বগুড়ায় তুফানের ‘টর্চার সেল’
ঢাকার মগবাজারের জসীম উদ্দিন নামে এক যুবকের সঙ্গে বগুড়ার এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। দুই বছর আগে ওই তরুণীর ডাকে বগুড়া শহরে ছুটে গিয়েছিলেন জসীম। ঘটনা টের পেয়ে তরুণীর পরিবারের সদস্যরা তুফান বাহিনীকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়। পরে তুফানের ক্যাডাররা জসীমকে তুলে নিয়ে যায় তুফানদের টর্চার সেল হিসেবে চিহ্নিত নির্জন স্থানে। শাজাহানপুরের গোয়াইল এলাকায় অবস্থিত ওই টর্চার সেলে শুরু হয় জসীমের ওপর নির্যাতন। জসীমের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা চাওয়া হয়। কেড়ে নেয়া হয় মোবাইল ফোন। বিকাশের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয় ৩২ হাজার টাকা। কিশোরী ছাত্রী ধর্ষণ মামলার হোতা গ্রেফতার বহিষ্কৃত শহর শ্রমিক লীগের আহবায়ক তুফানের বাহিনী মাধ্যমেই বগুড়ায় চলত মোটরসাইকেল মহড়া, মুক্তিপণ আদায়, মাদক, চাঁদাবাজি, দখল ও লুণ্ঠন। বিরোধী পক্ষ বা যারা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানাত তাদেরই এই টর্চার সেলে নিয়ে নির্যাতন করা হতো। খবর পেয়ে জসীমের পরিবার বগুড়ায় গিয়ে অনেক কাটখড় পুড়িয়ে জসীমকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়। টর্চার সেল সম্পর্কে অনেকে অবহিত হলেও অজানা আতঙ্কে অনেকেই মুখ খুলতে চান না। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে টর্চারের স্বীকার দু’জনের দেখা পেলেও তারা এই প্রতিবেদনের সঙ্গে কোনো কথা বলতেই রাজি হননি। বারবার জানতে চাইলে তারা দু’জনই নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেন। কথা হয় প্রেমের টানে ঢাকা থেকে বগুড়ায় ছুটে যাওয়া জসীম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ঘটনাটি ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবরের। বগুড়ার এক তরুণীর সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে আমায় বগুড়ায় ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়ার পর তুফানের ক্যাডারদের খপ্পরে পড়ি। তারা আমাকে চোখ বেঁধে একটি ছোট্ট কক্ষে নিয়ে যায়। রাত ১০টা থেকে পরদিন রাত ১২টা পর্যন্ত আটকে রেখে আমার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। যুবলীগ নেতা বাবু হুঙ্কার দিয়ে আমাকে বলেন, বগুড়ার তুফান বাহিনীর নাম শুনেছিস। আমরা তুফান বাহিনীর লোক। কোনো কথা বললে তোকে মেরে ফেলব। কিশোরী ছাত্রীকে ধর্ষণ ও মাসহ তাকে ন্যাড়া করার দুই মামলায় গ্রেফতার তুফান বাহিনীর ক্যাডার ও বগুড়ার শাজাহানপুরের খরনা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাকসুদুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছে ওই টর্চার সেলটি। জসীমকে অপহরণ ও নির্যাতনের মূল হোতাও ওই বাবু। টর্চার সেল ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বাবু সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা যুগান্তরকে বলেন, বাবুর ভয়ে তটস্থ গোটা এলাকা। এই চক্রটি তরুণীদের ব্যবহার করে ‘প্রেমের ফাঁদে’ ফেলে অনেকের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করত মোটা অঙ্কের টাকা। টর্চার সেলে যখন কাউকে নিয়ে নির্যাতন চালানো হতো তখন বাইরে পাহারায় থাকত তুফান বাহিনীর ক্যাডাররা। ক্যাডাররা যখন প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে শহরে মোটরসাইকেলের মহড়া দিত তখন শহরের লোকজন তটস্থ থাকত। স্থানীয়রা জানান, তুফান সরকারের বিশ্বস্ত ক্যাডার হিসেবে বাবু পরিচিত হলেও তুফানের বড় ভাই ও বগুড়া শহর যুবলীগের সম্প্রতি বহিষ্কৃত যুগ্ম সম্পাদক মতিন সরকারেরও ঘনিষ্ঠ তিনি। খরনা ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি মাকসুদুর রহমান বাবুর অত্যাচারের কাহিনী বলতে গিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা যুগান্তরকে বলেন, কয়েক বছর আগে লটাগাড়ি গ্রামের কৃষক মঞ্জুর হোসেনের প্রায় এক বিঘা জমির বেগুন ক্ষেত উপড়ে ফেলেন এই বাবু। এরপর থেকে বাবু স্থানীয়দের কাছে ভীতির কারণ হয়ে উঠতে থাকেন।
আর বাবুও হিংস হয়ে ওঠেন। অপহরণের শিকার জসীম উদ্দিন বলেন, আটক অবস্থায় ওরা নগদ ও আমার বিকাশ নম্বর থেকে কয়েক দফায় ৩২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা ট্রান্সফার এবং ক্যাশ আউটের ক্ষুদেবার্তা যুগান্তরের কাছে এসেছে। বিকাশের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নম্বরটি গোয়াইলের ওমর ফারুক নামের এক ব্যক্তির। যে নম্বরটিতে ক্যাশ আউট করা হয়েছিল ওই নম্বরটি গোয়াইলের বিকাশ এজেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান হেলালের। জসীমকে ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন জসীমের মামা মাঞ্জারুল আলম রানা। কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, আমি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বগুড়ায় যাই। সেখানে গিয়ে আমিও তুফান বাহিনীর খপ্পরে পড়ি। তুফান বাহিনীর ক্যাডার বাবু আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। আমাকেও আটকে রাখার চেষ্টা করে। তখন ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই ফোন করে আমাকে ও জসীমকে ছেড়ে দিতে বলে। পরে বাধ্য হয়ে ওরা আমাদের ছেড়ে দেয়। মাঞ্জারুল আলম রানা বলেন, ওরা আমার কাছ থেকেও ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যোগাযোগ করা হলে যুবলীগ নেতা বাবুর সহযোগী ওমর ফারুক যুগান্তরকে বলেন, এ ধরনের অভিযোগ ঠিক নয়। এক তরুণীর সঙ্গে জসীম নামের ওই ব্যক্তির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তরুণীর পরিবার বাবু ভাইয়ের কাছে অভিযোগ দেয়। পরে বাবু ভাই বিচার করেছেন। বিকাশ এজেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান হেলাল যুগান্তরকে বলেন, আমার এখান থেকে অনেকেই ক্যাশ আউট করে। এ ধরনের ঘটনার কথা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খলনা ইউনিয়নের সভাপতি বাবুর ব্যক্তিগত দুটি মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার দুটি মোবাইল নম্বরে ক্ষুদেবার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ : ৫ আগস্ট ‘বগুড়ায় ক্ষমতাসীনদের অন্তর্কলহ : আট বছরে ৩৬ নেতাকর্মী খুন’ শিরোনামে যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদক যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই তার উদ্ধৃতি প্রতিবেদনে উপস্থাপন করেছেন। প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কাল্পনিক তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলুর মোবাইল ফোনে শুক্রবার বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে প্রতিবেদক তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে ফোন দেন। ডাবলু মোবাইল ফোন রিসিভ করলে প্রতিবেদক তার পরিচয় দিয়ে কথা বলেন। ৪ মিনিট ৮ সেকেন্ড তার সঙ্গে কথোপকথন হয়। এই কথোপকথনের রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। প্রতিবেদনে যেসব তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে, এসব বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এবং পদধারী নেতার পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করা হয়েছে। এসব কথোপকথনের রেকর্ডও যুগান্তরের কাছে রয়েছে। এখানে প্রতিবেদকের বক্তিগত কোনো উদ্দেশ্য বা স্বার্থ নেই। প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের ব্যক্তিগত মতামতও নেই।
সংশোধনী : সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম দুলুর ভাগ্নে আনিছুর রহমান খুনের বিষয়টি ভুলবশত আসাদুর রহমান দুলুর ভাগ্নে উল্লেখ করা হয়েছে।
তুফান ও কাউন্সিলর মার্জিয়া জেল হাজতে : বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ায় কিশোরী ছাত্রী ধর্ষণ মামলার হোতা তুফান সরকার ও কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। রোববার বিকালে তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৫ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। তাদের জামিন আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ জানান, এটা তুফানের চতুর্থ দফা ও রুমকির দ্বিতীয় দফা রিমান্ড ছিল। ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, তুফান আগেই ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং রুমকি নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে। এর আগে গ্রেফতার ১১ আসামির মধ্যে আতিক, মুন্না ও নাপিত জীবন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আসামিদের পক্ষে দাঁড়াবে না : বগুড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম রোববার দুপুরে আদালত এলাকায় ছাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সংগঠনের সভাপতি মোখলেছুর রহমান এ সময় বলেন, ধর্ষিতাকে তারা বিনা খরচে আইনগত সহযোগিতা দেবেন। এছাড়া তারা কেউ আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করবেন না।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ : ৫ আগস্ট ‘বগুড়ায় ক্ষমতাসীনদের অন্তর্কলহ : আট বছরে ৩৬ নেতাকর্মী খুন’ শিরোনামে যুগান্তরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, প্রতিবেদক যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই তার উদ্ধৃতি প্রতিবেদনে উপস্থাপন করেছেন। প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং কাল্পনিক তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলুর মোবাইল ফোনে শুক্রবার বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে প্রতিবেদক তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে ফোন দেন। ডাবলু মোবাইল ফোন রিসিভ করলে প্রতিবেদক তার পরিচয় দিয়ে কথা বলেন। ৪ মিনিট ৮ সেকেন্ড তার সঙ্গে কথোপকথন হয়। এই কথোপকথনের রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে। প্রতিবেদনে যেসব তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে, এসব বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এবং পদধারী নেতার পাশাপাশি সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করা হয়েছে। এসব কথোপকথনের রেকর্ডও যুগান্তরের কাছে রয়েছে। এখানে প্রতিবেদকের বক্তিগত কোনো উদ্দেশ্য বা স্বার্থ নেই। প্রতিবেদনে প্রতিবেদকের ব্যক্তিগত মতামতও নেই।
সংশোধনী : সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সহিদুল ইসলাম দুলুর ভাগ্নে আনিছুর রহমান খুনের বিষয়টি ভুলবশত আসাদুর রহমান দুলুর ভাগ্নে উল্লেখ করা হয়েছে।
তুফান ও কাউন্সিলর মার্জিয়া জেল হাজতে : বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ায় কিশোরী ছাত্রী ধর্ষণ মামলার হোতা তুফান সরকার ও কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। রোববার বিকালে তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৫ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়। তাদের জামিন আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। তাদের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ জানান, এটা তুফানের চতুর্থ দফা ও রুমকির দ্বিতীয় দফা রিমান্ড ছিল। ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ৭ কর্মদিবসের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, তুফান আগেই ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং রুমকি নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে। এর আগে গ্রেফতার ১১ আসামির মধ্যে আতিক, মুন্না ও নাপিত জীবন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আসামিদের পক্ষে দাঁড়াবে না : বগুড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম রোববার দুপুরে আদালত এলাকায় ছাত্রী ধর্ষণ ও নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। সংগঠনের সভাপতি মোখলেছুর রহমান এ সময় বলেন, ধর্ষিতাকে তারা বিনা খরচে আইনগত সহযোগিতা দেবেন। এছাড়া তারা কেউ আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করবেন না।
No comments