নেপালে মাওবাদীদের ভারতবিরোধী বিক্ষোভ
ভারতের বিরুদ্ধে নেপালি ভূখণ্ড দখলের অভিযোগ তুলে গতকাল সোমবার ভারতবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে নেপালের সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহীরা। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার নেপাল সফর সামনে রেখে মাওবাদীরা এ বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
কাঞ্চনপুর জেলায় অনুষ্ঠিত ভারতবিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন মাওবাদীপ্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ড। ওই এলাকার ভারতীয় অংশে মহাকলি নদীর ওপর টনকপুর বাঁধ তৈরি করছে ভারত। বাঁধ নির্মাণের তীব্র নিন্দা করেছে মাওবাদীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই বাঁধ নির্মাণের ফলে ভারতীয় পক্ষ বেশি সেচসুবিধা পাবে। বিক্ষোভে প্রচণ্ড বলেন, নেপালের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নতুন আন্দোলনের পুরোভাগে থাকবে তাঁর দল। তাঁর অভিযোগ, বিদেশি শক্তিগুলো প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপালের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।
নেপালের পশ্চিমাঞ্চলীয় নাওয়ালপারাশি জেলায় একই ধরনের একটি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন প্রচণ্ডর ডেপুটি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই। নেপালিদের অভিযোগ, ওই এলাকায় সুসতা নামের একটি গ্রাম অবৈধভাবে দখলে নিয়েছে ভারতীয়রা।
পূর্বাঞ্চলীয় আইলাম জেলার পশুপতিনগরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন মাওবাদীদের অপর প্রভাবশালী নেতা মোহন ভাইদইয়া কিরাণ। বিরোধপূর্ণ আরও দুটি জায়গায় বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সাবেক মাওবাদী প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাম বাহাদুর থাপা বাদল এবং জ্যেষ্ঠ মাওবাদী নেতা নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা। ‘ভারতীয় দখলদারির’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আজ মঙ্গলবারও অব্যাহত থাকবে।
ভারত ও নেপালের মধ্যে এক হাজার ৮০০ কিলোমিটারের যৌথ সীমান্ত রয়েছে। সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জায়গায় বিরোধ রয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ বিরোধ চলছে নেপালের দারচুলা জেলার কালাপানি সীমান্তে। চীন ভারত আক্রমণ করার পর ১৯৬২ সালে ভারতীয় সেনারা সেখানে ঘাঁটি স্থাপন করে। ঘাঁটিটি এখনো রয়েছে।
কালাপানিতে একটি বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল প্রচণ্ডর। কিন্তু পরে ওই কর্মসূচি বাতিল করা হয়। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার তিন দিনের নেপাল সফর সামনে রেখে মাওবাদীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। ১৫ জানুয়ারি নেপালে প্রথম সরকারি সফর শুরু করবেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ১৯৫০ সালের ভারত-নেপাল শান্তি ও বন্ধুত্ব চুক্তিসহ ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত ‘অসম’ চুক্তিগুলোর অনুলিপিতে অগ্নিসংযোগের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে মাওবাদীরা।
১৯ জানুয়ারি ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল দীপক কাপুরও নেপাল সফরে যাচ্ছেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সিংহ দরবারের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহীরা। সিংহ দরবারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়াও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় অবস্থিত।
কাঞ্চনপুর জেলায় অনুষ্ঠিত ভারতবিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন মাওবাদীপ্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল প্রচণ্ড। ওই এলাকার ভারতীয় অংশে মহাকলি নদীর ওপর টনকপুর বাঁধ তৈরি করছে ভারত। বাঁধ নির্মাণের তীব্র নিন্দা করেছে মাওবাদীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই বাঁধ নির্মাণের ফলে ভারতীয় পক্ষ বেশি সেচসুবিধা পাবে। বিক্ষোভে প্রচণ্ড বলেন, নেপালের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নতুন আন্দোলনের পুরোভাগে থাকবে তাঁর দল। তাঁর অভিযোগ, বিদেশি শক্তিগুলো প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপালের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।
নেপালের পশ্চিমাঞ্চলীয় নাওয়ালপারাশি জেলায় একই ধরনের একটি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন প্রচণ্ডর ডেপুটি ও সাবেক অর্থমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই। নেপালিদের অভিযোগ, ওই এলাকায় সুসতা নামের একটি গ্রাম অবৈধভাবে দখলে নিয়েছে ভারতীয়রা।
পূর্বাঞ্চলীয় আইলাম জেলার পশুপতিনগরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন মাওবাদীদের অপর প্রভাবশালী নেতা মোহন ভাইদইয়া কিরাণ। বিরোধপূর্ণ আরও দুটি জায়গায় বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সাবেক মাওবাদী প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাম বাহাদুর থাপা বাদল এবং জ্যেষ্ঠ মাওবাদী নেতা নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা। ‘ভারতীয় দখলদারির’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আজ মঙ্গলবারও অব্যাহত থাকবে।
ভারত ও নেপালের মধ্যে এক হাজার ৮০০ কিলোমিটারের যৌথ সীমান্ত রয়েছে। সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জায়গায় বিরোধ রয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ বিরোধ চলছে নেপালের দারচুলা জেলার কালাপানি সীমান্তে। চীন ভারত আক্রমণ করার পর ১৯৬২ সালে ভারতীয় সেনারা সেখানে ঘাঁটি স্থাপন করে। ঘাঁটিটি এখনো রয়েছে।
কালাপানিতে একটি বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল প্রচণ্ডর। কিন্তু পরে ওই কর্মসূচি বাতিল করা হয়। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণার তিন দিনের নেপাল সফর সামনে রেখে মাওবাদীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। ১৫ জানুয়ারি নেপালে প্রথম সরকারি সফর শুরু করবেন তিনি।
১৪ জানুয়ারি ১৯৫০ সালের ভারত-নেপাল শান্তি ও বন্ধুত্ব চুক্তিসহ ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত ‘অসম’ চুক্তিগুলোর অনুলিপিতে অগ্নিসংযোগের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে মাওবাদীরা।
১৯ জানুয়ারি ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল দীপক কাপুরও নেপাল সফরে যাচ্ছেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সিংহ দরবারের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহীরা। সিংহ দরবারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়াও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় অবস্থিত।
No comments