বৃটেনে একরাতে পাঁচ মসজিদে ভাঙচুর
এবার
বৃটেনের ৫টি মসজিদে ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার মধ্যরাতে
বার্মিংহামের ওই মসজিদগুলোতে হাতুড়ি বা এ জাতীয় উপকরণ দিয়ে জানালা ভাঙচুর
করা হয়। এতে সেখানকার মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাদের আশঙ্কা,
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হামলার সঙ্গে এর যোগসূত্র থাকতে পারে।
সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
বৃটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মিররের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার দিবাগত রাতে চারটি মসজিদে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ বলছে, মধ্যরাতে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই একের পর এক ভাঙচুরের খবর আসতে থাকে তাদের কাছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আরো একটি মসজিদে হামলা করা হয়েছে বলে খবর পান তারা।
বার্মিংহামে অবস্থিত ওই মসজিদের সেক্রেটারির উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় টিভি চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, দিনের আলোতেই গতকাল সকালে একটি মসজিদে ভাঙচুর করা হয়। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, ৫টি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র আছে বলে মনে করছেন তারা। পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট ইতিমধ্যেই হামলার তদন্ত শুরু করেছে।
গতকাল রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ হামলার উদ্দেশ্য উদ্ঘাটন করতে না পারলেও বার্মিংহামের মুসলিমরা বুধবার রাতের হামলাকে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে টেরেন্টের হামলার মতো মনে করছে। তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রশিদ মুহাম্মদ নামে বার্মিংহামের এক মুসলিম জানান, নিউজিল্যান্ডে হামলার পর ভয় হচ্ছিল যে এখানেও ওই ধরনের কিছু ঘটতে পারে। আমি মিথ্যা বলছি না, ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার পরেই আমার এমনটি মনে হচ্ছিল। এমনকি নামাজের সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে বের হওয়ার ‘জরুরি দরজাও’ খুঁজে রেখেছি। অল্প সময়ের ব্যবধানে সেটাই ঘটলো। বর্ণবাদে বিশ্বাসী ছোট মনের ব্যক্তিরা এসব কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে। বর্তমান সময়ে এটা ঘটতে দেখা খুবই দুঃখজনক বিষয়। বৈচিত্র্যপূর্ণ এই শহরে বসবাস করে আমরা গর্বিত।
উইটন ইসলামিক সেন্টার বুধবার রাতে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছে। ওয়েস্ট মিটল্যান্ড পুলিশ বলছে, রাত আড়াইটার দিকে তাদের কাছে সংবাদ আসে যে, এক ব্যক্তি হাতুড়ি দিয়ে বার্কফিল্ট রোডের একটি মসজিদের জানালা ভাঙচুর করছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে ছুটে যায় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে ভাঙচুর চালিয়ে হামলাকারী ওই স্থান ত্যাগ করেছে। উইটন ইসলামিক সেন্টারের মুখপাত্র জাভিদ ইকবাল বলেন, নিউজিল্যান্ডে নিষ্ঠুরতার পর এ ধরনের হামলা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা মধ্যরাতে এক শ্বেতাঙ্গ হামলাকারীর শিকার হয়েছি। সে হাতুড়ি নিয়ে এসে মসজিদের জানালায় ভাঙচুর চালায়। সে এত জোরে জানালায় আঘাত করছিল যে, এক পর্যায়ে হাতুড়ি তার হাত ফস্কে মসজিদের মধ্যে পড়ে। এর পর সে চলে যায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, আধা ঘণ্টা পরে সে আরেকটি হাতুড়ি নিয়ে আসে ও নতুন উদ্যমে মসজিদের জানালা ভাঙতে থাকে। পাঁচ বা ছয়টি জানালা ভেঙেছে সে।
উইটন সেন্টারে হামলার সময়েই আশেপাশের অন্য মসজিদগুলোতেও ভাঙচুর চালানো হয়। হামলাকারীরা দলবদ্ধভাবে একইসঙ্গে সব মসজিদে ভাঙচুর চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জাভিদ ইকবাল। তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের মর্মান্তিক হামলার পর বার্মিংহামে বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসের অনুসারীরা একজোট হয়। তারা শহরের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য উদ্যাপন করে। প্রকৃত ঘটনা যাই হোক, একটি নির্বোধ সংখ্যালঘু দল এই হামলা চালিয়েছে। যারা এই কম্যুনিটির মূল্যবোধকে ধারণ করে না।
হামলার পর বার্মিংহামের মসজিদগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে এখনো এগুলো মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। শুক্রবারের জুমার নামাজ নির্বিঘ্নে আদায় করার জন্য উইটন সেন্টার অতিরিক্ত পুলিশ চেয়েছে।
সব মসজিদেই হামলার ধরন অভিন্ন। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে এসব মসজিদের জানালা ভাঙচুর করে। ভাঙচুর চালানো মসজিদগুলো হলো- বার্কফিল্ড রোড মসজিদ, এরডিংটন রোড মসজিদ, উইটন রোড ও পেরি বার রোডের মসজিদ। এই মসজিদগুলোতে বুধবার মধ্যরাতে হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকালেও আরেকটি মসজিদে একই ধরনের হামলার খবর পাওয়া গেছে।
সিসিটিভি ফুটেজ ও আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে হামলাকারীকে ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড পুলিশের চিফ কনস্টেবল ডেভ থম্পসন বলেন, গত রাতের হামলার মূল উদ্দেশ্য এখনো আমরা জানতে পারি নি। তবে এতে দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে পুলিশ বাহিনী ও এর সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট একযোগে কাজ করছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে যারা আমাদের কম্যুনিটিতে বিশৃঙ্খলা, আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ।
বৃটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মিররের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার দিবাগত রাতে চারটি মসজিদে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ বলছে, মধ্যরাতে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই একের পর এক ভাঙচুরের খবর আসতে থাকে তাদের কাছে।
বৃহস্পতিবার সকালে আরো একটি মসজিদে হামলা করা হয়েছে বলে খবর পান তারা।
বার্মিংহামে অবস্থিত ওই মসজিদের সেক্রেটারির উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় টিভি চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, দিনের আলোতেই গতকাল সকালে একটি মসজিদে ভাঙচুর করা হয়। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, ৫টি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র আছে বলে মনে করছেন তারা। পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট ইতিমধ্যেই হামলার তদন্ত শুরু করেছে।
গতকাল রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ হামলার উদ্দেশ্য উদ্ঘাটন করতে না পারলেও বার্মিংহামের মুসলিমরা বুধবার রাতের হামলাকে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে টেরেন্টের হামলার মতো মনে করছে। তাদের মধ্যে ব্যাপকভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রশিদ মুহাম্মদ নামে বার্মিংহামের এক মুসলিম জানান, নিউজিল্যান্ডে হামলার পর ভয় হচ্ছিল যে এখানেও ওই ধরনের কিছু ঘটতে পারে। আমি মিথ্যা বলছি না, ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার পরেই আমার এমনটি মনে হচ্ছিল। এমনকি নামাজের সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে বের হওয়ার ‘জরুরি দরজাও’ খুঁজে রেখেছি। অল্প সময়ের ব্যবধানে সেটাই ঘটলো। বর্ণবাদে বিশ্বাসী ছোট মনের ব্যক্তিরা এসব কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে। বর্তমান সময়ে এটা ঘটতে দেখা খুবই দুঃখজনক বিষয়। বৈচিত্র্যপূর্ণ এই শহরে বসবাস করে আমরা গর্বিত।
উইটন ইসলামিক সেন্টার বুধবার রাতে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হয়েছে। ওয়েস্ট মিটল্যান্ড পুলিশ বলছে, রাত আড়াইটার দিকে তাদের কাছে সংবাদ আসে যে, এক ব্যক্তি হাতুড়ি দিয়ে বার্কফিল্ট রোডের একটি মসজিদের জানালা ভাঙচুর করছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে ছুটে যায় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে ভাঙচুর চালিয়ে হামলাকারী ওই স্থান ত্যাগ করেছে। উইটন ইসলামিক সেন্টারের মুখপাত্র জাভিদ ইকবাল বলেন, নিউজিল্যান্ডে নিষ্ঠুরতার পর এ ধরনের হামলা খুবই উদ্বেগজনক। আমরা মধ্যরাতে এক শ্বেতাঙ্গ হামলাকারীর শিকার হয়েছি। সে হাতুড়ি নিয়ে এসে মসজিদের জানালায় ভাঙচুর চালায়। সে এত জোরে জানালায় আঘাত করছিল যে, এক পর্যায়ে হাতুড়ি তার হাত ফস্কে মসজিদের মধ্যে পড়ে। এর পর সে চলে যায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, আধা ঘণ্টা পরে সে আরেকটি হাতুড়ি নিয়ে আসে ও নতুন উদ্যমে মসজিদের জানালা ভাঙতে থাকে। পাঁচ বা ছয়টি জানালা ভেঙেছে সে।
উইটন সেন্টারে হামলার সময়েই আশেপাশের অন্য মসজিদগুলোতেও ভাঙচুর চালানো হয়। হামলাকারীরা দলবদ্ধভাবে একইসঙ্গে সব মসজিদে ভাঙচুর চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জাভিদ ইকবাল। তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের মর্মান্তিক হামলার পর বার্মিংহামে বিভিন্ন ধর্ম বিশ্বাসের অনুসারীরা একজোট হয়। তারা শহরের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য উদ্যাপন করে। প্রকৃত ঘটনা যাই হোক, একটি নির্বোধ সংখ্যালঘু দল এই হামলা চালিয়েছে। যারা এই কম্যুনিটির মূল্যবোধকে ধারণ করে না।
হামলার পর বার্মিংহামের মসজিদগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে এখনো এগুলো মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। শুক্রবারের জুমার নামাজ নির্বিঘ্নে আদায় করার জন্য উইটন সেন্টার অতিরিক্ত পুলিশ চেয়েছে।
সব মসজিদেই হামলার ধরন অভিন্ন। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে এসব মসজিদের জানালা ভাঙচুর করে। ভাঙচুর চালানো মসজিদগুলো হলো- বার্কফিল্ড রোড মসজিদ, এরডিংটন রোড মসজিদ, উইটন রোড ও পেরি বার রোডের মসজিদ। এই মসজিদগুলোতে বুধবার মধ্যরাতে হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকালেও আরেকটি মসজিদে একই ধরনের হামলার খবর পাওয়া গেছে।
সিসিটিভি ফুটেজ ও আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে হামলাকারীকে ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ওয়েস্ট মিডল্যান্ড পুলিশের চিফ কনস্টেবল ডেভ থম্পসন বলেন, গত রাতের হামলার মূল উদ্দেশ্য এখনো আমরা জানতে পারি নি। তবে এতে দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে পুলিশ বাহিনী ও এর সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট একযোগে কাজ করছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে যারা আমাদের কম্যুনিটিতে বিশৃঙ্খলা, আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ।
No comments