্রতিষ্ঠা করবো। কোনো স্বৈরাচার আমাদেরকে বঞ্চিত করতে পারবে না। আসুন, ঐক্যের শক্তি নিয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি। জাতীয় ঐক্যের সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন বলেন, আমার দেশের সোনালী ব্যাংক, শেয়ার বাজারসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে শহীদদের চেতনা বাস্তবে রূপ দেই। এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করি।
ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, বর্তমানে দেশ চলছে একটি বিনা ভোটের সরকারের মাধ্যমে। ‘আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব’ এই নীতির মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় আসে তখন। কিন্তু এখন মানুষের সেই অধিকারটুকু তারা কেড়ে নিয়েছে। ১৫১ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। জনগণকে ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়নি। সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে বাংলার মানুষ আপনাদেরকে চায় না।
মানববন্ধনে প্রায় হাজার খানেক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে। বিকাল ৪টার আগে থেকেই ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। বিকাল ৪টার পরে জাতীয় ঐক্যের সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিনের সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে মানববন্ধন শুরু হয়। ৫টার পর ড. কামাল হোসেন মানববন্ধনে যোগ দেন। এরপর মোস্তাফা আমিন ড. কামাল হোসেনের ওপর মানববন্ধনে সভাপতিত্বের দায়িত্ব অর্পণ করেন।
মনববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন- ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ফাহিম উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, ভাষানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিদ্দিকুর ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, লেবার পার্টি (একাংশ) এর সাধারণ সম্পাদক হামদুল্লাহ আল মেহেদী, গণতান্ত্রিক দল সভাপতি সামছুল আলম চৌধুরী, গণদল সভাপতি এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ।
প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, আমরা কতগুলো ব্যাপারে পরীক্ষা করে দেখেছি।
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬ দফা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সব জায়গাতে আমরা সফল হয়েছি। যেটাকে অসম্ভব মনে করা হতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেটাকে সম্ভব করা হয়েছে। অতীতে প্রত্যেকবার আমরা আন্দোলনে সফল হয়েছি। এবারো ইনশাআল্লাহ সফল হব। সফল হয়ে আমরা দেশে সরকার গঠন করবো এবং তা হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, আমরা চাই জনগণের মালিকানা এ দেশে প্রতিষ্ঠা হোক। এটা অসম্ভব কিছু না। আমাদের সংবিধানে লেখা আছে বাংলাদেশের মালিক জনগণ। সেই মালিকের ভূমিকা আপনাদের রাখতে হবে। মালিক হয়ে অসহায় বোধ করলে চলবে না। মালিকানা ভোগ করতে হলে মালিকের ভূমিকা রাখতে হবে। আর এই ভূমিকা রাখার জন্যই আজ আমাদের এই আন্দোলন। এই আন্দোলনে সফল হওয়ার জন্য নারী পুরুষ সবাই মিলে ঐক্য তৈরি করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা যদি জনগণের হাতে না থাকে তাহলে পাইকারি হারে লুট হয়। আজকে দেশে সেই কাজটাই হচ্ছে। দেশে লুটপাট হচ্ছে।
এই লুটপাটের টাকা যাচ্ছে বিদেশে। এটা জনগণ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছে। তাই আমরা যেখানে যাই, সাড়া পাই। আজকে আপনাদের উপস্থিতি আমাদের আশ্বাস দিচ্ছে ১৬ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিবর্তন আনবে। সেই পরবির্তনের কারণে আমরা সামনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখছি। কারণ বৈধভাবে সরকারে আসতে হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমরা জনগণের ঐক্য প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের এই আন্দোলন অব্যশই সফল হবে।
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭ দফা দাবির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছি। রাজবন্দিদের মুক্ত করতে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত রাজনৈতিক মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। নতুন কোনো মামলা করা যাবে না। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। হয়েছে উল্টোটা। কাউকে মুক্ত তো করা হয়নি বরং হাজার হাজার নতুন গায়েবি মামলা করা হয়েছে। এই কারণে আজকে আমাদের আন্দোলনকে আরো তীব্র করতে হবে। ১৬ কোটি মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রমাণ করতে হবে এই দেশটা আমাদের সবার। এই দেশ কোনো ব্যক্তি, দল বা কোনো পরিবারের নয়। আমরা যদি সবাই মিলে দাবি রাখি অতীতে যেমন আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সফল হয়েছি এবারো সফল হব।
তাহলে জনগণের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরে আসবে। তিনি বলেন, আমাদের যে সম্ভাবনা আছে সেটা কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতার স্বপ্ন অবশ্যই পূরণ করতে হবে। জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে আমরা তা প্রতিষ্ঠা করবো। কোনো স্বৈরাচার আমাদেরকে বঞ্চিত করতে পারবে না। আসুন, ঐক্যের শক্তি নিয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি। জাতীয় ঐক্যের সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন বলেন, আমার দেশের সোনালী ব্যাংক, শেয়ার বাজারসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে শহীদদের চেতনা বাস্তবে রূপ দেই। এই সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করি।
ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, বর্তমানে দেশ চলছে একটি বিনা ভোটের সরকারের মাধ্যমে। ‘আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব’ এই নীতির মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় আসে তখন। কিন্তু এখন মানুষের সেই অধিকারটুকু তারা কেড়ে নিয়েছে। ১৫১ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে। জনগণকে ভোট দেয়ার সুযোগ দেয়নি। সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে বাংলার মানুষ আপনাদেরকে চায় না।
মানববন্ধনে প্রায় হাজার খানেক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটে। বিকাল ৪টার আগে থেকেই ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। বিকাল ৪টার পরে জাতীয় ঐক্যের সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিনের সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে মানববন্ধন শুরু হয়। ৫টার পর ড. কামাল হোসেন মানববন্ধনে যোগ দেন। এরপর মোস্তাফা আমিন ড. কামাল হোসেনের ওপর মানববন্ধনে সভাপতিত্বের দায়িত্ব অর্পণ করেন।
মনববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন- ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ফাহিম উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, ভাষানী ফাউন্ডেশনের সভাপতি সিদ্দিকুর ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, লেবার পার্টি (একাংশ) এর সাধারণ সম্পাদক হামদুল্লাহ আল মেহেদী, গণতান্ত্রিক দল সভাপতি সামছুল আলম চৌধুরী, গণদল সভাপতি এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ।
No comments