সৌদি-ইরান উত্তেজনা: কায়রোয় আরব নেতাদের জরুরি বৈঠক
ইরান
ও তার মদদপুষ্ঠ জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জরুরি বৈঠকে
বসছে আরব দেশগুলো। রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোতে সৌদি আরবসহ অন্য আরব
দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা
সংস্থা রয়টার্স। সৌদি আরব ও তার মিত্রদের দাবি, ইরান ও লেবাননের উগ্রপন্থি
দল হিজবুল্লাহ তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। সম্প্রতি লেবাননের
প্রধানমন্ত্রী সাদ আল হারিরি অকস্মাৎ পদত্যাগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে
শিয়াপন্থি ইরান ও সুন্নিপন্থি সৌদি আরবের মধ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি
পেতে শুরু করে। ইয়েমেন যুদ্ধের কারণে দুপক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বৈরী
সম্পর্ক ছিল। গত ৪ই নভেম্বর সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র সাদ আল হারিরি নিজের
পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
তার এই পদত্যাগের ঘোষণা রিয়াদ থেকে প্রচার করা হয়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তাকে গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি ইরান ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে আরব বিশ্বে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগ তোলেন। উল্লেখ্য, সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহ লেবানন সরকারের অংশ। দলটি প্রেসিডেন্ট মাইকেল আওনের ঘনিষ্ঠ। এদিকে, সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট আওন সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী হারিরিকে আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন। হারিরির ঘনিষ্ঠ একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদও বলেছেন, তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তবে সৌদি আরব ও হারিরি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মিসরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেনা’র খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের অনুরোধে আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে ইরানকে কিভাবে মোকাবিলা করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল জুবায়ের বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের কর্মকাণ্ড শুধু ইরানি আগ্রাসনের একটি প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, কিছু আরব দেশের বিরুদ্ধে ইরান যা করছে, তাতে এই সহিংসতা বন্ধে আরো পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে। তাদের রুখে দিতে একটি সমন্বিত আরবনীতি প্রয়োজন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, বৈঠকে নেতারা কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা জানা যায়নি।
তার এই পদত্যাগের ঘোষণা রিয়াদ থেকে প্রচার করা হয়। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তাকে গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি ইরান ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে আরব বিশ্বে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগ তোলেন। উল্লেখ্য, সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহ লেবানন সরকারের অংশ। দলটি প্রেসিডেন্ট মাইকেল আওনের ঘনিষ্ঠ। এদিকে, সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট আওন সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী হারিরিকে আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন। হারিরির ঘনিষ্ঠ একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদও বলেছেন, তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তবে সৌদি আরব ও হারিরি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মিসরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেনা’র খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের অনুরোধে আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে ইরানকে কিভাবে মোকাবিলা করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল জুবায়ের বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের কর্মকাণ্ড শুধু ইরানি আগ্রাসনের একটি প্রতিক্রিয়া। তিনি বলেন, কিছু আরব দেশের বিরুদ্ধে ইরান যা করছে, তাতে এই সহিংসতা বন্ধে আরো পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক হয়ে পড়েছে। তাদের রুখে দিতে একটি সমন্বিত আরবনীতি প্রয়োজন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, বৈঠকে নেতারা কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তা জানা যায়নি।
খবরে আরো বলা হয়, বৈঠকে অংশ
নিচ্ছেন না লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেবরান বাসিল। এক সূত্র জানিয়েছে,
লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার বলেছেন, তিনি বৈরুতেই আছেন। এই বৈঠকে তার
অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নেই। আরব লীগে থাকা লেবাননের প্রতিনিধি এন্তোইন
আজ্জাম লেবাননের হয়ে বৈঠকটিতে যোগ দিবেন। লেবাননের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা
রয়টার্সকে বলেছে, বৈঠকটিতে অংশগ্রহণ করলে সেখানে বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন
এমন আশঙ্কায় মিসর যাবেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে, ফ্রান্সের
প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রনের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে শনিবার ফ্রান্সে
পৌঁছান সাদ আল হারিরি। একই দিনে ম্যাক্রনের সঙ্গে প্যারিসে সাক্ষাৎও হয়
তার। সেখানে তার এক বক্তব্যে তিনি জানান, বুধবারের মধ্যে লেবাননে ফিরে
যাবেন তিনি। সেখানে ফিরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজের অবস্থান পরিষ্কার
করে তুলে ধরবেন। তিনি বলেন, তিনি এই সপ্তাহের লেবাননের স্বাধীনতা দিবস
উদযাপন করবেন বৈরুতে গিয়ে। উল্লেখ্য, আগআমী বুধবার লেবাননের স্বাধীনতা দিবস
উদযাপিত হতে চলেছে।
অন্যান্য অভিযোগের পাশাপাশি সৌদি আরব হিজবুল্লাহকে এই মাসে ইয়েমেন থেকে রিয়াদ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগও এনেছে। এছাড়া ইরানকে নিয়ে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, হুতি বিদ্রোহীদের রকেট সরবরাহ করে ইরান সরাসরি সামরিক আগ্রাসন দেখিয়েছে। তবে ইরান হুতি বিদ্রোহীদের রকেট সরবরাহ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও সৌদি আরব সমর্থিত সরকারকে দেশচ্যুত করেছে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহ এর প্রতি অনুগত হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে দেশটির সরকারি বাহিনী ও সরকারি বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে সৌদি আরব।
অন্যান্য অভিযোগের পাশাপাশি সৌদি আরব হিজবুল্লাহকে এই মাসে ইয়েমেন থেকে রিয়াদ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগও এনেছে। এছাড়া ইরানকে নিয়ে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, হুতি বিদ্রোহীদের রকেট সরবরাহ করে ইরান সরাসরি সামরিক আগ্রাসন দেখিয়েছে। তবে ইরান হুতি বিদ্রোহীদের রকেট সরবরাহ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও সৌদি আরব সমর্থিত সরকারকে দেশচ্যুত করেছে। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহ এর প্রতি অনুগত হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে দেশটির সরকারি বাহিনী ও সরকারি বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে সৌদি আরব।
No comments