আত্মবিশ্বাসী শতাব্দী রায়, আরো বড় ব্যবধানে জিততে চান by পরিতোষ পাল
সোস্যাল
মিডিয়াতে একটি ভিডিও ঘোরাফেরা করছে, যাতে অভিনেত্রী শতাব্দী রায় জনতার
উদ্দেশে বলছেন, বিনা পয়সায় আমাকে দেখার জন্য ভোট দিতে হবে। না হলে টাকা
দিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে আমাকে দেখতে হবে। ২০১৪ সালের প্রচারের এই ভিডিওটি
এবার নির্বাচনের আগে কারা ছড়িয়েছে তা জানা যায়নি। তবে দুই বারের বিজয়ী পোড়
খাওয়া সংসদ সদস্য শতাব্দী জানেন যে, আমজনতার কাছে তাদের মতো সেলিব্রিটিদের
আবেদন ফুরোবার নয়। আর তাই তিনি যেখানেই ভোট প্রচারে যাচ্ছেন সেখানেই জনতা
ভিড় করছে তাকে দেখার জন্য।
তৃতীয়বারের জন্য বীরভূমকেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে শতাব্দী রায়ের নাম ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটে গেছেন নিজের কেন্দ্রে। সঙ্গে নিয়ে গেছেন শিশু কন্যা সামিয়ানাকেও। শুরুতেই প্রচারে ঝড় তুলে দিয়েছেন।
বিরোধী প্রার্থীরা প্রচারের সুযোগ পাওয়ার আগেই শতাব্দী পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। তবে প্রতিদিনই নিয়ম করে বিভিন্ন মন্দির ও মাজারে পুজো ও চাদর চড়িয়েই প্রচার শুরু করছেন। গত বৃহস্পতিবার এক দিকে তারা পিঠে তারা মায়ের পুজো দেবার পাশাপাশি স্থানীয় ফুলিরডাঙা মাজারে চাদর চড়িয়ে প্রচার শুরু করেছেন শতাব্দী। আবার পরের দিন সাইথিয়ার নন্দিকেশ্বরী মন্দিরে ও পাশেই জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন।
রাঙামাটির বীরভূমের চড়া রোদের মধ্যেই সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলছে প্রচার। আবার কোথাও তাঁর নির্বাচনী দেয়াল লিখনে ব্যস্ত দলের কর্মীদের কাছ থেকে রং তুলি নিয়ে শতাব্দী নিজেও দেওয়াল লিখনে হাত লাগিয়েছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এই সেলিব্রিটি প্রার্থীকে দেখতে আমজনতার কোনো আশাই যেন মেটে না। আর তাই গত দশ বছর ধরে রাঙামাটির দেশের মানুষ অভিনেত্রী শতাব্দীকে দেখে দেখেও তৃপ্ত হননি। প্রথম দিনের প্রচারে এসে নিজের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শতাব্দী বলেছেন, এই কেন্দ্রে এবার তার সঙ্গে যেটুকু লড়াই হবে, সেটা বিজেপির সঙ্গেই। তবে তার জয়ের ব্যবধান এবার আরও বেশি হবে বলে তিনি নিশ্চিত। জিতে হ্যাটট্রিক করার ব্যাপারেও তিনি বেশ উৎসাহী। শতাব্দী মনে করেন, কোনো বিরোধী দল যদি কোনো সেলিব্রিটিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করায় তা হলেও আমার কোনো অসুবিধা হবে না। বরং লড়াই জমে উঠবে। বিরোধীরা বীরভূম কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি। বামরা একজন প্রার্থীর নাম জানালেও তাকে নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়েছে। তবে বিজেপি এই কেন্দ্র থেকে সাবেক অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সেদিকে যে শতাব্দীর নজর রয়েছে সেটা তার কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে।
টলিউডে আশির দশকের শেষ দিক থেকে নব্বইয়ের দশকজুড়ে শতাব্দী বাংলা চলচ্চিত্রে রাজত্ব করেছেন। তাপস পাল ও প্রসেনজিতের সঙ্গে জুটি করে অসংখ্য ছবিতে নায়িকা হিসেবে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। সেই মুগ্ধতার স্মৃতি আজও মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। অবশ্য চলচ্চিত্র থেকে সরে এলেও যাত্রার মাধ্যমে শতাব্দী গ্রাম বাংলার মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরির কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তাই ২০০৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করতে চাইলে তিনি কোনো আপত্তিই করেননি। তবে ১৯৭১ সাল থেকে সিপিআইএমের দখলে থাকা কেন্দ্রটিতে বামপন্থিদের প্রবল প্রতাপ সত্ত্বেও সহজে সেলিব্রিটির তকমা দিয়েই তিনি জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। আর ২০১৪ সালে সেই জয়ের ব্যবধানকে ধরে রেখেই দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছিলেন। তবে বীরভূমের মতো বিতর্কিত জেলায় শতাব্দীকে নিয়ে মানুষের খুব একটা ক্ষোভ নেই।
বহিরাগত হলেও নিজের কেন্দ্রে নিয়মিতই ছুটে গেছেন। জেলার অনেক নেতার সঙ্গে তার বনিবনা না থাকলেও মানুষের সমর্থন যে তার দিকে রয়েছে, সেটা শতাব্দী মনে মনে জানেন। তাই তিনি বলেছেন, বীরভূমের মানুষ আমাকে আগেও ভালোবেসেছে, এবারও ভালোবাসবে। তবে গত ৫ বছরে অনেক কাজই যে তিনি করতে পারেননি, সে ব্যাপারেও শতাব্দী বেশ সচেতন। আর তাই তিনি এবার জিতে এসে অসম্পন্ন সব কাজ শেষ করতে চান। মানুষ তাকে এ ব্যাপারে বিশ্বাস করবেন বলেই মনে করেন। আর লোকসভায় বিতর্ক ও আলোচনায় অংশগ্রহণে শতাব্দী অন্য সেলিব্রিটিদের থেকে এগিয়েই রয়েছেন। স্থানীয় সমস্যার কথাও তুলে ধরেছেন নানা সময়ে। আর বীরভূমের মানুষের তাঁকে কাছে পাওয়া নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকলেও দলীয় কোন্দল অনেক সময়ই তাকে বিব্রত করেছে। এবারও তাঁর কেন্দ্র বদলে দেয়া হবে বলে দলের মধ্য থেকেই প্রচার করা হয়েছিল। তবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আস্থা রেখেছেন শতাব্দীতেই।
তৃতীয়বারের জন্য বীরভূমকেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে শতাব্দী রায়ের নাম ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ছুটে গেছেন নিজের কেন্দ্রে। সঙ্গে নিয়ে গেছেন শিশু কন্যা সামিয়ানাকেও। শুরুতেই প্রচারে ঝড় তুলে দিয়েছেন।
বিরোধী প্রার্থীরা প্রচারের সুযোগ পাওয়ার আগেই শতাব্দী পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। তবে প্রতিদিনই নিয়ম করে বিভিন্ন মন্দির ও মাজারে পুজো ও চাদর চড়িয়েই প্রচার শুরু করছেন। গত বৃহস্পতিবার এক দিকে তারা পিঠে তারা মায়ের পুজো দেবার পাশাপাশি স্থানীয় ফুলিরডাঙা মাজারে চাদর চড়িয়ে প্রচার শুরু করেছেন শতাব্দী। আবার পরের দিন সাইথিয়ার নন্দিকেশ্বরী মন্দিরে ও পাশেই জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেছেন।
রাঙামাটির বীরভূমের চড়া রোদের মধ্যেই সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলছে প্রচার। আবার কোথাও তাঁর নির্বাচনী দেয়াল লিখনে ব্যস্ত দলের কর্মীদের কাছ থেকে রং তুলি নিয়ে শতাব্দী নিজেও দেওয়াল লিখনে হাত লাগিয়েছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এই সেলিব্রিটি প্রার্থীকে দেখতে আমজনতার কোনো আশাই যেন মেটে না। আর তাই গত দশ বছর ধরে রাঙামাটির দেশের মানুষ অভিনেত্রী শতাব্দীকে দেখে দেখেও তৃপ্ত হননি। প্রথম দিনের প্রচারে এসে নিজের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শতাব্দী বলেছেন, এই কেন্দ্রে এবার তার সঙ্গে যেটুকু লড়াই হবে, সেটা বিজেপির সঙ্গেই। তবে তার জয়ের ব্যবধান এবার আরও বেশি হবে বলে তিনি নিশ্চিত। জিতে হ্যাটট্রিক করার ব্যাপারেও তিনি বেশ উৎসাহী। শতাব্দী মনে করেন, কোনো বিরোধী দল যদি কোনো সেলিব্রিটিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করায় তা হলেও আমার কোনো অসুবিধা হবে না। বরং লড়াই জমে উঠবে। বিরোধীরা বীরভূম কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি। বামরা একজন প্রার্থীর নাম জানালেও তাকে নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয়েছে। তবে বিজেপি এই কেন্দ্র থেকে সাবেক অভিনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সেদিকে যে শতাব্দীর নজর রয়েছে সেটা তার কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে।
টলিউডে আশির দশকের শেষ দিক থেকে নব্বইয়ের দশকজুড়ে শতাব্দী বাংলা চলচ্চিত্রে রাজত্ব করেছেন। তাপস পাল ও প্রসেনজিতের সঙ্গে জুটি করে অসংখ্য ছবিতে নায়িকা হিসেবে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। সেই মুগ্ধতার স্মৃতি আজও মানুষের মন থেকে মুছে যায়নি। অবশ্য চলচ্চিত্র থেকে সরে এলেও যাত্রার মাধ্যমে শতাব্দী গ্রাম বাংলার মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরির কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তাই ২০০৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করতে চাইলে তিনি কোনো আপত্তিই করেননি। তবে ১৯৭১ সাল থেকে সিপিআইএমের দখলে থাকা কেন্দ্রটিতে বামপন্থিদের প্রবল প্রতাপ সত্ত্বেও সহজে সেলিব্রিটির তকমা দিয়েই তিনি জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। আর ২০১৪ সালে সেই জয়ের ব্যবধানকে ধরে রেখেই দ্বিতীয়বারের মতো জয়ী হয়েছিলেন। তবে বীরভূমের মতো বিতর্কিত জেলায় শতাব্দীকে নিয়ে মানুষের খুব একটা ক্ষোভ নেই।
বহিরাগত হলেও নিজের কেন্দ্রে নিয়মিতই ছুটে গেছেন। জেলার অনেক নেতার সঙ্গে তার বনিবনা না থাকলেও মানুষের সমর্থন যে তার দিকে রয়েছে, সেটা শতাব্দী মনে মনে জানেন। তাই তিনি বলেছেন, বীরভূমের মানুষ আমাকে আগেও ভালোবেসেছে, এবারও ভালোবাসবে। তবে গত ৫ বছরে অনেক কাজই যে তিনি করতে পারেননি, সে ব্যাপারেও শতাব্দী বেশ সচেতন। আর তাই তিনি এবার জিতে এসে অসম্পন্ন সব কাজ শেষ করতে চান। মানুষ তাকে এ ব্যাপারে বিশ্বাস করবেন বলেই মনে করেন। আর লোকসভায় বিতর্ক ও আলোচনায় অংশগ্রহণে শতাব্দী অন্য সেলিব্রিটিদের থেকে এগিয়েই রয়েছেন। স্থানীয় সমস্যার কথাও তুলে ধরেছেন নানা সময়ে। আর বীরভূমের মানুষের তাঁকে কাছে পাওয়া নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকলেও দলীয় কোন্দল অনেক সময়ই তাকে বিব্রত করেছে। এবারও তাঁর কেন্দ্র বদলে দেয়া হবে বলে দলের মধ্য থেকেই প্রচার করা হয়েছিল। তবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আস্থা রেখেছেন শতাব্দীতেই।
No comments