নিউ জিল্যান্ড অবিচ্ছেদ্য: আল নূর মসজিদের ইমাম
নিউ
জিল্যান্ডকে ‘অবিচ্ছেদ্য’ বলে ঘোষণা করেছেন ক্রাইস্টচার্চের আল নূর
মসজিদের ইমাম গামিল ফাউদা। শুক্রবার (২২ মার্চ) জুমার নামাজের খুতবায় তিনি
বলেছেন, নিউ জিল্যান্ডের জনগণের মাঝে বিভাজন তৈরির চেষ্টা করে সফল হয়নি
হামলাকারী। বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতিও আহ্বান
জানিয়েছেন তিনি। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার পর নিউ জিল্যান্ডের
প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের ভূমিকার প্রশংসা করে গামিল বলেছেন, ‘তার
নেতৃত্ব বিশ্বের জন্য শিক্ষণীয়’। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের
প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।
১৫ মার্চ (শুক্রবার) ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নামের সন্দেহভাজন হামলাকারীর লক্ষ্যবস্তু হয় নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুইটি মসজিদ। শহরের হাগলি পার্কমুখী সড়ক ডিনস এভিনিউয়ের আল নুর মসজিদসহ লিনউডের আরেকটি মসজিদে তার তাণ্ডবের বলি হয় অর্ধশত মানুষ। শুধু আল নূর মসজিদে হামলায় প্রাণহানি হয় ৪৩ জনের। ঘটনার দিন আল সেখানে ছিলেন ইমাম গামিল ফাউদা। তবে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ভয়াবহ সে হামলার এক সপ্তাহ পর আবারও খুলেছে আল নূর মসজিদ। শুক্রবার (২২ মার্চ) গামিলের নেতৃত্বে সেখানে আদায় করা হয়েছে জুমার নামাজ। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। হতাহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য অমুসলিমরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
খুতবা দিতে গিয়ে ইমাম গামিল এক সপ্তাহ আগের সে ভয়াবহ ঘটনাকে স্মরণ করেন। বলেন, ‘গত শুক্রবার আমি এ মসজিদে ছিলাম এবং ওই সন্ত্রাসীর চোখে ঘৃণা আর ক্রোধ দেখেছি। আর আজ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে যখন তাকাচ্ছি, তখন আমি লাখো নিউ জিল্যান্ডবাসী ও বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের চোখে ভালোবাসা আর সহানুভূতি দেখতে পাচ্ছি।’
ইমাম গামিল আরও বলেন, ‘যে মন্দ মতাদর্শ বিশ্বকে বিভাজিত করে দিয়েছে, সে মতাদর্শ ব্যবহার করে আমাদের দেশে বিভাজন তৈরি করতে চেয়েছিল এ সন্ত্রাসী। তবে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, নিউ জিল্যান্ড অবিচ্ছেদ্য।’
এ হামলার কারণ হিসেবে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে দায়ী করেছেন ইমাম গামিল। এ ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বন্ধ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইমাম গামিল বলেন, ‘কিছুসংখ্যক রাজনৈতিক নেতা, সংবাদমাধ্যম ও অন্যদের ইসলামবিরোধী এবং মুসলিমবিরোধী বক্তব্যের ফলাফল এটি। গত সপ্তাহের ঘটনায় গোটা বিশ্বের কাছে প্রমাণ হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের কোনও রঙ নেই, বর্ণ নেই, ধর্ম নেই।’
হামলাকারীর কবল থেকে বাঁচানোর জন্য যারা তাদেরকে সেদিন নিজেদের ঘরের দরজা খুলে দিয়েছিলেন, গাড়ি নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন সেইসব প্রতিবেশির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন গামিল।
হতাহতদের পরিবারকে নিবিড়ভাবে আগলে রাখায় এবং মুসলিমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মাথায় কাপড় দেওয়ায় জাসিন্ডা আরডার্নকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, ‘তার নেতৃত্ব এ বিশ্বের জন্য শিক্ষণীয়।’
শুক্রবার আল নূর মসজিদের সামনে হাগলি পার্কে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে যোগ দেন জাসিন্ডা আরডার্ন। এদিনও তার মাথা স্কার্ফ দিয়ে ঢাকা ছিলো। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে পুরো নিউ জিল্যান্ডই ব্যথিত। আমরা সবাই এক।’
১৫ মার্চ (শুক্রবার) ২৮ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট নামের সন্দেহভাজন হামলাকারীর লক্ষ্যবস্তু হয় নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুইটি মসজিদ। শহরের হাগলি পার্কমুখী সড়ক ডিনস এভিনিউয়ের আল নুর মসজিদসহ লিনউডের আরেকটি মসজিদে তার তাণ্ডবের বলি হয় অর্ধশত মানুষ। শুধু আল নূর মসজিদে হামলায় প্রাণহানি হয় ৪৩ জনের। ঘটনার দিন আল সেখানে ছিলেন ইমাম গামিল ফাউদা। তবে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ভয়াবহ সে হামলার এক সপ্তাহ পর আবারও খুলেছে আল নূর মসজিদ। শুক্রবার (২২ মার্চ) গামিলের নেতৃত্বে সেখানে আদায় করা হয়েছে জুমার নামাজ। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। হতাহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য অমুসলিমরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
খুতবা দিতে গিয়ে ইমাম গামিল এক সপ্তাহ আগের সে ভয়াবহ ঘটনাকে স্মরণ করেন। বলেন, ‘গত শুক্রবার আমি এ মসজিদে ছিলাম এবং ওই সন্ত্রাসীর চোখে ঘৃণা আর ক্রোধ দেখেছি। আর আজ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে যখন তাকাচ্ছি, তখন আমি লাখো নিউ জিল্যান্ডবাসী ও বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের চোখে ভালোবাসা আর সহানুভূতি দেখতে পাচ্ছি।’
ইমাম গামিল আরও বলেন, ‘যে মন্দ মতাদর্শ বিশ্বকে বিভাজিত করে দিয়েছে, সে মতাদর্শ ব্যবহার করে আমাদের দেশে বিভাজন তৈরি করতে চেয়েছিল এ সন্ত্রাসী। তবে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, নিউ জিল্যান্ড অবিচ্ছেদ্য।’
এ হামলার কারণ হিসেবে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে দায়ী করেছেন ইমাম গামিল। এ ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বন্ধ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইমাম গামিল বলেন, ‘কিছুসংখ্যক রাজনৈতিক নেতা, সংবাদমাধ্যম ও অন্যদের ইসলামবিরোধী এবং মুসলিমবিরোধী বক্তব্যের ফলাফল এটি। গত সপ্তাহের ঘটনায় গোটা বিশ্বের কাছে প্রমাণ হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের কোনও রঙ নেই, বর্ণ নেই, ধর্ম নেই।’
হামলাকারীর কবল থেকে বাঁচানোর জন্য যারা তাদেরকে সেদিন নিজেদের ঘরের দরজা খুলে দিয়েছিলেন, গাড়ি নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন সেইসব প্রতিবেশির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন গামিল।
হতাহতদের পরিবারকে নিবিড়ভাবে আগলে রাখায় এবং মুসলিমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মাথায় কাপড় দেওয়ায় জাসিন্ডা আরডার্নকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, ‘তার নেতৃত্ব এ বিশ্বের জন্য শিক্ষণীয়।’
শুক্রবার আল নূর মসজিদের সামনে হাগলি পার্কে হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে যোগ দেন জাসিন্ডা আরডার্ন। এদিনও তার মাথা স্কার্ফ দিয়ে ঢাকা ছিলো। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে পুরো নিউ জিল্যান্ডই ব্যথিত। আমরা সবাই এক।’
No comments