জিডিপি নিরূপণে কোনো দুর্বলতা নেই: বিবিএস
চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারের প্রাক্কলন নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) যে প্রশ্ন তুলেছে, সে প্রসঙ্গে কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
গতকাল সংবাদপত্রে পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতে বিবিএস বলেছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সিস্টেম অব ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টসের-১৯৯৩ (এসএনএ-৯৩) আলোকে সর্বশেষ পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় হিসাব তথা জিডিপি ও এর প্রবৃদ্ধি নিরূপণ করে থাকে এবং প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিয়মিত মিশন তা পর্যবেক্ষণ করে। সুতরাং, জিডিপি নিরূপণের ক্ষেত্রে বিবিএসের কোনো দুর্বলতা নেই। তবে ইনফরমাল বেইজড ইকোনমির কারণে আমাদের দেশে হালনাগাদ উপাত্তের অভাব রয়েছে।
বিবিএস আরও বলেছে, প্রতিবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে বিগত অর্থবছরের চূড়ান্ত ও চলতি বছরের প্রাক্কলিত হিসাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে প্রকাশ করা হয়। একই ধারাবাহিকতায় এবারও মে মাসে বিগত ২০০৯-১০ অর্থবছরের চূড়ান্ত এবং ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রাক্কলিত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রাক্কলিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের বিভিন্ন উপাত্তের (৬ থেকে ৮ মাসের) প্রাপ্যতা সাপেক্ষে এ হিসাব নিরূপণ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছর অর্থনীতির প্রকৃত গতিধারার ওপর ভিত্তি করে হিসাব চূড়ান্ত করার সময় তা বর্তমান প্রাক্কলিত হারের বেশি বা কম হতে পারে।
২০০৯-১০ অর্থবছরেও প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলিত হার ছিল ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা চূড়ান্ত হিসাবে হয় ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ।
প্রবৃদ্ধি নিয়ে সিপিডির পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গত ৫ মে প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়। এটির উল্লেখ করে বিবিএস বলছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি চতুর্থবার সংশোধনের তথ্যটি সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি। কেননা, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির সাময়িক হিসাব সংশোধন করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আবার ২০১০-১১ অর্থবছরের সাময়িক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বেশি করে দেখানোর বিষয়টি সঠিক নয় বলে উল্লেখ করে বিবিএস বলেছে, এবার আউশ ও আমনের প্রকৃত ফলন হ্রাস না পেয়ে বরং উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
বিবিএস আরও বলেছে, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পখাত বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্পের প্রবৃদ্ধি, নতুন বেতন কাঠামোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন খাতের প্রবৃদ্ধি ইত্যাদির কারণে সাময়িক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বেশি হয়েছে।
এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানের উপাত্ত যথাসময়ে না পাওয়া এবং সন্নিবেশিত না হওয়া চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ক্ষুদ্রশিল্পের উৎপাদন কম হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই আগের সময়ের প্রবৃদ্ধি ব্যবহার করে এই উপখাতের উৎপাদন প্রাক্কলন করা হয়েছে।
বিবিএসের মতে, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রাক্কলিত হিসাবের সঙ্গে বিবিএসের পার্থক্য হতেই পারে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ব্যবহূত উপাত্তের ভিন্নতা।
বিবিএস আশা করছে, তাদের এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে জিডিপি প্রবৃদ্ধিসংক্রান্ত সব বিতর্কের অবসান হবে।
গতকাল সংবাদপত্রে পাঠানো এক লিখিত বিবৃতিতে বিবিএস বলেছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সিস্টেম অব ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টসের-১৯৯৩ (এসএনএ-৯৩) আলোকে সর্বশেষ পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় হিসাব তথা জিডিপি ও এর প্রবৃদ্ধি নিরূপণ করে থাকে এবং প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নিয়মিত মিশন তা পর্যবেক্ষণ করে। সুতরাং, জিডিপি নিরূপণের ক্ষেত্রে বিবিএসের কোনো দুর্বলতা নেই। তবে ইনফরমাল বেইজড ইকোনমির কারণে আমাদের দেশে হালনাগাদ উপাত্তের অভাব রয়েছে।
বিবিএস আরও বলেছে, প্রতিবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে বিগত অর্থবছরের চূড়ান্ত ও চলতি বছরের প্রাক্কলিত হিসাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে প্রকাশ করা হয়। একই ধারাবাহিকতায় এবারও মে মাসে বিগত ২০০৯-১০ অর্থবছরের চূড়ান্ত এবং ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রাক্কলিত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রাক্কলিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। চলতি ২০১০-১১ অর্থবছরের বিভিন্ন উপাত্তের (৬ থেকে ৮ মাসের) প্রাপ্যতা সাপেক্ষে এ হিসাব নিরূপণ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছর অর্থনীতির প্রকৃত গতিধারার ওপর ভিত্তি করে হিসাব চূড়ান্ত করার সময় তা বর্তমান প্রাক্কলিত হারের বেশি বা কম হতে পারে।
২০০৯-১০ অর্থবছরেও প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলিত হার ছিল ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা চূড়ান্ত হিসাবে হয় ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ।
প্রবৃদ্ধি নিয়ে সিপিডির পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন গত ৫ মে প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়। এটির উল্লেখ করে বিবিএস বলছে, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি চতুর্থবার সংশোধনের তথ্যটি সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি। কেননা, ২০০৯-১০ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির সাময়িক হিসাব সংশোধন করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
আবার ২০১০-১১ অর্থবছরের সাময়িক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বেশি করে দেখানোর বিষয়টি সঠিক নয় বলে উল্লেখ করে বিবিএস বলেছে, এবার আউশ ও আমনের প্রকৃত ফলন হ্রাস না পেয়ে বরং উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
বিবিএস আরও বলেছে, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পখাত বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্পের প্রবৃদ্ধি, নতুন বেতন কাঠামোর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন খাতের প্রবৃদ্ধি ইত্যাদির কারণে সাময়িক জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বেশি হয়েছে।
এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানের উপাত্ত যথাসময়ে না পাওয়া এবং সন্নিবেশিত না হওয়া চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ক্ষুদ্রশিল্পের উৎপাদন কম হওয়ার অন্যতম কারণ। তাই আগের সময়ের প্রবৃদ্ধি ব্যবহার করে এই উপখাতের উৎপাদন প্রাক্কলন করা হয়েছে।
বিবিএসের মতে, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রাক্কলিত হিসাবের সঙ্গে বিবিএসের পার্থক্য হতেই পারে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ব্যবহূত উপাত্তের ভিন্নতা।
বিবিএস আশা করছে, তাদের এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে জিডিপি প্রবৃদ্ধিসংক্রান্ত সব বিতর্কের অবসান হবে।
No comments