জাতিসংঘের অভিযোগ অস্বীকার মিয়ানমারের

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা দেশটির মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা ও অগ্নিকাণ্ড চালিয়েছে বলে জাতিসংঘ যে অভিযোগ দিয়েছে, তা অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের সরকারি তদন্ত কমিশন। রোববার কমিশন স্পষ্ট করে জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের ওপর অভিযান পরিচালনার কোনো প্রমাণ তারা পায়নি। খবর এএফপির। গত অক্টোবরে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন পরিচালনা করে দেশটির বৌদ্ধ অধ্যুষিত সেনারা। এ নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত টিম প্রমাণ করে যে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর জাতিগত নিধন অভিযান পরিচালনা করেছে দেশটির সরকার। এ নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন দেশটির কার্যত নেতা শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী অং সান সুচি। রোববার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মিয়ানমারের সরকার সমর্থিত তদন্ত কমিশন জানায়, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর ধর্ষণ, হত্যা ও অগ্নিকাণ্ডের কৌশলগত অভিযান চালিয়েছে- এর পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে নিন্মপর্যায়ের কিছু নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তার কিছু ঘটনা বানানো এবং গালগল্প। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।এতে সেনা সদস্যদের ওই অভিযানে ‘খুব সম্ভাব্য’ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে বলা হয়। মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে সংখ্যালঘু একটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্তত ৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এছাড়া মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে তারা। শনিবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে রাখাইন রাজ্যের রাথেডাউং শহরে প্রায় ৬০০ গ্রামবাসীকে ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী। তবে তারা বলছেন, সন্ত্রাসী একটি গোষ্ঠীকে মদদ দিচ্ছে এমন ছ’জন সন্ত্রাসীকে খুঁজছেন তারা। পুলিশ কর্মকর্তা জ উইং অং সংবাদ সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ‘সেনাবাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাতে গেলে লাঠিসোটা নিয়ে তাদের প্রতিরোধ করে গ্রামবাসী।

No comments

Powered by Blogger.