সিরিয়ায় সরকারি দমন অভিযান চলছেই
সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের দমনে অব্যাহত সেনা অভিযানের ফলে নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। গত সোমবার পবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনে সেনারা ট্যাংক নিয়ে হামা শহরে গোলাবর্ষণ করেছে। মানবাধিকারকর্মীরা জানিয়েছেন, এদিন সিরিয়াজুড়ে অন্তত ২৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ায় সরকারি দমন অভিযানের বিষয়ে গত সোমবার জরুরি বৈঠক করেছে। সরকারি দমন অভিযানের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনার লক্ষ্যে পশ্চিমা শক্তিগুলো ওই রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে। তবে বৈঠক চলাকালে রাশিয়া ওই নিন্দা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।
বৈঠকে জাতিসংঘের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, গত রোববার সেনাবাহিনীর অভিযানে ১৪০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। গত মার্চে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে তিন হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছে এবং ১২ হাজার মানুষকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, সোমবার রাতে তারাবি নামাজের পর সিরিয়ার কয়েকটি শহরে মুসল্লিরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে ১০ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হন। তিনি আরও বলেন, ওই ১০ জনসহ এদিন সিরিয়ায় ২৪ জনের প্রাণহানি হয়। তবে এসব প্রাণহানির বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি।
সিরিয়ান লিগ ফর দ্য ডিফেন্স অব হিউম্যান রাইটসের প্রধান আবদুল করিম রিহাওয়ি বলেন, সোমবার রাতে হামা শহরজুড়ে প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে। সরকারি বার্তা সংস্থা সানা জানায়, হামা শহরে সেনারা বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। সেখানে সেনারা শহরের প্রবেশমুখে প্রতিবন্ধকতা সরানোর কাজ করছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সোমবার মধ্যরাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গাড়ি ও পিকআপে মেশিনগান নিয়ে দামেস্কের ইরবিন এলাকার মূল চত্বরে জড়ো হন। এরপর তাঁরা সেখানকার বিভিন্ন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েন এবং মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন। অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সেখানে বহু লোক আহত হয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে সোমবার সিরিয়ায় সেনাবাহিনী দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। এদিন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সেনাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
প্রেসিডেন্ট বাশার বলেন, সেনাবাহিনী জনগণের প্রতি আনুগত্যের প্রমাণ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর কর্মপ্রচেষ্টা ও উৎসর্গ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। তাদের উৎসর্গ দেশের বিরুদ্ধে শত্রুদের ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার পদক্ষেপ নস্যাৎ করতে সফল হয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সিরিয়ায় সরকারি দমন অভিযানের বিষয়ে গত সোমবার জরুরি বৈঠক করেছে। সরকারি দমন অভিযানের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনার লক্ষ্যে পশ্চিমা শক্তিগুলো ওই রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে। তবে বৈঠক চলাকালে রাশিয়া ওই নিন্দা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।
বৈঠকে জাতিসংঘের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানান, গত রোববার সেনাবাহিনীর অভিযানে ১৪০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। গত মার্চে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরুর পর থেকে তিন হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছে এবং ১২ হাজার মানুষকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, সোমবার রাতে তারাবি নামাজের পর সিরিয়ার কয়েকটি শহরে মুসল্লিরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে ১০ জন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হন। তিনি আরও বলেন, ওই ১০ জনসহ এদিন সিরিয়ায় ২৪ জনের প্রাণহানি হয়। তবে এসব প্রাণহানির বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি।
সিরিয়ান লিগ ফর দ্য ডিফেন্স অব হিউম্যান রাইটসের প্রধান আবদুল করিম রিহাওয়ি বলেন, সোমবার রাতে হামা শহরজুড়ে প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে। সরকারি বার্তা সংস্থা সানা জানায়, হামা শহরে সেনারা বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। সেখানে সেনারা শহরের প্রবেশমুখে প্রতিবন্ধকতা সরানোর কাজ করছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সোমবার মধ্যরাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গাড়ি ও পিকআপে মেশিনগান নিয়ে দামেস্কের ইরবিন এলাকার মূল চত্বরে জড়ো হন। এরপর তাঁরা সেখানকার বিভিন্ন রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েন এবং মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন। অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সেখানে বহু লোক আহত হয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে সোমবার সিরিয়ায় সেনাবাহিনী দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। এদিন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সেনাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রশংসা করেন।
প্রেসিডেন্ট বাশার বলেন, সেনাবাহিনী জনগণের প্রতি আনুগত্যের প্রমাণ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর কর্মপ্রচেষ্টা ও উৎসর্গ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হবে। তাদের উৎসর্গ দেশের বিরুদ্ধে শত্রুদের ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার পদক্ষেপ নস্যাৎ করতে সফল হয়েছে।
No comments