শেষ বেলায় ‘সংরক্ষিত কোটায়’ প্লট বরাদ্দের হিড়িক by দীন ইসলাম
সরকারের
দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বেলায় ‘সংরক্ষিত কোটায়’ প্লট বরাদ্দের হিড়িক লেগেছে।
গত কয়েক মাসে রাজউকের পূর্বাচল, উত্তরা তৃতীয় পর্যায় ও ঝিলমিল প্রকল্পে
বিভিন্ন আয়তনের প্রায় দুই শতাধিক প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিছু অখ্যাত বা
পরিচিত নন এমন ব্যক্তিকেও সংরক্ষিত কোটায় প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব
প্লটের আয়তন নিয়ে রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রীতিমতো হতবাক। প্লট
বরাদ্দ দিয়ে বলে দেয়া হয়, প্রাথমিক বরাদ্দপত্রসহ সব কাগজ আমাদের হাতে দিতে
হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মহাজোট সরকারের প্রথম মেয়াদে সংরক্ষিত
কোটার জন্য নির্ধারিত প্লটগুলো বরাদ্দ দিয়ে গেছেন সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত
প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান। সে হিসাবে বরাদ্দ আর অবশিষ্ট নেই। এনিয়ে
রাজউক থেকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালিও হয়।
ওই সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সংরক্ষিত কোটার প্লট বরাদ্দ দিতে চাপ দিলেই রাজউক থেকে বলা হতো এ কোটায় কোনো প্লট বরাদ্দ অবশিষ্ট নেই। এ নিয়ে সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী ও রাজউক চেয়ারম্যানের মধ্যে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ ছিল। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে দশম সংসদের ৯৯ জন এমপিকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে ৯৫ জনকে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ও চার জনকে ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এসব এমপিদের মধ্যে ৯৩ জনকে তিন কাঠা এবং ৬ জনকে ১০ ও ৫ কাঠা আয়তনের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ঠা এপ্রিল গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে দুইজন প্রতিমন্ত্রী ও ৯৭ জন সংসদ সদস্যকে সরকারের সংরক্ষিত কোটায় প্লট বরাদ্দ দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়। এ নির্দেশনায় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৯৫টি ও ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে চারটি প্লট বরাদ্দ দিতে বলা হয়। এর ভিত্তিতে বিষয়টি রাজউকের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হলে তাদের বিভিন্ন আয়তনের প্লট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্লটপ্রাপ্তদের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের ৫০ জনের মধ্যে ৩৫ জন এমপি প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন। এ ছাড়া সরাসরি নির্বাচিত তিন জন এমপি প্লট বরাদ্দ পান। ওই সময় ১০ কাঠা আয়তনের প্লট বরাদ্দ পান অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। এ ছাড়া ঝিলমিলে পাঁচ কাঠা আয়তনের প্লট বরাদ্দ পান সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল ও হেপী বড়াল, যশোর-২ আসনের এমপি মো. মনিরুল ইসলাম এবং বরিশাল-৪ আসনের এমপি পংকজ নাথ। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় প্লট বরাদ্দপ্রাপ্ত এমপিরা কিস্তি পরিশোধ শেষে ধাপে ধাপে প্লটের লিজ দলিল করছেন। এদিকে দ্বিতীয় দফায় গত ৩০শে এপ্রিল তিন সচিবসহ ৩৭ ভিআইপি ব্যক্তিকে সংরক্ষিত কোটায় ৩০টি প্লট বরাদ্দ দিতে রাজউকে অনুশাসন পাঠায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
এর ভিত্তিতে ৩৭ জন আবেদনকারীর অনুকূলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর বরাদ্দ বিধি ১৩ এ বিধি মোতাবেক প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। এ দফায় দুই এমপি, তিন সচিব এবং সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। এ ছাড়া গত ৩০শে মে ১৮ জন এমপিকে প্লট বরাদ্দ দেয়ার অনুশাসন দিয়ে রাজউকে চিঠি পাঠায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ১৫ই জুলাই আরো ১২ এমপিকে প্লট বরাদ্দ দেয়ার অনুশাসন দেয়া হয়েছে। এ দুই দফায় ৩০ জন এমপিকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দেড় শতাধিক এমপিকে প্লট বরাদ্দ দেয়ার অনুশাসন দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষে এসব এমপিরা প্লট বরাদ্দ পেয়ে কিস্তি পরিশোধ করেছেন। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ই সেপ্টেম্বর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২৪টি প্লট বরাদ্দের অনুশাসন দিয়ে রাজউকে চিঠি পাঠিয়েছে। এ তালিকায় দুই সচিবকে প্লট বরাদ্দ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ ও মীর সাব্বির এবং চিত্রনায়িকা অঞ্জনা সুলতানাকে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘সংরক্ষিত কোটা’য় প্লট বরাদ্দ দিতে গেলে নিয়ম মানা উচিত। কারণ প্রতি কোটার বিপরীতে প্লট রাখা আছে। তাই কোটার চেয়ে বেশি প্লট বরাদ্দ দিলে আগামীতে খারাপ দৃষ্টান্ত হতে পারে।
ওই সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সংরক্ষিত কোটার প্লট বরাদ্দ দিতে চাপ দিলেই রাজউক থেকে বলা হতো এ কোটায় কোনো প্লট বরাদ্দ অবশিষ্ট নেই। এ নিয়ে সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী ও রাজউক চেয়ারম্যানের মধ্যে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ ছিল। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে দশম সংসদের ৯৯ জন এমপিকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে ৯৫ জনকে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ও চার জনকে ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এসব এমপিদের মধ্যে ৯৩ জনকে তিন কাঠা এবং ৬ জনকে ১০ ও ৫ কাঠা আয়তনের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ঠা এপ্রিল গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে দুইজন প্রতিমন্ত্রী ও ৯৭ জন সংসদ সদস্যকে সরকারের সংরক্ষিত কোটায় প্লট বরাদ্দ দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়। এ নির্দেশনায় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৯৫টি ও ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পে চারটি প্লট বরাদ্দ দিতে বলা হয়। এর ভিত্তিতে বিষয়টি রাজউকের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হলে তাদের বিভিন্ন আয়তনের প্লট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্লটপ্রাপ্তদের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের ৫০ জনের মধ্যে ৩৫ জন এমপি প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন। এ ছাড়া সরাসরি নির্বাচিত তিন জন এমপি প্লট বরাদ্দ পান। ওই সময় ১০ কাঠা আয়তনের প্লট বরাদ্দ পান অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। এ ছাড়া ঝিলমিলে পাঁচ কাঠা আয়তনের প্লট বরাদ্দ পান সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল ও হেপী বড়াল, যশোর-২ আসনের এমপি মো. মনিরুল ইসলাম এবং বরিশাল-৪ আসনের এমপি পংকজ নাথ। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় প্লট বরাদ্দপ্রাপ্ত এমপিরা কিস্তি পরিশোধ শেষে ধাপে ধাপে প্লটের লিজ দলিল করছেন। এদিকে দ্বিতীয় দফায় গত ৩০শে এপ্রিল তিন সচিবসহ ৩৭ ভিআইপি ব্যক্তিকে সংরক্ষিত কোটায় ৩০টি প্লট বরাদ্দ দিতে রাজউকে অনুশাসন পাঠায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
এর ভিত্তিতে ৩৭ জন আবেদনকারীর অনুকূলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-এর বরাদ্দ বিধি ১৩ এ বিধি মোতাবেক প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। এ দফায় দুই এমপি, তিন সচিব এবং সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। এ ছাড়া গত ৩০শে মে ১৮ জন এমপিকে প্লট বরাদ্দ দেয়ার অনুশাসন দিয়ে রাজউকে চিঠি পাঠায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ১৫ই জুলাই আরো ১২ এমপিকে প্লট বরাদ্দ দেয়ার অনুশাসন দেয়া হয়েছে। এ দুই দফায় ৩০ জন এমপিকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে দেড় শতাধিক এমপিকে প্লট বরাদ্দ দেয়ার অনুশাসন দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষে এসব এমপিরা প্লট বরাদ্দ পেয়ে কিস্তি পরিশোধ করেছেন। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ই সেপ্টেম্বর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২৪টি প্লট বরাদ্দের অনুশাসন দিয়ে রাজউকে চিঠি পাঠিয়েছে। এ তালিকায় দুই সচিবকে প্লট বরাদ্দ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ ও মীর সাব্বির এবং চিত্রনায়িকা অঞ্জনা সুলতানাকে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘সংরক্ষিত কোটা’য় প্লট বরাদ্দ দিতে গেলে নিয়ম মানা উচিত। কারণ প্রতি কোটার বিপরীতে প্লট রাখা আছে। তাই কোটার চেয়ে বেশি প্লট বরাদ্দ দিলে আগামীতে খারাপ দৃষ্টান্ত হতে পারে।
No comments