মার্কিন কংগ্রেসে ঋণসীমা বিল অনুমোদন
ঋণসীমা বাড়ানো এবং ব্যয় কাটছাঁট নিয়ে বিল অনুমোদন করেছে মার্কিন কংগ্রেস। বিলটি গত সোমবার প্রতিনিধি পরিষদে ২৬৯-১৬১ ভোটে অনুমোদন করা হয়। পরে গতকাল মঙ্গলবার সিনেট তা অনুমোদন করে। সিনেটে বিলটি ৭৪-২৬ ভোটে পাস হয়। গতকালই বিলটি অনুমোদনের জন্য সিনেটে উপস্থাপন করা হয়।
কংগ্রেসের উভয় কক্ষে বিলটি অনুমোদিত হওয়ার পর এখন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাতে সই করবেন। এ বিল পাসের ফলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াল যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণখেলাপি হওয়া নিয়ে সম্প্রতি যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছিল, তার অবসান হয়েছে। বিল অনুযায়ী, আগামী ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণসীমা ১৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে ব্যয় সংকোচন করা হবে ২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার।
বিলটি প্রথমে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রতিনিধি পরিষদে অনুমোদিত হওয়ার পর কংগ্রেসম্যানরা উল্লাস প্রকাশ করেন। গত জানুয়ারিতে টুসনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কংগ্রেসম্যান গ্যাব্রিয়েল গিফর্ডস সোমবার প্রথমবারের মতো ক্যাপিটল হিলে হাজির হন। আনন্দে তিনি চুমো ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘ধন্যবাদ, আপনাদের ধন্যবাদ।’
প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি অনুমোদিত হলেও ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটরা এ নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন। বিলটির পক্ষে ৯৫ জন ভোট দিলেও বাকি ৯৫ জন বিরোধিতা করেছেন। অন্যদিকে ১৭৪ জন রিপাবলিকান বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভেটো প্রদান করেছেন মাত্র ৬৬ জন।
গতকাল ২ আগস্ট ছিল মার্কিন ঋণসীমা বাড়ানোর শেষ দিন। বিলটি গতকালের মধ্যে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা না গেলে বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন খাতে সরকারি বরাদ্দ ছাড় করানো এবং ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ত যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বছরে যে পরিমাণ ঋণ নিতে পারে, তা গত মে মাসেই শেষ করে ফেলেছে ওবামা প্রশাসন। দেশটির ঋণসীমা এর আগে বিভিন্ন সময়ে বাড়ানো হলেও এবারের মতো সংকট আর তৈরি হয়নি। চলতি বছর আর্থিক বিষয়ে রক্ষণশীল কিছু নেতা কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়ে আসায় তাঁরা এতে বাগড়া দিচ্ছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মধ্যমেয়াদি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পরাজয়ের কারণেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেসে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ওবামার কোনো প্রস্তাবই সহজে মেনে নিচ্ছেন না কট্টর টি-পার্টি রিপাবলিকানরা।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এবারের বাজেট ঘাটতি ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং জাতীয় ঋণের পরিমাণ ১৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। সংকট মোকাবিলায় সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হ্যারি রিড আগামী ১০ বছরে ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় কাটছাঁট ও ঋণসীমা ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় আরও কাটছাঁটের প্রস্তাব দিতে একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী নভেম্বরের মধ্যে এই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।
ব্যয় সংকোচন ও ঋণসীমা বাড়ানো নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল। এমনকি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও ছিল বিভক্তি।
কংগ্রেসের উভয় কক্ষে বিলটি অনুমোদিত হওয়ার পর এখন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাতে সই করবেন। এ বিল পাসের ফলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াল যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণখেলাপি হওয়া নিয়ে সম্প্রতি যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছিল, তার অবসান হয়েছে। বিল অনুযায়ী, আগামী ১০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণসীমা ১৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়ানো হবে। সেই সঙ্গে ব্যয় সংকোচন করা হবে ২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার।
বিলটি প্রথমে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রতিনিধি পরিষদে অনুমোদিত হওয়ার পর কংগ্রেসম্যানরা উল্লাস প্রকাশ করেন। গত জানুয়ারিতে টুসনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর কংগ্রেসম্যান গ্যাব্রিয়েল গিফর্ডস সোমবার প্রথমবারের মতো ক্যাপিটল হিলে হাজির হন। আনন্দে তিনি চুমো ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘ধন্যবাদ, আপনাদের ধন্যবাদ।’
প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি অনুমোদিত হলেও ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটরা এ নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন। বিলটির পক্ষে ৯৫ জন ভোট দিলেও বাকি ৯৫ জন বিরোধিতা করেছেন। অন্যদিকে ১৭৪ জন রিপাবলিকান বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভেটো প্রদান করেছেন মাত্র ৬৬ জন।
গতকাল ২ আগস্ট ছিল মার্কিন ঋণসীমা বাড়ানোর শেষ দিন। বিলটি গতকালের মধ্যে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা না গেলে বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন খাতে সরকারি বরাদ্দ ছাড় করানো এবং ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ত যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার বছরে যে পরিমাণ ঋণ নিতে পারে, তা গত মে মাসেই শেষ করে ফেলেছে ওবামা প্রশাসন। দেশটির ঋণসীমা এর আগে বিভিন্ন সময়ে বাড়ানো হলেও এবারের মতো সংকট আর তৈরি হয়নি। চলতি বছর আর্থিক বিষয়ে রক্ষণশীল কিছু নেতা কংগ্রেসে নির্বাচিত হয়ে আসায় তাঁরা এতে বাগড়া দিচ্ছেন।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মধ্যমেয়াদি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পরাজয়ের কারণেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেসে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ওবামার কোনো প্রস্তাবই সহজে মেনে নিচ্ছেন না কট্টর টি-পার্টি রিপাবলিকানরা।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এবারের বাজেট ঘাটতি ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার এবং জাতীয় ঋণের পরিমাণ ১৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। সংকট মোকাবিলায় সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হ্যারি রিড আগামী ১০ বছরে ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় কাটছাঁট ও ঋণসীমা ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় আরও কাটছাঁটের প্রস্তাব দিতে একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী নভেম্বরের মধ্যে এই কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।
ব্যয় সংকোচন ও ঋণসীমা বাড়ানো নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল। এমনকি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেও ছিল বিভক্তি।
No comments