সাংবাদিক কল্যাণ, না আনুগত্য আদায়? by কামাল আহমেদ
সাংবাদিকতা তেমন অর্থকরী পেশা নয়, তবু এই
পেশার প্রতি তরুণদের আগ্রহ ও আকর্ষণের কমতি নেই৷ সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রী
জাতীয় সংসদে বাংলাদেশে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে চালু পত্রপত্রিকা ও
অনলাইন সংবাদ প্রকাশনা এবং রেডিও-টিভির পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন৷ সংখ্যা
বিবেচনায় এসব প্রতিষ্ঠানের বেতনভোগী অথবা অবৈতনিক কিংবা শৌখিন সাংবাদিক ও
সংবাদকর্মীর সংখ্যা লাখের কোঠা ছাড়িয়ে গেলেও বিস্মিত হব না৷ আগেই বলেছি
যে সাংবাদিকতার আর্থিক পুরস্কার সাধারণভাবে মোটেও আকর্ষণীয় নয় এবং সে
কারণে প্রায়ই তরুণ সাংবাদিকদের মুখে নানা ধরনের হতাশার কথা শোনা যায়৷ এসব
হতাশার মধ্যে একটি হচ্ছে বাড়িওয়ালারা নাকি সম্ভাব্য ভাড়াটে পেশায়
সাংবাদিক শুনলে বলেন যে ‘দুঃখিত! বাসা ভাড়া হয়ে গেছে, নোটিশটা খুলতে
যাচ্ছিলাম৷’ আর বিয়ের বাজারে তাঁদের অবস্থা নাকি আরও করুণ৷
অসুখ-বিসুখ কিংবা বিপদে-আপদে তাঁদের অসহায়ত্বের শেষ নেই৷ যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের মন্ত্রী, সাংসদ, নানা পর্যায়ের নেতা-উপনেতা-পাতিনেতা, ছাত্র-যুব-শ্রমিক-স্বেচ্ছাসেবকসহ নানা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের লাঠিয়ালদের হাতে মারধর এবং লাঞ্ছনারও কোনো অন্ত নেই৷ সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের এই দীনতায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী দারুণভাবে ব্যথিত৷ তাই দলের লাঠিয়ালদের হিংসা পরিহারের শিক্ষা দেওয়া এবং তাদের বাড়াবাড়ি নিয়ন্ত্রণের কঠিন পথ অনুসরণ না করে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল গঠনের৷ নিয়োগকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী তথ্যমন্ত্রী এই তহবিল গঠনের জন্য একটি আইনের খসড়াও তৈরি করে ফেলেছেন৷ অবশ্য সাংবাদিক কল্যাণে উদ্গ্রীব তথ্যমন্ত্রীর সেই সংবাদ সম্মেলনটি এখনো আমার চোখে ভাসছে, যাতে তিনি এক তরুণ সাংবাদিককে ধমকে বলছিলেন, ‘আমি হাসানুল হক ইনু, এটা মনে রাখবেন৷’ (সূত্র: নিউজ আনকাট: এটিএন নিউজ)৷ নির্বাচনের সময় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নকর্তার প্রশ্নকে গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার একপর্যায়ে তিনি শুধু ধমক দিয়েই ক্ষান্ত হননি, নিজের পরিচয়টি ইঙ্গিতবহভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন গত ২৮ জুলাই অসুস্থ, আহত ও অসচ্ছল ১৫৮ জন সাংবাদিককে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে (যুগান্তর, ২৯ জুলাই, ২০১৩ ‘জয়ের বক্তব্য সমর্থন করলেন প্রধানমন্ত্রী’)৷ তথ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত এক কোটি টাকার একটি তহবিল থেকে তখন ওই সাহায্য দেওয়া হয়েছিল৷ অন্যান্য সূত্রে জেনেছি যে যাঁদের সহায়তা দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন বিএনপির মুখপত্র দৈনিক দিনকাল-এর৷ আর অন্যদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ-সমর্থক সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য, যার মূল নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা৷ ইউনিয়নের এই অংশের সরকার ঘনিষ্ঠতার আলামত তাঁদের লাভজনক সরকারি চাকরিতে নিযুক্তি এবং টেলিভিশনের লাইসেন্সপ্রাপ্তিতেই দৃশ্যমান৷ সাংবাদিক ইউনিয়নের অপর অংশও যে রাজনীতিমুক্ত, তা নয়৷ তাদের নেতাদের মধ্যেও আছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং দলীয় সমর্থক৷ সুতরাং, ক্ষমতার পালাবদল ঘটলে ওই অংশের নেতারাই যে আবার সরকারি পদ-পদবির অধিকারী হবেন, তাতে সন্দেহ নেই৷
স্বল্প-আয়ের বিপদাপন্ন কলমসেবীরা প্রয়োজনের সময় যেকোনো সূত্র থেকে সাহায্য পেলে তাকে স্বাগত জানানোই স্বাভাবিক৷ ফেনীর সাংবাদিক টিপু সুলতান কিংবা ফরিদপুরের প্রবীর শিকদার যে জীবন ফিরে পেয়েছেন এবং এখনো পেশায় টিকে আছেন, তা তো সম্ভব হয়েছে সামাজিক সহানুভূতি এবং সহায়তার কারণে৷ সময়ে-অসময়ে বিভিন্ন সূত্র থেকে যাঁরা এ ধরনের সাহায্য পেয়েছেন, তাঁদের প্রতি কোনো ধরনের অসম্মান না করেও যে কথাটা বলা প্রয়োজন, তা হলো এ ধরনের সাহায্য-সহযোগিতার এমন একটি ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, যা হবে রাজনীতি-নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক৷ সাধারণ বিবেচনাতেই বোঝা যায় যে সরকারের সমালোচক বা বিরোধী মতাবলম্বী পত্রিকা বা গণমাধ্যমই সব সময়ে প্রতিকূলতার মুখে পড়ে এবং সাধারণত সেসব প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকেরাই আর্থিক টানাপোড়েনে জীবন যাপন করতে বাধ্য হন৷ অথচ যে ধরনের প্রস্তুতি চলছে, তাতে শেষ পর্যন্ত সুবিধাভোগী সরকার-সমর্থকদেরই আরও বেশি সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা হবে৷
সরকারের প্রস্তাবিত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগের কারণেই এসব সর্বজনবিদিত তথ্যের পুনরুল্লেখ এখানে প্রাসঙ্গিক৷ প্রস্তাবিত যে খসড়া আইন সংসদে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে, তাকে সাংবাদিকদের আনুগত্য ক্রয়ের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করা যায়৷ আর সে কারণেই সুস্থ সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ চিন্তায় বিচলিত না হয়ে উপায় নেই৷ আইনের খসড়া বিশ্লেষণে যে বিষয়টি পরিষ্কার, তা হলো সাংবাদিক কল্যাণ নয়, বরং সরকারের জন্য আনুগত্য ক্রয়ই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য৷ ক্ষমতায় থাকাকালে রাজনীতিকেরা যে ক্ষমতার বাইরের জীবনটির কথা ভুলে যান, এখানেও সেই মোহাচ্ছন্নতার বহিঃপ্রকাশ স্পষ্ট৷ এই আইন অনুযায়ী কল্যাণ তহবিল গঠিত হলে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে ক্ষমতা হারানোর পরই আওয়ামী লীগ সরকারের আনুগত্য কেনার ক্ষমতা টের পাবে৷
প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় ৬ নম্বর ধারায় ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের যে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, তার প্রধান হবেন তথ্যমন্ত্রী, সচিব ভাইস চেয়ারম্যান, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দুজন প্রতিনিধি, সরকার-মনোনীত তিনজন সাংবাদিক এবং ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক৷ এই একই ধারার একটি উপধারায় ইউনিয়নের দুজন এবং সরকার-মনোনীত তিনজনের মেয়াদ তিন বছর বলা হলেও কোনো কারণ না দেখিয়ে তাঁদের যেকোনো সময়ে অপসারণের ক্ষমতা সরকারের হাতে দেওয়া হয়েছে৷ যার অর্থ দাঁড়ায় ট্রাস্টের মোট ১৩ জনের সবাই সরকারের নির্দেশনা মানতে বাধ্য৷ আর ট্রাস্ট পরিচালনার জন্য যে পদ্ধতি এই খসড়ায় বলা আছে, তা গণতান্ত্রিক কোনো কাঠামোর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কি না, সেই আলোচনা একেবারেই অবান্তর৷ কেননা, সভা শুরুর সময় কোরাম প্রয়োজন হলেও মুলতবি সভায় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে কোনো কোরামের প্রয়োজন হবে না৷
সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল এবং ট্রাস্ট গঠনের বিষয়টিকে সরকারের আনুগত্য ক্রয় প্রকল্পে রূপান্তর থেকে বাঁচানোর জন্য সাংবাদিক সমাজের নিজেদের যেমন সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন, তেমনি সরব হওয়া উচিত বিবেকবান পাঠকদের৷ সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল গঠনের ধারণাটি উন্নত বিশ্বেও আছে৷ তবে সেগুলোর কোনোিটই সরকারের উদ্যোগ নয়, এমনকি সেগুলোতে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টও নেই৷ নিউইয়র্কভিত্তিক অধিকার গোষ্ঠী, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস অথবা নাইটস ফাউন্ডেশনের মতো বেসরকারি সংগঠন বা এনএজিওসমূহ এ ধরনের তহবিল পরিচালনা করে থাকে এবং তাদের কার্যক্রম কোনো দেশভিত্তিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক৷ গণমাধ্যমের মালিক, সম্পাদক, সাংবাদিক এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে, কিংবা নিদেনপক্ষে, ওয়েজ বোর্ডের কাঠামো অনুকরণেও অনেক কার্যকর ট্রাস্ট গঠন সম্ভব৷
সরকারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক কল্যাণের তহবিল গঠনের উদ্যোগগুলো মূলত দেখা যাচ্ছে আমাদের উপমহাদেশে যেখানে রাজনীতি ব্যাপকভাবে কলুষিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত৷ আর সে কারণেই তাদের প্রয়োজন গণমাধ্যমের আনুগত্য ক্রয়৷ ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার এ ধরনের একটি কার্যক্রম শুরু করেছে মাত্র গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে৷ এর আগে ভারতের ওডিশা, গোয়া, পাঞ্জাবের মতো কয়েকটি জায়গায় রাজ্য সরকারগুলো এ ধরনের সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল চালু করে৷ ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কার্যকর হওয়া ভারতের সাংবাদিক কল্যাণ স্কিম পরিচালনায় গঠিত কমিটির পৃষ্ঠপোষক হলেন তথ্যমন্ত্রী, সভাপতি হলেন তথ্যসচিব এবং বাকি চারজনের সবাই সরকারি কর্মকর্তা৷ একইভাবে পাকিস্তানে এ ধরনের একটি কল্যাণ তহবিল গঠনের উদ্যোগ গৃহীত হলেও শেষ পর্যন্ত সরকারি তহবিল অবমুক্ত করা হয়নি৷ তবে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সেখানে এ ধরনের একটি তহবিল গঠিত হয়েছে, যারা বেসরকারি বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তা পরিচালনা করছে৷
অসহায়ত্বের শিকার সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা প্রয়োজন, তাতে সন্দেহ নেই৷ অন্তত পাকিস্তানের বহুল আলোচিত গোপনীয় সরকারি ভাতা কেলেঙ্কারি অথবা ভারতের পেইড নিউজ-এর মতো ব্যাধি সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে এই পেশাকে মুক্ত রাখার জন্য এ ধরনের কল্যাণ তহবিল কেবল তখনই সহায়ক হতে পারে, যখন তাতে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না এবং স্বচ্ছতার ব্যবস্থা থাকবে৷ পাকিস্তানের কেলেঙ্কারির কথাই ধরা যাক৷ সেখানে সরকার বছরের বছর পর বহু সাংবাদিককে বিভিন্ন কারণে নানা ধরনের আর্থিক সুবিধা দিয়ে আসছিল৷ তথ্য মন্ত্রণালয় তার গোপন তহবিল থেকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে ৩০ কোটি রুপি দেওয়ার তথ্য প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাওয়াদ এস খাজার আদালতে৷ এরপর সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের দাবির মুখে আদালতের নির্দেশে আরও ২৮২ জন সাংবাদিকের তালিকা প্রকাশিত হয়, যাতে দেখা যায় সাংবাদিকদের হোটেলভাড়া, বিমান ও ট্যাক্সিভাড়া থেকে শুরু করে প্রয়াত সাংবাদিকের পরিবারকে এককালীন অনুদান দেওয়ার মতো খাতে তথ্য মন্ত্রণালয় ওই গোপন তহবিল থেকে টাকা দিয়েছে (সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ২২ এপ্রিল, ২০১৩)৷
ভারতেও সম্প্রতি শুরু হয়েছে কথিত পেইড নিউজ-এর সংস্কৃতি, যা সেখানকার গণতন্ত্রকে কলুষিত করছে বলে অভিযোগ ওঠায় নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে৷ বিষয়টি প্রথমবারের মতো ফাঁস হয় ২০০৯ সালে এবং তাতে রাজনৈতিক ছাড়াও বাণিজ্যিক গোষ্ঠীগুলোর এ ধরনের অনৈতিক কৌশল অনুসরণ করতে দেখা যায়৷ রাজনীতির ক্ষেত্রে দেখা যায়, রাজ্য পর্যায়েই এ ধরনের অপকর্ম হয়েছে বেশি৷ তবে সেখানকার গণমাধ্যমে সাংবাদিক ছাড়াও প্রতিষ্ঠানগত দুর্নীতিও একিট বড় সমস্যা৷
সরকার, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতার চল যে বাংলাদেশেও একেবারে নেই, সে রকমটি হয়তো দাবি করা যাবে না৷ সে জন্যই এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন স্বচ্ছতা, সেটা যেমন প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রয়োজন, তেমনি তা ব্যক্তিপর্যায়েও প্রত্যাশিত৷ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশ্বপরিক্রমণের রেকর্ড সম্পর্কে এক নিবন্ধে আমি বলেছিলাম যে প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রীদের সফরসঙ্গীদের ব্যয়নির্বাহের বিষয়েও স্বচ্ছতার নীতি চালু করা প্রয়োজন৷ উন্নত দেশগুলোয় সাংবাদিক বা সংবাদকর্মীরা কোনো সফর বা অনুষ্ঠানের খবর সংগ্রহে আর সরকারের ওপর নির্ভরশীল নন, বরং নিজ নিজ পত্রিকা বা প্রতিষ্ঠানের খরচেই তা করে থাকেন৷ রাজনীতিকেরা যেসব পৃষ্ঠপোষকতা দেন, তা কখনোই নিঃশর্ত হয় না, বিনিময়ে তাঁরা চান আনুগত্য৷ গণতন্ত্রে মুক্তবুদ্ধি ও স্বাধীনতার মূল্য অনেক৷ সেটাকে এত ক্ষুদ্র স্বার্থে বিপণন কারও জন্যই শুভ নয়৷
কামাল আহমেদ: প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি, লন্ডন৷
No comments