মুখ খুলছে না গৃহকর্তা ও কেয়ারটেকার
গৃহকর্মী লাইলী বেগমের রহস্যজনক মৃত্যুর দু’দিন পর রাজধানীর বনশ্রী এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত। তবে এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশি প্রহরা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে গৃহকর্তা মুন্সি মঈনুদ্দিন, বাড়ির কেয়ারটেকার তোফাজ্জল হোসেন লিটনকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। রোববার তাদের রিমান্ডের প্রথমদিন অতিবাহিত হয়েছে। তাদেরকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খিলগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে তারা এখনও মুখ খোলেনি। আমরা ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছি। এ ছাড়া লাইলী বেগমের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার পেছনে ইন্ধনদাতাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টাও অব্যাহত আছে।’ বনশ্রী কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি নাঈম মাসুদ যুগান্তরকে বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় কোন ধরনের উত্তেজনা নেই। ঘটনার পরপর নিরাপত্তার স্বার্থে বনশ্রীর জি-ব্লকের চার নম্বর রোডের ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা নিজেদের বাসায় ফিরে এসেছেন। এদিকে গৃহকর্মী লাইলী বেগমের দাফন রোববার সকাল ৮টায় তার বাবার বাড়ি কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ার কালিরহাট বাজারসংলগ্ন সমন্বয়পাড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে। লাইলী বেগমের দেবর জামাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি পৌঁছাতে ভোর (রোববার) হয়ে যায়। সকাল ৮টায় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়। উল্লেখ্য, খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রী জি-ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন লাইলী বেগম (২৫)। তার ৫ মাসের বেতন পাওনা ছিল। শুক্রবার সকালে পাওনা টাকা চাইতে গেলে গৃহকর্তা মুন্সি মাইনুদ্দিন লাইলী বেগমকে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজান। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে ওই এলাকায় তাণ্ডব চালায়। পুড়িয়ে দেয়া হয় গৃহকর্তার একটি গাড়ি। ভাংচুর করা হয় তার বাড়ি। অবশ্য এ তাণ্ডবের পেছনে একটি বিশেষ মহলের ইন্ধন রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গৃহকর্তা মঈনুদ্দিন এবং কেয়ারটেকার তোফাজ্জল হোসেন লিটন রিমান্ডে রয়েছে। শনিবার জেলহাজতে পাঠানো হয় গৃহকর্ত্রী শাহানাজ বেগমকে।
No comments