এজবাস্টনে জিতলেই শীর্ষে ইংল্যান্ড
প্রথম দিনের চা-বিরতির কথা কি মনে পড়ছে মহেন্দ্র সিং ধোনির? পেসারদের জন্য স্বপ্নের কন্ডিশনে টানা দ্বিতীয় টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। ৮ উইকেটে ১২৪ রান নিয়ে চা-বিরতিতে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ইংলিশদের ১৪০-১৫০ রানে গুটিয়ে দিতে পারলে হয়তো প্রথম দিনেই ভারত ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে ফেলতে পারত। কিন্তু স্টুয়ার্ট ব্রডের দুর্দান্ত ইনিংসে ২২১ তুলল ইংল্যান্ড। এরপর দুর্দান্ত বোলিং-ব্যাটিংয়ে চার দিনেই জিতে গেল ভারতকে ৩১৯ রানের লজ্জায় ডুবিয়ে।
আর তাতে আরেকটা ধাপ এগিয়ে গেল স্বপ্নের ১ নম্বরের দিকেও। এজবাস্টনে আগামী বুধবার শুরু সিরিজের তৃতীয় টেস্টটা জিতলেই ভারতকে হটিয়ে নিশ্চিত হয়ে যাবে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থান। সে ক্ষেত্রে সিরিজের শেষ টেস্টটা হারলেও ক্ষতি নেই। কারণ, শীর্ষে উঠতে দুই ম্যাচের ব্যবধানে সিরিজ জয়ই যথেষ্ট।
ইংলিশদের বাগে পেয়েও কাবু করতে না পারার ব্যর্থতা ম্যাচ শেষে স্বীকার করলেন ধোনি, ‘৮ উইকেটে ১২৪ থেকে ওরা ২২০ ছাড়াল, আমার মনে হয় ওই বাড়তি ১০০ রান ম্যাচে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এরপর ব্যাটিংয়েও আমরা প্রয়োজনের সময় ভালো করতে পারিনি। আমাদের উচিত ছিল দ্বিতীয় নতুন বলটা কোনো রকমে পার করে দেওয়া, কিন্তু আমরা পারিনি।’
প্রথম ইনিংসে একসময় ভারতের রান ছিল ৪ উইকেটে ২৬৭। সেখান থেকে তারা গুটিয়ে যায় ২৮৮ রানে। দ্বিতীয় নতুন বলে হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট নিয়ে ভারতকে বিধ্বস্ত করেন ব্রড। এর পরও অবশ্য ৬৭ রানের লিড ছিল ভারতের। কিন্তু বেল-ব্রেসনানদের দুর্দান্ত ব্যাটিং আর ভারতের ধারহীন বোলিংয়ে রান পাহাড়ে চড়ে ইংল্যান্ড। সেই পাহাড়ে চাপা পড়ে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৫৮ রানে।
নিজেরা ৮ উইকেটে ১২৪ আর ভারত ৪ উইকেটে ২৬৭—দুবার ম্যাচের লাগাম ছুটে গিয়েছিল। কিন্তু দল যেভাবে আবার লাগাম নিয়েছে, অধিনায়ক স্ট্রাউসের কণ্ঠে ছিল সতীর্থদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা, ‘দুবার আমরা একেবারে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিলাম, কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। অসাধারণ কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছিল। দলের পারফরম্যান্সে আমি ভীষণ গর্বিত।’
হ্যাটট্রিকসহ ৮ উইকেট ও ১০৮ রান করে ম্যাচ-সেরা ব্রড। সব মিলিয়ে ২ ম্যাচে ১৫ উইকেট, ব্যাট হাতে ৬০.৬৬ গড়ে ১৮২ রান—স্বপ্নের মতো সময় কাটাচ্ছেন জুনিয়র ব্রড। তবে ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত তিনি দলের সাফল্যে, ‘দলের প্রয়োজনের সময় রান-উইকেট পাওয়াটা অবশ্যই সন্তুষ্টির। কিন্তু দলের জয়ের চেয়ে বেশি সন্তুষ্টির কিছু আর নেই। ২-০-তে এগিয়ে আছি আমরা, অসাধারণ দুটো টেস্ট ম্যাচ গেল!’
‘বিশ্বসেরা’ ব্যাটিং-লাইন আপের দল ভারত এখনো সিরিজে ৩০০ করতে পারেনি। ধোনির কপালে চিন্তার রেখা, ‘বোলাররা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু ব্যাটিং ঠিক হচ্ছে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু থেকেই এমনটা হচ্ছে, আমরা যথেষ্ট রান পাচ্ছি না। শেবাগ-গম্ভীরের না থাকা, ব্যাটসম্যানদের জায়গা ওলট-পালট হওয়াতে অবশ্য কাজটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’
সমস্যা একটা আছে স্ট্রাউসেরও। তবে এই সমস্যাটায় সবাই-ই পড়তে চাইবে, কাকে রেখে কাকে খেলাবেন! ইংলিশ অধিনায়ক অবশ্য এখনই ভাবাভাবিতে যেতে চাইছেন না। ১ নম্বরের সুবাস পেতে শুরু করেছেন। কণ্ঠে চাপা উচ্ছ্বাস থাকলেও প্রতিক্রিয়া ছিল সতর্ক, ‘জিতলেই শীর্ষে উঠে যাব, আগামী টেস্টের আগে এর চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আর কী হতে পারে! তবে আমাদের মূল লক্ষ্য একের পর এক টেস্ট জয়। জিতলে কী হবে, সেসব না হয় অন্যরাই ভাবুক!’
আর তাতে আরেকটা ধাপ এগিয়ে গেল স্বপ্নের ১ নম্বরের দিকেও। এজবাস্টনে আগামী বুধবার শুরু সিরিজের তৃতীয় টেস্টটা জিতলেই ভারতকে হটিয়ে নিশ্চিত হয়ে যাবে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থান। সে ক্ষেত্রে সিরিজের শেষ টেস্টটা হারলেও ক্ষতি নেই। কারণ, শীর্ষে উঠতে দুই ম্যাচের ব্যবধানে সিরিজ জয়ই যথেষ্ট।
ইংলিশদের বাগে পেয়েও কাবু করতে না পারার ব্যর্থতা ম্যাচ শেষে স্বীকার করলেন ধোনি, ‘৮ উইকেটে ১২৪ থেকে ওরা ২২০ ছাড়াল, আমার মনে হয় ওই বাড়তি ১০০ রান ম্যাচে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এরপর ব্যাটিংয়েও আমরা প্রয়োজনের সময় ভালো করতে পারিনি। আমাদের উচিত ছিল দ্বিতীয় নতুন বলটা কোনো রকমে পার করে দেওয়া, কিন্তু আমরা পারিনি।’
প্রথম ইনিংসে একসময় ভারতের রান ছিল ৪ উইকেটে ২৬৭। সেখান থেকে তারা গুটিয়ে যায় ২৮৮ রানে। দ্বিতীয় নতুন বলে হ্যাটট্রিকসহ ৫ উইকেট নিয়ে ভারতকে বিধ্বস্ত করেন ব্রড। এর পরও অবশ্য ৬৭ রানের লিড ছিল ভারতের। কিন্তু বেল-ব্রেসনানদের দুর্দান্ত ব্যাটিং আর ভারতের ধারহীন বোলিংয়ে রান পাহাড়ে চড়ে ইংল্যান্ড। সেই পাহাড়ে চাপা পড়ে ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ১৫৮ রানে।
নিজেরা ৮ উইকেটে ১২৪ আর ভারত ৪ উইকেটে ২৬৭—দুবার ম্যাচের লাগাম ছুটে গিয়েছিল। কিন্তু দল যেভাবে আবার লাগাম নিয়েছে, অধিনায়ক স্ট্রাউসের কণ্ঠে ছিল সতীর্থদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা, ‘দুবার আমরা একেবারে খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিলাম, কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। অসাধারণ কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছিল। দলের পারফরম্যান্সে আমি ভীষণ গর্বিত।’
হ্যাটট্রিকসহ ৮ উইকেট ও ১০৮ রান করে ম্যাচ-সেরা ব্রড। সব মিলিয়ে ২ ম্যাচে ১৫ উইকেট, ব্যাট হাতে ৬০.৬৬ গড়ে ১৮২ রান—স্বপ্নের মতো সময় কাটাচ্ছেন জুনিয়র ব্রড। তবে ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত তিনি দলের সাফল্যে, ‘দলের প্রয়োজনের সময় রান-উইকেট পাওয়াটা অবশ্যই সন্তুষ্টির। কিন্তু দলের জয়ের চেয়ে বেশি সন্তুষ্টির কিছু আর নেই। ২-০-তে এগিয়ে আছি আমরা, অসাধারণ দুটো টেস্ট ম্যাচ গেল!’
‘বিশ্বসেরা’ ব্যাটিং-লাইন আপের দল ভারত এখনো সিরিজে ৩০০ করতে পারেনি। ধোনির কপালে চিন্তার রেখা, ‘বোলাররা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। কিন্তু ব্যাটিং ঠিক হচ্ছে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু থেকেই এমনটা হচ্ছে, আমরা যথেষ্ট রান পাচ্ছি না। শেবাগ-গম্ভীরের না থাকা, ব্যাটসম্যানদের জায়গা ওলট-পালট হওয়াতে অবশ্য কাজটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’
সমস্যা একটা আছে স্ট্রাউসেরও। তবে এই সমস্যাটায় সবাই-ই পড়তে চাইবে, কাকে রেখে কাকে খেলাবেন! ইংলিশ অধিনায়ক অবশ্য এখনই ভাবাভাবিতে যেতে চাইছেন না। ১ নম্বরের সুবাস পেতে শুরু করেছেন। কণ্ঠে চাপা উচ্ছ্বাস থাকলেও প্রতিক্রিয়া ছিল সতর্ক, ‘জিতলেই শীর্ষে উঠে যাব, আগামী টেস্টের আগে এর চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আর কী হতে পারে! তবে আমাদের মূল লক্ষ্য একের পর এক টেস্ট জয়। জিতলে কী হবে, সেসব না হয় অন্যরাই ভাবুক!’
No comments