ইলন মাস্কের কানাডিয়ান নাগরিকত্ব বাতিলের দাবিতে লাখ লাখ মানুষের স্বাক্ষর

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের কানাডিয়ানি নাগরিকত্ব বাতিলের একটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির লাখ লাখ মানুষ। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কানাডার উত্তেজনার মধ্যে এ খবর বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, মাস্কের বিরুদ্ধে কানাডার সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ দিন আগে তার নাগরিকত্ব বাতিলের আবেদন জানিয়ে গণস্বাক্ষরের আয়োজন করা হয়। যাতে এ পর্যন্ত আড়াই লাখের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেয়া ইলন মাস্কের কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বই রয়েছে। তবে অভিবাসন নীতি অনুযায়ী জালিয়াতি, নিজের পরিচয় গোপন অথবা অবৈধভাবে অভিবাসী হলে যে কারও নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে কানাডা। এই গণস্বাক্ষরের প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক তার এক্সের আইডিতে লিখেছেন, কানাডা সত্যিকার অর্থে কোনো দেশ নয়। যদিও ওই পোস্ট পরে মুছে দেন মাস্ক।

ট্রাম্প একাধিকবার কানাডার রাজনৈতিক নেতাদের উপহাস করেছেন এবং যুক্তি দিয়েছেন যে, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য হওয়া উচিত। এই বক্তব্যের জেরে কানাডার অনেক নাগরিক ক্ষুব্ধ হয়ে ইলন মাস্কের নাগরিকত্ব বাতিলের দাবিতে স্বাক্ষর করেছেন। গণস্বাক্ষরের ওই আবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সম্পদ এবং শক্তি ব্যবহার করেছেন ধনকুবের মাস্ক। যার মাধ্যমে তিনি বর্তমানে কানাডার সার্বভৌমত্বকে মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। মূলত মায়ের দিকের সম্পর্কের জন্য ইলন মাস্কের কানাডিয়ান নাগরিকত্ব পেয়েছেন।   

ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে। কেননা ট্রাম্প বলেছেন, কানাডার যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হওয়া উচিত। এছাড়া কানাডার ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক দেয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের চিড় ধরিয়েছে। ট্রাম্পের হুমকির পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। ট্রাম্প যে নীতি গ্রহণ করেছেন তা কানাডার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আগের সকল নীতির ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করেছে।

mzamin

No comments

Powered by Blogger.