বাংলাদেশ ‘এক শতে আশি’! by আরিফ রনি
টুর্নামেন্টের শুরুতে তো আপনাদের লক্ষ্য ছিল একটা জয়’—কেউ একজন এটুকু বলতেই ভুল ধরিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান, ‘লক্ষ্য কিন্তু ছিল চারটা ম্যাচই জেতা!’
কিন্তু হয়েছে তো ঠিক উল্টো। হারতে হয়েছে প্রতিটি ম্যাচ। সেটাও আবার এমন এক টুর্নামেন্টে, যেটিকে মনে করা হচ্ছিল বাংলাদেশের জন্য বড় এক পরীক্ষা। তো এই পরীক্ষায় মোট নম্বর যদি থাকে ১০০, কত পেল বাংলাদেশ? সাকিবের উত্তরটা নিশ্চিতভাবেই চমকে দেবে আপনাকে, ‘৮০!’
লেটার মার্কসের কথা চমক দেওয়ার জন্য তো আর বলেননি, ব্যাখ্যাটাও দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘এই টুর্নামেন্ট থেকে ইতিবাচক অনেক কিছুই নেওয়ার আছে। ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত ভালো করেছে। গত তিনটি ম্যাচে খুব বাজে কন্ডিশনে বোলিং করেছি, কিন্তু আজ কন্ডিশন ভালো থাকায় আমাদের বোলাররাও ভালা করেছে। এই বিশ্বাসটা পেয়েছি, আমাদের বোলাররা গত মৌসুমের ফর্মটা হারিয়ে ফেলেনি। সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো—খুব ভালো খেলছি না, তারপরও প্রতি ম্যাচে আড়াই শ রান করছি, যেটা আগে কখনো দেখা যায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেটে।’ সাকিবের কথায় আস্থা পাচ্ছেন না? তাহলে শুনুন এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় তারকা বিরাট কোহলির কথা, ‘বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে প্রতিটি ম্যাচে পরে বোলিং করতে হয়েছে। না হলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত!’
ব্যাটসম্যানদের নিয়ে হয়তো কারও কোনো প্রশ্ন নেই। কেউ সেঞ্চুরি পাননি, তবে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের এই ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি আগে কখনো। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে হতাশাজনক অধ্যায় ছিল বোলিং। তবে বোলারদের নিয়ে সাকিবের ‘কন্ডিশন’-সংক্রান্ত দাবিটা যে অমূলক নয়, তার কিছুটা প্রমাণ দিতে পারে পরিসংখ্যানও।
টুর্নামেন্টে কালই সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। আগের তিন ম্যাচ মিলে স্পিনাররা সাকল্যে নিতে পেরেছিলেন ৩ উইকেট, কাল এক ম্যাচেই নিয়েছেন ৩টি। সাকিবের দাবিকে তাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ওয়ানডেতে যে হাতটার দিকে দল সবচেয়ে বেশি তাকিয়ে থাকে, সেই আবদুর রাজ্জাক উইকেট পেলেন না কালও। উইকেটশূন্য থাকলেন পুরো টুর্নামেন্টেই। তবে অধিনায়ককে পাশেই পেয়েছেন এই বাঁহাতি, ‘আগের ম্যাচগুলোর কথা বলব না, তবে আজ রাজ ভাইয়ের (রাজ্জাক) আরও ভালো বোলিং করা উচিত ছিল। তিনি অভিজ্ঞ স্পিনার। অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবেন।’
ফাইনালের আশা শেষ আগেই, শেষ ম্যাচে তাই শাহরিয়ার নাফীস-আফতাব আহমেদদের সেরা একাদশে দেখার প্রত্যাশা করেছিলেন কেউ কেউ। তবে সাকিব জানালেন, ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাই ব্যাটিং লাইনআপে ছন্দপতন ঘটাতে চাননি। আর সবচেয়ে বড় হতাশা? এবার সাকিব অসহায়, ‘ফিল্ডিংয়ে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে, কখনোই আমরা একটা ভালো ফিল্ডিং দল ছিলাম না। এ নিয়ে তাই আর কথা বলতে চাই না।’
‘আশি ভাগ সাফল্যে’র টুর্নামেন্টেও ফাইনালে স্বাগতিকেরা শুধুই দর্শক। তবে একদিক থেকে এটাকেও ‘ইতিবাচক দৃষ্টিতে’ দেখতে পারেন, টেস্ট সিরিজ নিয়ে ভাবার জন্য বেশি সময় তো পাওয়া গেল!
কিন্তু হয়েছে তো ঠিক উল্টো। হারতে হয়েছে প্রতিটি ম্যাচ। সেটাও আবার এমন এক টুর্নামেন্টে, যেটিকে মনে করা হচ্ছিল বাংলাদেশের জন্য বড় এক পরীক্ষা। তো এই পরীক্ষায় মোট নম্বর যদি থাকে ১০০, কত পেল বাংলাদেশ? সাকিবের উত্তরটা নিশ্চিতভাবেই চমকে দেবে আপনাকে, ‘৮০!’
লেটার মার্কসের কথা চমক দেওয়ার জন্য তো আর বলেননি, ব্যাখ্যাটাও দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘এই টুর্নামেন্ট থেকে ইতিবাচক অনেক কিছুই নেওয়ার আছে। ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত ভালো করেছে। গত তিনটি ম্যাচে খুব বাজে কন্ডিশনে বোলিং করেছি, কিন্তু আজ কন্ডিশন ভালো থাকায় আমাদের বোলাররাও ভালা করেছে। এই বিশ্বাসটা পেয়েছি, আমাদের বোলাররা গত মৌসুমের ফর্মটা হারিয়ে ফেলেনি। সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো—খুব ভালো খেলছি না, তারপরও প্রতি ম্যাচে আড়াই শ রান করছি, যেটা আগে কখনো দেখা যায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেটে।’ সাকিবের কথায় আস্থা পাচ্ছেন না? তাহলে শুনুন এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় তারকা বিরাট কোহলির কথা, ‘বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে প্রতিটি ম্যাচে পরে বোলিং করতে হয়েছে। না হলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত!’
ব্যাটসম্যানদের নিয়ে হয়তো কারও কোনো প্রশ্ন নেই। কেউ সেঞ্চুরি পাননি, তবে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর বিপক্ষে ব্যাটসম্যানদের এই ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি আগে কখনো। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে হতাশাজনক অধ্যায় ছিল বোলিং। তবে বোলারদের নিয়ে সাকিবের ‘কন্ডিশন’-সংক্রান্ত দাবিটা যে অমূলক নয়, তার কিছুটা প্রমাণ দিতে পারে পরিসংখ্যানও।
টুর্নামেন্টে কালই সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। আগের তিন ম্যাচ মিলে স্পিনাররা সাকল্যে নিতে পেরেছিলেন ৩ উইকেট, কাল এক ম্যাচেই নিয়েছেন ৩টি। সাকিবের দাবিকে তাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ওয়ানডেতে যে হাতটার দিকে দল সবচেয়ে বেশি তাকিয়ে থাকে, সেই আবদুর রাজ্জাক উইকেট পেলেন না কালও। উইকেটশূন্য থাকলেন পুরো টুর্নামেন্টেই। তবে অধিনায়ককে পাশেই পেয়েছেন এই বাঁহাতি, ‘আগের ম্যাচগুলোর কথা বলব না, তবে আজ রাজ ভাইয়ের (রাজ্জাক) আরও ভালো বোলিং করা উচিত ছিল। তিনি অভিজ্ঞ স্পিনার। অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবেন।’
ফাইনালের আশা শেষ আগেই, শেষ ম্যাচে তাই শাহরিয়ার নাফীস-আফতাব আহমেদদের সেরা একাদশে দেখার প্রত্যাশা করেছিলেন কেউ কেউ। তবে সাকিব জানালেন, ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাই ব্যাটিং লাইনআপে ছন্দপতন ঘটাতে চাননি। আর সবচেয়ে বড় হতাশা? এবার সাকিব অসহায়, ‘ফিল্ডিংয়ে আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে, কখনোই আমরা একটা ভালো ফিল্ডিং দল ছিলাম না। এ নিয়ে তাই আর কথা বলতে চাই না।’
‘আশি ভাগ সাফল্যে’র টুর্নামেন্টেও ফাইনালে স্বাগতিকেরা শুধুই দর্শক। তবে একদিক থেকে এটাকেও ‘ইতিবাচক দৃষ্টিতে’ দেখতে পারেন, টেস্ট সিরিজ নিয়ে ভাবার জন্য বেশি সময় তো পাওয়া গেল!
No comments