পুলিশের নীরবতা, ফের অশান্ত জাফলং by ওয়েছ খছরু
এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর থেকে অবাধে লুট করা হচ্ছে পাথর ও বালু। প্রতিদিন কোয়ারি এলাকা থেকে ৫-৬ কোটি টাকার বালু ও পাথর লুট করা হচ্ছে। জোরপূর্বক অনেকের জমি দখলে নিয়ে লুটপাট করার কারণে জমির মালিকরা বাধা দিচ্ছেন। আর এতেই বাধছে বিরোধ। আর এই বিরোধকে কেন্দ্র করে জাফলংয়ে ইতিমধ্যে কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মামলা ও পাল্টা মামলা শুরু হয়েছে। জাফলংয়ে জুমপাড়ে থাকা দুই বস্তি রক্ষার বেড়িবাঁধ ধ্বংস করে কয়েক কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়েছে। আর এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে ট্রাক শ্রমিক নামধারী লাঠিয়াল বাহিনী। পুলিশও তাদের কাছে অসহায়। সশস্ত্র অবস্থায় কোয়ারিতে মহড়া দেয়ার কারণে পুলিশ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নীরব ভূমিকায় রয়েছে। কয়েক দিন আগে নয়াবস্তির মূল সড়কের পাশে পিয়াইন নদীতে অর্ধশতাধিক বোমা মেশিন বসিয়ে পাথর উত্তোলন করছিলেন বর্তমান পাথরখেকো সিন্ডিকেটরা। স্থানীয়রা এ নিয়ে ইউপি মেম্বারের কাছে বিচারপ্রার্থী হলে মেম্বার গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। এরপর পাথরখেকো সিন্ডিকেটের সদস্যরা হামলা চালিয়ে চারটি বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় কয়েকজন মহিলাকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ একটি মামলা করেছে। বিষয়টিকে মিথ্যা প্রমাণিত করতে পাথরখেকো সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে জাফলং জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই অবস্থায় জাফলংয়ে ফের অভিযান জোরদার করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জাফলং কোয়ারিতে ৫ ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়েছে যৌথ টাস্কফোর্স। অভিযানের সময় ১০ লাখ ঘনফুট বালু, ২০ হাজার ঘনফুট পাথর, ৫০ ট্রাম ট্রাক, পাঁচ শতাধিক বার্কি নৌকা জব্দ করা হয়।
No comments