বিশ্বকাপে কোনো ভয় নেই!
এ বছরটা আফ্রিকান ফুটবলের জন্য ঐতিহাসিক বছর। বিশ্বকাপের আট দশকের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আফ্রিকা মহাদেশে বসছে ফুটবলের মহাযজ্ঞ। সেই গৌরবের রঙে কলঙ্কের তিলক পড়ল অ্যাঙ্গোলায় টোগো দলের ওপর হামলায়। এ ঘটনাকে ‘শোকাবহ’ বলছে দক্ষিণ আফ্রিকা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। তবে ২০১০ বিশ্বকাপের আয়োজকেরা জোর দিয়েই বলছে, এর কোনো প্রভাব ১১ জুন শুরু বিশ্বকাপে পড়বে না।
‘অ্যাঙ্গোলায় যা হয়েছে সেটিকে আমরা বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলা হিসেবেই বিবেচনা করছি। এটিকে এভাবেই দেখা উচিত। এর কোনো প্রভাব দক্ষিণ আফ্রিকায় পড়বে না। দক্ষিণ আফ্রিকা তো আর অ্যাঙ্গোলা নয়’—বলেছেন স্থানীয় আয়োজকদের মুখপাত্র রিচ এমকোন্ডো।
বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার পর অনেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দেশটির অপরাধপ্রবণতা, বর্ণবাদ সমস্যার পাশাপাশি অবকাঠামো নিয়েই সংশয় ছিল অনেকের। সংশয় আরও বেড়ে যায় স্টেডিয়াম নির্মাণশ্রমিকেরা ধর্মঘট শুরু করায়। কিন্তু সব মুছে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের মতো বিশাল যজ্ঞ আয়োজনে প্রস্তুত।
এর আগে দেশটি আয়োজন করেছে ১৯৯৫ রাগবি বিশ্বকাপ। ২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপও সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করেছে তারা। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও আয়োজক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছর ভারত থেকে সরে এসে এখানেই সফলভাবে হয়েছে আইপিএলের দ্বিতীয় আসর।
অ্যাঙ্গোলা থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকে এক কাতারে মেলালে চলবে না বলে মত দিচ্ছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জ্যাকি সিলিয়ার্সও, ‘সক্ষমতা, সীমান্তরক্ষা, সম্পদ, অবকাঠামো এবং বাকি সবদিক দিয়ে এই দুটো দেশ সম্পূর্ণ আলাদা। অ্যাঙ্গোলার চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার নিরাপত্তাব্যবস্থা শতগুণ ভালো।’
অ্যাঙ্গোলায় ওই অপ্রত্যাশিত ঘটনার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে প্রথম সংশয় প্রকাশ করেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের হাল সিটি কোচ ফিল ব্রাউন, ‘আমি আতঙ্কিত। এ ঘটনা আগামী বিশ্বকাপের সফল আয়োজনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করল। খেলোয়াড়, কর্মকর্তা আর সমর্থকদের নিয়ে সামান্য ঝুঁকিও আপনি নিতে পারেন না। এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’
তবে বিশ্বকাপ সামনে রেখে দেশটির পুরো অবকাঠামোতে পরিবর্তন নিয়ে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রস্তুত সাড়ে চার লাখ পর্যটক-সমর্থককে বরণ করে নিতে। আয়োজকদের মুখপাত্র এমকোন্ডো জোর দিয়েই বলছেন, ‘যারা টিকিট কেটেছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় আসছে তাদের আমরা এই ভ্রমণ উপভোগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। তারা অবশ্যই নিরাপদ থাকবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। টোগো ফুটবল দলের ওপর হামলাকে ‘দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য’ জানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা বলেছেন, এ ঘটনা দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ আয়োজনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারও জানিয়েছেন, এ ঘটনার পরও দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর থেকে বিন্দুমাত্র আস্থা কমেনি তাঁর।
‘অ্যাঙ্গোলায় যা হয়েছে সেটিকে আমরা বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলা হিসেবেই বিবেচনা করছি। এটিকে এভাবেই দেখা উচিত। এর কোনো প্রভাব দক্ষিণ আফ্রিকায় পড়বে না। দক্ষিণ আফ্রিকা তো আর অ্যাঙ্গোলা নয়’—বলেছেন স্থানীয় আয়োজকদের মুখপাত্র রিচ এমকোন্ডো।
বিশ্বকাপের স্বাগতিক হওয়ার পর অনেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দেশটির অপরাধপ্রবণতা, বর্ণবাদ সমস্যার পাশাপাশি অবকাঠামো নিয়েই সংশয় ছিল অনেকের। সংশয় আরও বেড়ে যায় স্টেডিয়াম নির্মাণশ্রমিকেরা ধর্মঘট শুরু করায়। কিন্তু সব মুছে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের মতো বিশাল যজ্ঞ আয়োজনে প্রস্তুত।
এর আগে দেশটি আয়োজন করেছে ১৯৯৫ রাগবি বিশ্বকাপ। ২০০৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপও সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করেছে তারা। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও আয়োজক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছর ভারত থেকে সরে এসে এখানেই সফলভাবে হয়েছে আইপিএলের দ্বিতীয় আসর।
অ্যাঙ্গোলা থেকে আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকে এক কাতারে মেলালে চলবে না বলে মত দিচ্ছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জ্যাকি সিলিয়ার্সও, ‘সক্ষমতা, সীমান্তরক্ষা, সম্পদ, অবকাঠামো এবং বাকি সবদিক দিয়ে এই দুটো দেশ সম্পূর্ণ আলাদা। অ্যাঙ্গোলার চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার নিরাপত্তাব্যবস্থা শতগুণ ভালো।’
অ্যাঙ্গোলায় ওই অপ্রত্যাশিত ঘটনার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে প্রথম সংশয় প্রকাশ করেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের হাল সিটি কোচ ফিল ব্রাউন, ‘আমি আতঙ্কিত। এ ঘটনা আগামী বিশ্বকাপের সফল আয়োজনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করল। খেলোয়াড়, কর্মকর্তা আর সমর্থকদের নিয়ে সামান্য ঝুঁকিও আপনি নিতে পারেন না। এটা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’
তবে বিশ্বকাপ সামনে রেখে দেশটির পুরো অবকাঠামোতে পরিবর্তন নিয়ে আসা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রস্তুত সাড়ে চার লাখ পর্যটক-সমর্থককে বরণ করে নিতে। আয়োজকদের মুখপাত্র এমকোন্ডো জোর দিয়েই বলছেন, ‘যারা টিকিট কেটেছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় আসছে তাদের আমরা এই ভ্রমণ উপভোগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। তারা অবশ্যই নিরাপদ থাকবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। টোগো ফুটবল দলের ওপর হামলাকে ‘দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য’ জানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা বলেছেন, এ ঘটনা দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ আয়োজনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারও জানিয়েছেন, এ ঘটনার পরও দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর থেকে বিন্দুমাত্র আস্থা কমেনি তাঁর।
No comments