এক নম্বরে উঠে গেল ইংল্যান্ড
উৎসব যতটা হতে পারত, ততটা হলো না। দীর্ঘ তিন দশকের অপেক্ষার পর টেস্ট ক্রিকেটের এক নম্বর দলের মুকুটটি নিশ্চিত করার আনন্দ সতীর্থদের আলিঙ্গনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকল। লন্ডনের দাঙ্গার আগুন যে পুরোপুরি নেভেনি, যে আগুনের আঁচ এসে লেগেছিল বার্মিংহামের এজবাস্টনেও।
ম্যাচ শুরুর আগে ইংল্যান্ড দল কথা দিয়েছিল, দাঙ্গায় বিপর্যস্ত মানুষের জন্য কিছু একটা এনে দেবে। অবশেষে ভারতকে ইনিংস ও ২৪২ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয় আর র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান—দুটোই নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। ভারতের এটি তৃতীয় বৃহত্তম পরাজয়, সব মিলে টেস্ট ইতিহাসের ১৫তম। অধিনায়কত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনো টেস্ট সিরিজে হারলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
পরাজয়টা যে আসছে, সেটা তৃতীয় দিন শেষেই বোঝা গিয়েছিল। দিনের চতুর্থ ওভারের মধ্যেই আগের দিনের দুই ব্যাটসম্যানকে তুলে নিয়ে সেটা ত্বরান্বিত করেছে ইংল্যান্ড। ভারতের প্রথম চার ব্যাটসম্যানকেই তুলে নিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটেই যা একটু ঝলক ছিল। কিন্তু ৮ চারে ৬০ বলে ৪০ করা টেন্ডুলকার দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হলে লাঞ্চের মধ্যেই ভারতের গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে।
৬ উইকেটে ১১৬ রান আর ভীষণ অস্বস্তি নিয়ে লাঞ্চ সারা ভারত শেষ পর্যন্ত যে ২৪৪ রান পর্যন্ত করতে পারল, তাতে মূল অবদান অষ্টম উইকেটে ধোনি-প্রাভিন কুমারের ৭৫ রানের জুটিটার। প্রাভিন ১৮ বলে ৪০ রান করে আউট হয়ে গেলেও ধোনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭৪ রানে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ধোনির কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে বেশ কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন করেন উপস্থাপক মাইক আথারটন। ইংল্যান্ডকে এক নম্বর হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে ধোনি নিজের দলকে আড়াল করে গেলেন, ‘আমরা ভালো ডেলিভারিগুলোকে সামলে বাজে বলগুলো থেকে রান তোলার কাজটা ঠিকমতো করতে পারছি না। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। তার পরও আমি দলকে নিয়ে গর্ব করি, কয়েকটা পরাজয়ই সেটা পাল্টে দিতে পারে না।’
টেন্ডুলকার-দ্রাবিড়-লক্ষ্মণের মতো সিনিয়ররা দলের বোঝা কি না, আথারটনের এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘কখনোই নয়। দলে তাঁদের অবদানের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই।’ এই সিরিজের জন্য ভারত যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে কি না, এমন একটা আলোচনা চলছে। ধোনি চাইলে সেই আলোচনার আড়ালে গিয়ে অজুহাত খুঁজতে পারতেন। কিন্তু দুটো টেস্ট খেলার পর প্রস্তুতির অজুহাতও আর দেওয়া চলে না। ধোনি তাই বললেন, ‘প্রস্তুতিতে আমি যথেষ্টই খুশি। কিন্তু এটা আসলে এমন একটা সিরিজ যেখানে কোনো কিছুই ঠিকমতো কাজ করছে না।’
স্বাভাবিকভাবেই ধোনির ঠিক উল্টো অনুভূতি অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের। পুরো কৃতিত্ব সতীর্থদের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বললেন, ‘এক নম্বর হওয়া আমাদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারায় অনেক গর্ব হচ্ছে। আমরা জানি, আমরা দারুণ কিছু করে ফেলেছি। তবে এটাই শেষ নয়। এক নম্বর স্থানটি ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করাটাই আসল।’
স্ট্রাউস চাইলে ভারতকেই উদাহরণ হিসেবে দেখাতে পারতেন। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে এক নম্বরে ওঠা ভারত এখন তিনে নেমে যাওয়ার শঙ্কায়। মুকুট অর্জনের চেয়ে ধরে রাখাই কঠিন—সাধে তো আর বাক্যটি প্রবাদ হয়নি!
ম্যাচ শুরুর আগে ইংল্যান্ড দল কথা দিয়েছিল, দাঙ্গায় বিপর্যস্ত মানুষের জন্য কিছু একটা এনে দেবে। অবশেষে ভারতকে ইনিংস ও ২৪২ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জয় আর র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান—দুটোই নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড। ভারতের এটি তৃতীয় বৃহত্তম পরাজয়, সব মিলে টেস্ট ইতিহাসের ১৫তম। অধিনায়কত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম কোনো টেস্ট সিরিজে হারলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
পরাজয়টা যে আসছে, সেটা তৃতীয় দিন শেষেই বোঝা গিয়েছিল। দিনের চতুর্থ ওভারের মধ্যেই আগের দিনের দুই ব্যাটসম্যানকে তুলে নিয়ে সেটা ত্বরান্বিত করেছে ইংল্যান্ড। ভারতের প্রথম চার ব্যাটসম্যানকেই তুলে নিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। শীর্ষ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাটেই যা একটু ঝলক ছিল। কিন্তু ৮ চারে ৬০ বলে ৪০ করা টেন্ডুলকার দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হলে লাঞ্চের মধ্যেই ভারতের গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে।
৬ উইকেটে ১১৬ রান আর ভীষণ অস্বস্তি নিয়ে লাঞ্চ সারা ভারত শেষ পর্যন্ত যে ২৪৪ রান পর্যন্ত করতে পারল, তাতে মূল অবদান অষ্টম উইকেটে ধোনি-প্রাভিন কুমারের ৭৫ রানের জুটিটার। প্রাভিন ১৮ বলে ৪০ রান করে আউট হয়ে গেলেও ধোনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৭৪ রানে।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ধোনির কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিয়ে বেশ কিছু অস্বস্তিকর প্রশ্ন করেন উপস্থাপক মাইক আথারটন। ইংল্যান্ডকে এক নম্বর হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে ধোনি নিজের দলকে আড়াল করে গেলেন, ‘আমরা ভালো ডেলিভারিগুলোকে সামলে বাজে বলগুলো থেকে রান তোলার কাজটা ঠিকমতো করতে পারছি না। এটাই সবচেয়ে বড় সমস্যা। তার পরও আমি দলকে নিয়ে গর্ব করি, কয়েকটা পরাজয়ই সেটা পাল্টে দিতে পারে না।’
টেন্ডুলকার-দ্রাবিড়-লক্ষ্মণের মতো সিনিয়ররা দলের বোঝা কি না, আথারটনের এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘কখনোই নয়। দলে তাঁদের অবদানের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই।’ এই সিরিজের জন্য ভারত যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে কি না, এমন একটা আলোচনা চলছে। ধোনি চাইলে সেই আলোচনার আড়ালে গিয়ে অজুহাত খুঁজতে পারতেন। কিন্তু দুটো টেস্ট খেলার পর প্রস্তুতির অজুহাতও আর দেওয়া চলে না। ধোনি তাই বললেন, ‘প্রস্তুতিতে আমি যথেষ্টই খুশি। কিন্তু এটা আসলে এমন একটা সিরিজ যেখানে কোনো কিছুই ঠিকমতো কাজ করছে না।’
স্বাভাবিকভাবেই ধোনির ঠিক উল্টো অনুভূতি অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের। পুরো কৃতিত্ব সতীর্থদের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বললেন, ‘এক নম্বর হওয়া আমাদের দীর্ঘদিনের লক্ষ্য ছিল। সেই লক্ষ্য অর্জন করতে পারায় অনেক গর্ব হচ্ছে। আমরা জানি, আমরা দারুণ কিছু করে ফেলেছি। তবে এটাই শেষ নয়। এক নম্বর স্থানটি ধরে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করাটাই আসল।’
স্ট্রাউস চাইলে ভারতকেই উদাহরণ হিসেবে দেখাতে পারতেন। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে এক নম্বরে ওঠা ভারত এখন তিনে নেমে যাওয়ার শঙ্কায়। মুকুট অর্জনের চেয়ে ধরে রাখাই কঠিন—সাধে তো আর বাক্যটি প্রবাদ হয়নি!
No comments