ধর্মঘটে বন্ধ পণ্যপরিবহন, ইলিয়াস কাঞ্চনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
সড়ক
পরিবহন আইনের সংশোধনসহ সাত দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য
পরিবহন ধর্মঘট চলছে। ‘পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র ডাকে গতকাল
সকাল থেকে এ পণ্য পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। এসময় রাজধানীর ফুলবাড়িয়া
টার্মিনালে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন (নিসচা)’র
চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। পরিবহন মালিক-শ্রমিক
ঐক্য পরিষদের নেতারা এ ঘোষণা দেন।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাস চাপায় নিহতের ঘটনায় দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারা দেশের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভে একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের পাশে ছিলেন চলচ্চিত্রের নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় জড়িত শ্রমিকদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে ‘পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র ওই সমাবেশ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান হিরুর সভাপতিত্বে সমাবেশে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ সাত দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে আগামী ১২ই অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। অন্যথায় ১৩ই অক্টোবর থেকে সারা দেশে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।
‘পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র আহ্বায়ক মকবুল আহমদ বলেন, মৃত্যুপরোয়ানা মাথায় নিয়ে শ্রমিকরা রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি চালাবে না। কোনো শ্রমিক ইচ্ছা করে রাস্তায় মানুষ মারে না। অনেক কারণে সড়ক দুর্ঘটনা হতে পারে। এ জন্য শুধু শ্রমিককে ফাঁসি বা জেল দেয়ার বিধান মানা হবে না।
সমাবেশে সাত দফা দাবি জানানো হয়। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করাসহ তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০২ ধারায় মামলা গ্রহণ না করা, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাতিল ও জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করা, টাঙ্গাইল জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য হাসমত আলীসহ মালিক ও শ্রমিক মুক্তি, পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা, গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ট্রাক টার্মিনাল বা স্ট্যান্ড নির্মাণ করা, গাড়ির মডেল বাতিল করতে হলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া, সহজ শর্তে ভারী যানবাহন চালককে ভারী লাইসেন্স দেয়া ও এর আগ পর্যন্ত হালকা বা মধ্যম লাইসেন্স দিয়ে ভারী যানবাহন চালানোর সুযোগ দেয়া, সারা দেশে গাড়ির ওভারলোডিং বন্ধ করা এবং ফুটপাথ, ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার নিশ্চিত করা। এসব দাবি মেনে নেয়া হলে আগামীতে যেকোনো রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করা হবে পরিবহন মালিকরা জানান।
তার আগে শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনালে এক সমাবেশে পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় সংগঠনটি। ওই সমাবেশে ‘পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র নেতৃবৃন্দ বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি চলবে না। আর দাবি মেনে নেয়া হলে আগামীতে যেকোনো রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করা হবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাস চাপায় নিহতের ঘটনায় দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারা দেশের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভে একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের পাশে ছিলেন চলচ্চিত্রের নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। একই সঙ্গে দুর্ঘটনায় জড়িত শ্রমিকদের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন তিনি। এর প্রেক্ষিতে ‘পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র ওই সমাবেশ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সাদিকুর রহমান হিরুর সভাপতিত্বে সমাবেশে সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ সাত দফা দাবি মেনে নিতে সরকারকে আগামী ১২ই অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। অন্যথায় ১৩ই অক্টোবর থেকে সারা দেশে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেন নেতৃবৃন্দ।
‘পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র আহ্বায়ক মকবুল আহমদ বলেন, মৃত্যুপরোয়ানা মাথায় নিয়ে শ্রমিকরা রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি চালাবে না। কোনো শ্রমিক ইচ্ছা করে রাস্তায় মানুষ মারে না। অনেক কারণে সড়ক দুর্ঘটনা হতে পারে। এ জন্য শুধু শ্রমিককে ফাঁসি বা জেল দেয়ার বিধান মানা হবে না।
সমাবেশে সাত দফা দাবি জানানো হয়। সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করাসহ তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০২ ধারায় মামলা গ্রহণ না করা, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাতিল ও জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করা, টাঙ্গাইল জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য হাসমত আলীসহ মালিক ও শ্রমিক মুক্তি, পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা, গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ট্রাক টার্মিনাল বা স্ট্যান্ড নির্মাণ করা, গাড়ির মডেল বাতিল করতে হলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া, সহজ শর্তে ভারী যানবাহন চালককে ভারী লাইসেন্স দেয়া ও এর আগ পর্যন্ত হালকা বা মধ্যম লাইসেন্স দিয়ে ভারী যানবাহন চালানোর সুযোগ দেয়া, সারা দেশে গাড়ির ওভারলোডিং বন্ধ করা এবং ফুটপাথ, ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার নিশ্চিত করা। এসব দাবি মেনে নেয়া হলে আগামীতে যেকোনো রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করা হবে পরিবহন মালিকরা জানান।
তার আগে শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনালে এক সমাবেশে পণ্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় সংগঠনটি। ওই সমাবেশে ‘পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’র নেতৃবৃন্দ বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি চলবে না। আর দাবি মেনে নেয়া হলে আগামীতে যেকোনো রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করা হবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
No comments