এই গাড়িও ঢাকায় চলে!
গাড়ি
রাস্তায় চলছে ঠিকই। কিন্তু একটি গাড়িরও নেই কোনো সঠিক কাঠামো। কোনটির দরজা
নেই। কোনটির জানালা নেই। কোনটির ছাদ ঢাকা হালকা টিন দিয়ে। এমনই চিত্র দেখা
গেছে রাজধানীর গুলিস্তান থেকে ছেড়ে যাওয়া বেশির ভাগ টেম্পু ও লেগুনার।
তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব গাড়িতে যাতায়াত করছেন কেরানীগঞ্জ এলাকার
অধিকাংশ মানুষ। গুলিস্তান ফ্লাইওভারের নিচে এই লেগুনা এবং টেম্পুগুলোর
স্টেশন।
এই স্টেশনের আওতাধীন রয়েছে ৫৭টি লেগুনা ও ৬০টি টেম্পু। গুলিস্তান থেকে লেগুনাগুলো যায় কেরানীগঞ্জের নিমতলীতে। আর টেম্পুগুলোর গন্তব্য রোহিতপুর। একটি টেম্পুতে ১৮ জন যাত্রীকে বসানো হয় গাদাগাদি করে। প্রতিজন ৩০ টাকা করে ভাড়া দেন। স্ট্যান্ডে প্রতিদিন একটি লেগুনা ৬০০ ও একটি টেম্পু ৫১০ টাকা চাঁদা দেয়। এই চাঁদা স্থানীয় নেতারা পান বলে চালক ও সহকারীরা জানিয়েছেন।
লেগুনা চালক বাবু মিয়া মানবজমিনকে বলেন, ১২ বছর ধরে আমি এই লেগুনার সঙ্গে জড়িত। প্রথম পাঁচ বছর হেলপার হিসেবে ছিলাম। গত ৭ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছি। প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা ইনকাম করি। এটা দিয়ে আমার পরিবার চলে। ড্রাইভার এবং গাড়ির লাইসেন্স বা কাগজ ঠিক আছে কিনা জানতে চাইলে বাবু মিয়া বলেন, আমার গাড়ির কোনো লাইসেন্স নেই। আর নিজেরও নেই। এখানকার অনেক গাড়িরই লাইসেন্স নেই। সবাই এভাবেই গাড়ি চালায়। লাইসেন্স না থাকায় প্রায় সময় পুলিশ আমাদের বিভিন্ন জায়গায় আটকায়। পরে মালিক সমিতির নেতারা দেন-দরবার করে আমাদের উদ্ধার করে।
গুলিস্তান এলাকায় টেম্পু চালান মোবারক হোসেন। বাড়ি চকবাজারে। তিনি বলেন, পাঁচ বছর ধরে এই এলাকায় টেম্পু চালাই। প্রথমে নিজের গাড়ি ছিল। গত বছর সেটা বিক্রি করে দিয়েছি। লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে মোবারক বলেন, শুধু আমার না এখানকার কোনো গাড়ি এবং ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই। এভাবেই সবাই গাড়ি চালায়। আবু বকর। বাড়ি নিমতলী। গুলিস্তান এলাকায় ১০ বছর ধরে হার্ডওয়্যার ব্যবসা করেন তিনি। প্রতিদিনই যাতায়াত করেন লেগুনা দিয়ে। আবু বকর মানবজমিনকে বলেন, আমি ১০ বছর ধরে লেগুনা দিয়েই যাতায়াত করি। এই রোডে বাস দিয়ে যাতয়াতেরও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। আমার বাড়ি যাওয়ার জন্য লেগুনাই সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।
লেগুনাগুলোর ফিটনেস নেই বললেই চলে। তবে রাতের বেলা যাতায়াতের সময় কিছুটা ভয় করে। বিশেষ করে বর্ষাকালে। এই সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। গুলিস্তান এক চায়ের দোকানে কথা হয় লেগুনা মালিক খায়রুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি নিজেই লেগুনা চালান। খায়রুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, টেম্পু দিয়ে পরিবহন সেক্টরে আমি এসেছি। সিএনজি চালিয়েছি। বাস চালিয়েছি। এখন নিজেই কয়েকটি লেগুনা কিনে ব্যবসা করছি। মাঝে মাঝে নিজেই লেগুনা চালাই। আমার বেশির ভাগ গাড়ি কিস্তিতে কেনা। লেগুনার যাত্রী ঢাকায় অনেক। যেসব রাস্তায় বাস চলে না সেসব রাস্তার জন্য লেগুনা বন্ধুর মতো।
লেগুনা যদি না থাকে তাহলে যাত্রীদের ১০ টাকার ভাড়া ৮০ টাকা রিকশা ভাড়া দিতে হবে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ডিসি এম মুরাদ জানান, এগুলো বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল। পরে এটা মনিটরিং করে সেন্ট্রালি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যেসব স্থানে হালকা যানের প্রয়োজন আছে সেসব স্থানে লেগুনা এবং টেম্পু চলে। আমার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাদের চলাচল করতে দিচ্ছি না। কোথায় কোথায় লেগুনা চলবে, আর কোথায় চলবে না, তার পর্যালোচনা চলছে। আমরা হালকা যানটির রুটগুলোকে পুনর্বিন্যাসের কাজ করছি। আর যেগুলোর কোনো কাগজপত্র নেই আমরা সেগুলোর আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেক লেগুনা চালকের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর। তাদের হাতে যানবাহন কতটুকু নিরাপদ জানতে চাইলে এম মুরাদ বলেন, আসলে আগে লেগুনা বা টেম্পু চালকরা খুব কম বয়সী ছিল। কিন্তু পরে আমরা সেসব চালকদের আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। অনেককে আটকও করা হয়েছে। এখন কম বয়সী চালক তেমন একটা দেখা যায় না। তবে যদি থেকেও থাকে আমরা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।
এই স্টেশনের আওতাধীন রয়েছে ৫৭টি লেগুনা ও ৬০টি টেম্পু। গুলিস্তান থেকে লেগুনাগুলো যায় কেরানীগঞ্জের নিমতলীতে। আর টেম্পুগুলোর গন্তব্য রোহিতপুর। একটি টেম্পুতে ১৮ জন যাত্রীকে বসানো হয় গাদাগাদি করে। প্রতিজন ৩০ টাকা করে ভাড়া দেন। স্ট্যান্ডে প্রতিদিন একটি লেগুনা ৬০০ ও একটি টেম্পু ৫১০ টাকা চাঁদা দেয়। এই চাঁদা স্থানীয় নেতারা পান বলে চালক ও সহকারীরা জানিয়েছেন।
লেগুনা চালক বাবু মিয়া মানবজমিনকে বলেন, ১২ বছর ধরে আমি এই লেগুনার সঙ্গে জড়িত। প্রথম পাঁচ বছর হেলপার হিসেবে ছিলাম। গত ৭ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছি। প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা ইনকাম করি। এটা দিয়ে আমার পরিবার চলে। ড্রাইভার এবং গাড়ির লাইসেন্স বা কাগজ ঠিক আছে কিনা জানতে চাইলে বাবু মিয়া বলেন, আমার গাড়ির কোনো লাইসেন্স নেই। আর নিজেরও নেই। এখানকার অনেক গাড়িরই লাইসেন্স নেই। সবাই এভাবেই গাড়ি চালায়। লাইসেন্স না থাকায় প্রায় সময় পুলিশ আমাদের বিভিন্ন জায়গায় আটকায়। পরে মালিক সমিতির নেতারা দেন-দরবার করে আমাদের উদ্ধার করে।
গুলিস্তান এলাকায় টেম্পু চালান মোবারক হোসেন। বাড়ি চকবাজারে। তিনি বলেন, পাঁচ বছর ধরে এই এলাকায় টেম্পু চালাই। প্রথমে নিজের গাড়ি ছিল। গত বছর সেটা বিক্রি করে দিয়েছি। লাইসেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে মোবারক বলেন, শুধু আমার না এখানকার কোনো গাড়ি এবং ড্রাইভারের লাইসেন্স নেই। এভাবেই সবাই গাড়ি চালায়। আবু বকর। বাড়ি নিমতলী। গুলিস্তান এলাকায় ১০ বছর ধরে হার্ডওয়্যার ব্যবসা করেন তিনি। প্রতিদিনই যাতায়াত করেন লেগুনা দিয়ে। আবু বকর মানবজমিনকে বলেন, আমি ১০ বছর ধরে লেগুনা দিয়েই যাতায়াত করি। এই রোডে বাস দিয়ে যাতয়াতেরও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। আমার বাড়ি যাওয়ার জন্য লেগুনাই সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।
লেগুনাগুলোর ফিটনেস নেই বললেই চলে। তবে রাতের বেলা যাতায়াতের সময় কিছুটা ভয় করে। বিশেষ করে বর্ষাকালে। এই সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। গুলিস্তান এক চায়ের দোকানে কথা হয় লেগুনা মালিক খায়রুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি নিজেই লেগুনা চালান। খায়রুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, টেম্পু দিয়ে পরিবহন সেক্টরে আমি এসেছি। সিএনজি চালিয়েছি। বাস চালিয়েছি। এখন নিজেই কয়েকটি লেগুনা কিনে ব্যবসা করছি। মাঝে মাঝে নিজেই লেগুনা চালাই। আমার বেশির ভাগ গাড়ি কিস্তিতে কেনা। লেগুনার যাত্রী ঢাকায় অনেক। যেসব রাস্তায় বাস চলে না সেসব রাস্তার জন্য লেগুনা বন্ধুর মতো।
লেগুনা যদি না থাকে তাহলে যাত্রীদের ১০ টাকার ভাড়া ৮০ টাকা রিকশা ভাড়া দিতে হবে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ডিসি এম মুরাদ জানান, এগুলো বেশ কয়েকদিন বন্ধ ছিল। পরে এটা মনিটরিং করে সেন্ট্রালি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যেসব স্থানে হালকা যানের প্রয়োজন আছে সেসব স্থানে লেগুনা এবং টেম্পু চলে। আমার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তাদের চলাচল করতে দিচ্ছি না। কোথায় কোথায় লেগুনা চলবে, আর কোথায় চলবে না, তার পর্যালোচনা চলছে। আমরা হালকা যানটির রুটগুলোকে পুনর্বিন্যাসের কাজ করছি। আর যেগুলোর কোনো কাগজপত্র নেই আমরা সেগুলোর আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। অনেক লেগুনা চালকের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর। তাদের হাতে যানবাহন কতটুকু নিরাপদ জানতে চাইলে এম মুরাদ বলেন, আসলে আগে লেগুনা বা টেম্পু চালকরা খুব কম বয়সী ছিল। কিন্তু পরে আমরা সেসব চালকদের আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। অনেককে আটকও করা হয়েছে। এখন কম বয়সী চালক তেমন একটা দেখা যায় না। তবে যদি থেকেও থাকে আমরা এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।
No comments