কায়রোয় দফায় দফায় বোমা হামলা
কায়রোর পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে বোমা হামলায় আহত এক শিশুকে প্রাথমিক চিকিত্সার পর সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এএফপি |
মিসরের রাজধানী কায়রোয় পুলিশ সদর দপ্তরসহ তিনটি স্থানে গতকাল শুক্রবার দফায় দফায় বোমা হামলায় পুলিশের চার সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হন ৭০ জন। এর মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তরে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা চালানো হয়। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভের বার্ষিকীর আগের দিন সিরিজ বোমা হামলা চালানো হলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কায়রোতে পুলিশ সদর দপ্তরের কাছে প্রথম আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশের তিন সদস্যসহ চারজন নিহত ও অন্তত ৫১ জন আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকট শব্দে ওই বোমা বিস্ফোরণে পরপরই একদল মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলের আশপাশের ভবন লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পালিয়ে যায়। এর কয়েক ঘণ্টা পর কায়রোর কাছে দ্বিতীয় দফায় শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এতে পুলিশের এক সদস্য নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হন। নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এক ব্যক্তি নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িবহর লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে মারেন। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। এরও কয়েক ঘণ্টা পর পশ্চিম কায়রোর তালেবিয়া এলাকায় একটি থানার কাছে তৃতীয় বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদার ঘনিষ্ঠ জঙ্গি সংগঠন আনসার বেইত আল-মাকদিস এক বিবৃতিতে পুলিশ সদর দপ্তরের কাছে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তবে কর্তৃপক্ষ এসব হামলার জন্য নিষিদ্ধঘোষিত মুসলিম ব্রাদারহুডকে দায়ী করছে। যদিও ব্রাদারহুড অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, সরকার স্বৈরাচারী শাসন শুরু করেছে। এর প্রতিবাদে আজ ২৫ জানুয়ারি মোবারকবিরোধী গণ-আন্দোলনের বার্ষিকী সামনে রেখে গতকাল থেকেই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ব্রাদারহুড। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হাজেম আল-বেবলাওয়ি গতকাল সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘জঙ্গিরা’ রাজনৈতিক ‘রূপরেখা’ লাইনচ্যুত করার উদ্দেশে এসব হামলা চালাচ্ছে। কিন্তু এতে তারা সফল হবে না। প্রথম বোমা হামলার পর পুলিশ সদর দপ্তরের কাছে কয়েক শ লোক মুরসিরবিরোধী স্লোগান দেন। তাঁরা মুরসির ফাঁসি দাবি করেন। এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি।
No comments