সেই দুই হোটেলেই আবার by উৎপল শুভ্র
নস্টালজিয়ার ঘোর কাটতে না কাটতেই ঘোর দুঃস্বপ্নে!
মঙ্গলবার রাতের অভিজ্ঞতার সবচেয়ে জুতসই বর্ণনা হতে পারে এটাই। বারবাডোজ থেকে রাত সাড়ে সাতটার ফ্লাইটে আবার সেন্ট লুসিয়ায়। মাত্র ত্রিশ মিনিটের ফ্লাইট। কিন্তু লিয়াট এয়ারলাইনসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার এমনই করুণ দশা যে সেটিকেই মনে হলো অনন্তকাল! তার মধ্যেও মনে একটা শান্তি, হোটেল ঠিক করা আছে। এই তো আর কিছুক্ষণ। চেক ইন করে লম্বা একটা স্নান। তারপর ঘুম।
সেন্ট লুসিয়াতেই শুরু হয়েছিল আমার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তখনই দেখে গেছি, সুপার এইটের শেষ দুই দিন আর সেমিফাইনালের সময়টায় সব হোটেলে ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই...’ অবস্থা। সেবার ছিলাম ‘পাম হাভেন’ হোটেলে। সেটিতে খোঁজ নিয়ে জানতে হয়েছে, ‘স্যরি, উই আর ফুলিল বুকড্।’ ইন্টারনেটে ঘেঁটে কাছাকাছিই ‘দ্য ওশেন ভিউ’ নামের একটা হোটেল বুক করেছি।
ইন্টারনেটেই করতে চেয়েছিলাম। স্থানীয় এক সাংবাদিক বন্ধু বলল, হোটেলের নাম্বার দিচ্ছি। ইন্টারনেটের চেয়ে সরাসরি ফোন করে বুক করাটাই ভালো হবে। সেটিই করলাম। নিশ্চয়তা হিসেবে ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত দিতে হলো। জানানো হলো, ১০ মে রিসেপশনে এসে নাম বললেই হবে।
বারবাডোজে ভারতীয় সাংবাদিকদের অনেককে হোটেল না পেয়ে চুল ছিঁড়তে দেখে কখনো কখনো মনে মনে, বেশির ভাগ সময়ই প্রকাশ্যে হেসেছি। ভারত খেলছে, জানা কথাই এমন হবে। হোটেলে আগে বুকিং দিতে পারিসিন গাধা!
মঙ্গলবার রাতের অভিজ্ঞতাটা ওদের আর বলব না ঠিক করেছি। ওই হাসি ফেরত দেওয়ার সুযোগ কেন দেব? এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি নেওয়ার পর ট্যাক্সি ড্রাইভার যেখানে নামতে বলল, সেখানে নেমে আমি স্মৃতিকাতরতায় আক্রান্ত। ডানেই গ্লেনক্যাসল রিসর্ট। আরে, ২০০৪ সালে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেন্ট লুসিয়া টেস্টের সময় তো এই হোটেলেই ছিলাম।
কিন্তু ওশেন ভিউ হোটেলটা কোথায়? ট্যাক্সি ড্রাইভার জানাল, এটাই ওশেন ভিউ। কিছুদিন আগে ঋণখেলাপি বলে গ্লেনক্যাসলকে নিলামে তোলা হয়েছে। মালিকানা বদলের সঙ্গে বদল হয়েছে নামও। তবে নামফলকটা এখনো বদলানো হয়নি, সেখানে গ্লেনক্যাসলই আছে।
পুরোনো জায়গায় ফিরে আসায় একটা সুখানুভূতি তো কাজ করেই। রিসেপশনে গিয়েই সেটি উধাও। কৃষ্ণাঙ্গ স্থূলাঙ্গিনী পাথুরে মুখে সুখবরটা দিলেন, এই নামে কোনো বুকিং নেই এবং হোটেল পুরো বুকড্। অন্য কোথাও দেখুন।
হতভম্ব ভাবটা কাটিয়ে ওঠার পরই চিত্কার-চেঁচামেচি শুরু করলাম। ফাজলামো নাকি, দশ দিন আগে রুম বুক করেছি, মোবাইলের কল রেজিস্ট্রার থেকে হোটেলের নাম্বার বের করে প্রমাণও দেখালাম। ওই ভদ্রমহিলা অনড়, এই নামে কোনো বুকিং নেই। তা ছাড়া আমি এখানকার নিরাপত্তাকর্মী। হোটেলের মালিক বারে আছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলো। গেলাম সেখানে। ছোটখাটো শ্বেতাঙ্গ এক লোক। তাঁরও একই কথা। আমার গলা একটু চড়তেই তিনিও তারস্বরে চিত্কার শুরু করলেন। হোটেলের সামনে সুইমিং পুলের পাশে ভারতীয়রা গিজগিজ করছে। ঘটনা শুনে অনেকেই সহানুভূতি প্রকাশের সঙ্গে কত কষ্টে রুম পেয়েছেন সেটির সবিস্তার বর্ণনা দিলেন। সেন্ট লুসিয়ায় যে কোনো হোটেলে জায়গা নেই, সেই দুঃসংবাদও।
রিসেপশনে ফিরে থম ধরে বসে আছি। বডিগার্ডের মতো বিশাল শরীরের এক কৃষ্ণাঙ্গকে নিয়ে ঢুকলেন একজন। তিনিও কৃষ্ণাঙ্গ। সুঠাম শরীর। রিসেপশনে কাউকে না পেয়ে আমার ঘটনা জানলেন। জানার পর সমবেদনার সুরে আমি বড় ভুল করে ফেলেছি, ই-মেইলে হোটেল থেকে একটা কনফারমেশন নেওয়া উচিত ছিল ইত্যাদি বলে ব্যাগ থেকে নিজের কনফারমেশন ই-মেইলটা বের করলেন। ফলাফল অবশ্য একই—হোটেলের কম্পিউটারে তাঁরও নাকি নাম নেই! ‘দেখিয়া জুতার দুঃখ ঘুচিয়া’ যাওয়ার আসল কারণ অবশ্য অন্য। আমি তো ক্রেডিট কার্ডে শুধু বুকিং করেছি, ওই ভদ্রলোকের ক্রেডিট কার্ড থেকে বুকিং করার সময়ই সাড়ে তিন শ ডলারের মতো কেটে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ অনুমিত। ওই শ্বেতাঙ্গ মালিক এলেন, তাঁর সঙ্গে চিত্কার-চেঁচামেচি। ছাপার অযোগ্য চার বর্ণের ইংরেজি শব্দটার ঝড় বইল। ‘জ্যামাইকা হলে এখনই তোর বাপের নাম ভুলিয়ে দিতাম’—সবচেয়ে ভদ্র কথা এটাই মনে পড়ছে।
বুঝতেই পারছেন, অতিথি জ্যামাইকান। জ্যামাইকাতে রাস্তায় ধাক্কা লাগলেও অনেক সময় পকেট থেকে পিস্তল বেরিয়ে আসে। হুমকিটা তাই ফাঁকা বুলি বলে মনে হলো না। হুমকিতে কাজও হলো। রাতের মতো হোটেলের স্টাফদের একটা ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে পরদিন সকালে কিছু একটার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলো তাঁকে। কিন্তু আমরা, বাংলাদেশের দুই সাংবাদিক কোথায় যাই?
পরের দেড় ঘণ্টা যা হলো, সেটির বিস্তারিততে আর না-ই যাই। সংক্ষেপে জানাই, এমজেআই নামে একটা হোটেলে নাকি রুম আছে, খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গেলাম। রিসেপশনে ঢুকেই হোটেলটা চরম অপছন্দ হলো। হোটেলের লোকজনকেও। এই বিরক্তির মধ্যেও আমার কেমন যেন লাগতে শুরু করল। হোটেলটা এত চেনা-চেনা লাগছে কেন! সোনার কেল্লার মুকুলের মতো জাতিস্মর হয়ে গেলাম নাকি! পূর্বজন্মে কখনো এসেছিলাম এখানে!
হঠাত্ই বিদ্যুচ্চমকের মতো মনে হলো, পূর্বজন্মে কেন, এই জন্মেরই তো ঘটনা। ২০০৪ সালে সেন্ট লুসিয়ায় এসে প্রথম এই হোটেলটাতেই উঠেছিলাম। রাতটা কোনোমতে কাটিয়ে সকালেই চলে গিয়েছিলাম ওই গ্লেনক্যাসলে। এবারও সেই এমজিআই, সেই গ্লেনক্যাসল—কাকতালীয় বললেও যেন পুরোপুরি বোঝানো যাচ্ছে না।
মিল আছে আরও। এবারও কোনোমতে শুধু রাতটাই পার করলাম এখানে। হোটেলের মূল ভবন থেকে অনেক দূরে প্রায় জঙ্গলের মধ্যে একটা রুম। তার চেয়েও ভয়াবহ, ইন্টারনেট নেই। যে কারণে এই দুর্ভোগের কাহিনি অফিস পর্যন্ত পৌঁছুবে কি না, তা নিয়েও সংশয়ে ভুগছি। এখন ছুটছি প্রথমে ইন্টারনেট, তার পর অন্য কোনো হোটেলের খোঁজে। এসব করে সময়মতো মাঠে যেতে পারলে হয়!
সেন্ট লুসিয়া, ১১ মে
মঙ্গলবার রাতের অভিজ্ঞতার সবচেয়ে জুতসই বর্ণনা হতে পারে এটাই। বারবাডোজ থেকে রাত সাড়ে সাতটার ফ্লাইটে আবার সেন্ট লুসিয়ায়। মাত্র ত্রিশ মিনিটের ফ্লাইট। কিন্তু লিয়াট এয়ারলাইনসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার এমনই করুণ দশা যে সেটিকেই মনে হলো অনন্তকাল! তার মধ্যেও মনে একটা শান্তি, হোটেল ঠিক করা আছে। এই তো আর কিছুক্ষণ। চেক ইন করে লম্বা একটা স্নান। তারপর ঘুম।
সেন্ট লুসিয়াতেই শুরু হয়েছিল আমার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তখনই দেখে গেছি, সুপার এইটের শেষ দুই দিন আর সেমিফাইনালের সময়টায় সব হোটেলে ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই...’ অবস্থা। সেবার ছিলাম ‘পাম হাভেন’ হোটেলে। সেটিতে খোঁজ নিয়ে জানতে হয়েছে, ‘স্যরি, উই আর ফুলিল বুকড্।’ ইন্টারনেটে ঘেঁটে কাছাকাছিই ‘দ্য ওশেন ভিউ’ নামের একটা হোটেল বুক করেছি।
ইন্টারনেটেই করতে চেয়েছিলাম। স্থানীয় এক সাংবাদিক বন্ধু বলল, হোটেলের নাম্বার দিচ্ছি। ইন্টারনেটের চেয়ে সরাসরি ফোন করে বুক করাটাই ভালো হবে। সেটিই করলাম। নিশ্চয়তা হিসেবে ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত দিতে হলো। জানানো হলো, ১০ মে রিসেপশনে এসে নাম বললেই হবে।
বারবাডোজে ভারতীয় সাংবাদিকদের অনেককে হোটেল না পেয়ে চুল ছিঁড়তে দেখে কখনো কখনো মনে মনে, বেশির ভাগ সময়ই প্রকাশ্যে হেসেছি। ভারত খেলছে, জানা কথাই এমন হবে। হোটেলে আগে বুকিং দিতে পারিসিন গাধা!
মঙ্গলবার রাতের অভিজ্ঞতাটা ওদের আর বলব না ঠিক করেছি। ওই হাসি ফেরত দেওয়ার সুযোগ কেন দেব? এয়ারপোর্ট থেকে ট্যাক্সি নেওয়ার পর ট্যাক্সি ড্রাইভার যেখানে নামতে বলল, সেখানে নেমে আমি স্মৃতিকাতরতায় আক্রান্ত। ডানেই গ্লেনক্যাসল রিসর্ট। আরে, ২০০৪ সালে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেন্ট লুসিয়া টেস্টের সময় তো এই হোটেলেই ছিলাম।
কিন্তু ওশেন ভিউ হোটেলটা কোথায়? ট্যাক্সি ড্রাইভার জানাল, এটাই ওশেন ভিউ। কিছুদিন আগে ঋণখেলাপি বলে গ্লেনক্যাসলকে নিলামে তোলা হয়েছে। মালিকানা বদলের সঙ্গে বদল হয়েছে নামও। তবে নামফলকটা এখনো বদলানো হয়নি, সেখানে গ্লেনক্যাসলই আছে।
পুরোনো জায়গায় ফিরে আসায় একটা সুখানুভূতি তো কাজ করেই। রিসেপশনে গিয়েই সেটি উধাও। কৃষ্ণাঙ্গ স্থূলাঙ্গিনী পাথুরে মুখে সুখবরটা দিলেন, এই নামে কোনো বুকিং নেই এবং হোটেল পুরো বুকড্। অন্য কোথাও দেখুন।
হতভম্ব ভাবটা কাটিয়ে ওঠার পরই চিত্কার-চেঁচামেচি শুরু করলাম। ফাজলামো নাকি, দশ দিন আগে রুম বুক করেছি, মোবাইলের কল রেজিস্ট্রার থেকে হোটেলের নাম্বার বের করে প্রমাণও দেখালাম। ওই ভদ্রমহিলা অনড়, এই নামে কোনো বুকিং নেই। তা ছাড়া আমি এখানকার নিরাপত্তাকর্মী। হোটেলের মালিক বারে আছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলো। গেলাম সেখানে। ছোটখাটো শ্বেতাঙ্গ এক লোক। তাঁরও একই কথা। আমার গলা একটু চড়তেই তিনিও তারস্বরে চিত্কার শুরু করলেন। হোটেলের সামনে সুইমিং পুলের পাশে ভারতীয়রা গিজগিজ করছে। ঘটনা শুনে অনেকেই সহানুভূতি প্রকাশের সঙ্গে কত কষ্টে রুম পেয়েছেন সেটির সবিস্তার বর্ণনা দিলেন। সেন্ট লুসিয়ায় যে কোনো হোটেলে জায়গা নেই, সেই দুঃসংবাদও।
রিসেপশনে ফিরে থম ধরে বসে আছি। বডিগার্ডের মতো বিশাল শরীরের এক কৃষ্ণাঙ্গকে নিয়ে ঢুকলেন একজন। তিনিও কৃষ্ণাঙ্গ। সুঠাম শরীর। রিসেপশনে কাউকে না পেয়ে আমার ঘটনা জানলেন। জানার পর সমবেদনার সুরে আমি বড় ভুল করে ফেলেছি, ই-মেইলে হোটেল থেকে একটা কনফারমেশন নেওয়া উচিত ছিল ইত্যাদি বলে ব্যাগ থেকে নিজের কনফারমেশন ই-মেইলটা বের করলেন। ফলাফল অবশ্য একই—হোটেলের কম্পিউটারে তাঁরও নাকি নাম নেই! ‘দেখিয়া জুতার দুঃখ ঘুচিয়া’ যাওয়ার আসল কারণ অবশ্য অন্য। আমি তো ক্রেডিট কার্ডে শুধু বুকিং করেছি, ওই ভদ্রলোকের ক্রেডিট কার্ড থেকে বুকিং করার সময়ই সাড়ে তিন শ ডলারের মতো কেটে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ অনুমিত। ওই শ্বেতাঙ্গ মালিক এলেন, তাঁর সঙ্গে চিত্কার-চেঁচামেচি। ছাপার অযোগ্য চার বর্ণের ইংরেজি শব্দটার ঝড় বইল। ‘জ্যামাইকা হলে এখনই তোর বাপের নাম ভুলিয়ে দিতাম’—সবচেয়ে ভদ্র কথা এটাই মনে পড়ছে।
বুঝতেই পারছেন, অতিথি জ্যামাইকান। জ্যামাইকাতে রাস্তায় ধাক্কা লাগলেও অনেক সময় পকেট থেকে পিস্তল বেরিয়ে আসে। হুমকিটা তাই ফাঁকা বুলি বলে মনে হলো না। হুমকিতে কাজও হলো। রাতের মতো হোটেলের স্টাফদের একটা ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে পরদিন সকালে কিছু একটার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলো তাঁকে। কিন্তু আমরা, বাংলাদেশের দুই সাংবাদিক কোথায় যাই?
পরের দেড় ঘণ্টা যা হলো, সেটির বিস্তারিততে আর না-ই যাই। সংক্ষেপে জানাই, এমজেআই নামে একটা হোটেলে নাকি রুম আছে, খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গেলাম। রিসেপশনে ঢুকেই হোটেলটা চরম অপছন্দ হলো। হোটেলের লোকজনকেও। এই বিরক্তির মধ্যেও আমার কেমন যেন লাগতে শুরু করল। হোটেলটা এত চেনা-চেনা লাগছে কেন! সোনার কেল্লার মুকুলের মতো জাতিস্মর হয়ে গেলাম নাকি! পূর্বজন্মে কখনো এসেছিলাম এখানে!
হঠাত্ই বিদ্যুচ্চমকের মতো মনে হলো, পূর্বজন্মে কেন, এই জন্মেরই তো ঘটনা। ২০০৪ সালে সেন্ট লুসিয়ায় এসে প্রথম এই হোটেলটাতেই উঠেছিলাম। রাতটা কোনোমতে কাটিয়ে সকালেই চলে গিয়েছিলাম ওই গ্লেনক্যাসলে। এবারও সেই এমজিআই, সেই গ্লেনক্যাসল—কাকতালীয় বললেও যেন পুরোপুরি বোঝানো যাচ্ছে না।
মিল আছে আরও। এবারও কোনোমতে শুধু রাতটাই পার করলাম এখানে। হোটেলের মূল ভবন থেকে অনেক দূরে প্রায় জঙ্গলের মধ্যে একটা রুম। তার চেয়েও ভয়াবহ, ইন্টারনেট নেই। যে কারণে এই দুর্ভোগের কাহিনি অফিস পর্যন্ত পৌঁছুবে কি না, তা নিয়েও সংশয়ে ভুগছি। এখন ছুটছি প্রথমে ইন্টারনেট, তার পর অন্য কোনো হোটেলের খোঁজে। এসব করে সময়মতো মাঠে যেতে পারলে হয়!
সেন্ট লুসিয়া, ১১ মে
No comments