বৃটেনকে কোন পথে নিয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে!
ব্রেক্সিট
ইস্যুতে বৃটেনকে কোন পথে নিয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে! এ প্রশ্ন আজ
সবার। কারণ, আজ আবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে আনা সংক্রান্ত
সংশোধিত ব্রেক্সিট চুক্তি বৃটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে
উঠছে ভোটে। যদি এ চুক্তি প্রত্যাখ্যাত হয় তাহলে বৃটেনকে তৃতীয় কোনো সুযোগ
দেবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন- এ কথা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ইউরোপীয়
কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ-ক্লাউডি জাঙ্কার। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী
তেরেসাকে টার্গেট করে আছেন বিরোধী লেবার দলনেতা জেরেমি করবিন। তিনি
পরিষ্কারভাবে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ইউরোপের সঙ্গে সমঝোতা প্রক্রিয়া
ব্যর্থ হয়েছে।
এর আগে জানুয়ারিতে ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর হাউস অব পার্লামেন্টে ভোট হয়। তাতে ভয়াবহভাবে পরাজিত হন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। তারপর ওই চুক্তিতে সংশোধন করা হয়।
ফলে তা আজ আবার অর্থপূর্ণ ভোটের জন্য পার্লামেন্টে তোলা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যদি আজও এ চুক্তি হাউস অব কমন্স প্রত্যাখ্যান হরে তাহলে কি হবে? হ্যাঁ, যদি আজও এ চুক্তি প্রত্যাখ্যাত হয় তাহলে কোনো চুক্তি ছাড়াই বৃটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাবে কিনা সে বিষয়ে বুধবার আবার ভোট গ্রহণ হবে। যদি তাও প্রত্যাখ্যান করা হয় তাহলে বৃহস্পতিবার এমপিরা আবার একটি প্রস্তাবের ওপর ভোট দেবেন। তা হলো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে আনার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে অনুরোধ করা হবে কিনা। এসব খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এর আগে সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দর কষাকাষিতে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ-ক্লাউডি জাঙ্কারের সঙ্গে এমন বোঝাপড়ায় ব্যস্ত ছিলেন। এরপর স্ট্রাসবার্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সেখানে তেরেসা মে বলেছেন, তিনি ব্রেক্সিট চুক্তিতে আইনগথ বাধ্যবাধকতায় পরিবর্তন নিশ্চিত করেছেন। তবে বিরোধী লেবার দলনেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, তেরেসা মের এই ঘোষণায় কোনো পরিবর্তন নেই, যে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি তিনি পার্লামেন্টে দিয়েছিলেন।
ওদিকে সংবাদ সম্মেলনের সামান্য আগে হাউস অব কমন্সে এসব পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রীপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড লিডিংটন। অন্যদিকে তেরেসা মে নিশ্চিত করেছেন, আজ অর্থপূর্ণ ভোটের আগে এই চুক্তির বিষয়ে উন্মুক্ত বিতর্ক হবে। এর আগে এমন চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্টে জানুয়ারিতে তিনি ২৩০ ভোটের ব্যবধানে ঐতিহাসিক পরাজয় বরণ করেন। তাই আজকের ভোটের আগে তার এটর্নি জেনারেল জিওফ্রে কক্স পরিবর্তিত বিষয়গুলো প্রকাশ করবেন।
ওদিকে বিবিসির পলিটিক্যাল এডিটর লরা কুন্সেবার্গ তার বিশ্লেষণে বলেছেন, মঙ্গলবার সকালে সরকার অনেকটা নার্ভাস হয়ে পড়বে। তারা এমনটা প্রত্যাশা করতে পারছেন না যে, খুব দ্রুত গতিতে, শুভাকাঙ্খীদের উল্লাসের মধ্য দিয়ে এই চুক্তি পাস হবে।
সোমবার দিনের শেষভাগে ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী স্টিভ বারক্লে ব্রেক্সিট নিয়ে শেষ আলোচনার জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উদ্দেশে যাত্রা করেন তেরেসা মে। সেখানে কথা বলেন জ্যাঁ-ক্লাউডি জাঙ্কার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্রেক্সিট বিষয়ক প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়েরের সঙ্গে। এর মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে আনার প্রক্রিয়া শক্তিশালী ও উন্নত হবে বলে মন্তব্য করেছেন লিডিংটন।
ওদিকে জ্যাঁ-ক্লাউডি জাঙ্কার এমপিদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি মঙ্গলবারের ভোটে তারা চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেন তাহলে সবকিছু ঝুঁকিতে পড়বে। রাজনীতিতে কখনো কখনো দ্বিতীয়বার সুযোগ আসে। এখন সেই দ্বিতীয় সুযোগ নিয়ে আমরা কাজ করছি। এরপর আর কোনো তৃতীয় সুযোগ আসবে না। তাই পছন্দ কি হবে তা স্ফটিকের মতো পরিষ্কার করে বলতে হবে। বলতে হবে- এটাই সেই চুক্তি অথবা আদৌ ব্রেক্সিট চুক্তি হবে না।
ওদিকে আজকের ভোটে এই চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার জন্য এমপিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন। তিনি বলেছেন, ব্রেক্সিট চুক্তি ভয়াবহভাবে এর আগে পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কার্যকর দর কষাকষিতে ব্যর্থ হয়েছেন। পার্লামেন্ট সমর্থন করতে পারে এমন অভিন্ন ক্ষেত্র তৈরিতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
এর আগে জানুয়ারিতে ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর হাউস অব পার্লামেন্টে ভোট হয়। তাতে ভয়াবহভাবে পরাজিত হন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। তারপর ওই চুক্তিতে সংশোধন করা হয়।
ফলে তা আজ আবার অর্থপূর্ণ ভোটের জন্য পার্লামেন্টে তোলা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যদি আজও এ চুক্তি হাউস অব কমন্স প্রত্যাখ্যান হরে তাহলে কি হবে? হ্যাঁ, যদি আজও এ চুক্তি প্রত্যাখ্যাত হয় তাহলে কোনো চুক্তি ছাড়াই বৃটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাবে কিনা সে বিষয়ে বুধবার আবার ভোট গ্রহণ হবে। যদি তাও প্রত্যাখ্যান করা হয় তাহলে বৃহস্পতিবার এমপিরা আবার একটি প্রস্তাবের ওপর ভোট দেবেন। তা হলো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে আনার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে অনুরোধ করা হবে কিনা। এসব খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এর আগে সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দর কষাকাষিতে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট জ্যাঁ-ক্লাউডি জাঙ্কারের সঙ্গে এমন বোঝাপড়ায় ব্যস্ত ছিলেন। এরপর স্ট্রাসবার্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সেখানে তেরেসা মে বলেছেন, তিনি ব্রেক্সিট চুক্তিতে আইনগথ বাধ্যবাধকতায় পরিবর্তন নিশ্চিত করেছেন। তবে বিরোধী লেবার দলনেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, তেরেসা মের এই ঘোষণায় কোনো পরিবর্তন নেই, যে পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি তিনি পার্লামেন্টে দিয়েছিলেন।
ওদিকে সংবাদ সম্মেলনের সামান্য আগে হাউস অব কমন্সে এসব পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন মন্ত্রীপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড লিডিংটন। অন্যদিকে তেরেসা মে নিশ্চিত করেছেন, আজ অর্থপূর্ণ ভোটের আগে এই চুক্তির বিষয়ে উন্মুক্ত বিতর্ক হবে। এর আগে এমন চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্টে জানুয়ারিতে তিনি ২৩০ ভোটের ব্যবধানে ঐতিহাসিক পরাজয় বরণ করেন। তাই আজকের ভোটের আগে তার এটর্নি জেনারেল জিওফ্রে কক্স পরিবর্তিত বিষয়গুলো প্রকাশ করবেন।
ওদিকে বিবিসির পলিটিক্যাল এডিটর লরা কুন্সেবার্গ তার বিশ্লেষণে বলেছেন, মঙ্গলবার সকালে সরকার অনেকটা নার্ভাস হয়ে পড়বে। তারা এমনটা প্রত্যাশা করতে পারছেন না যে, খুব দ্রুত গতিতে, শুভাকাঙ্খীদের উল্লাসের মধ্য দিয়ে এই চুক্তি পাস হবে।
সোমবার দিনের শেষভাগে ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী স্টিভ বারক্লে ব্রেক্সিট নিয়ে শেষ আলোচনার জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উদ্দেশে যাত্রা করেন তেরেসা মে। সেখানে কথা বলেন জ্যাঁ-ক্লাউডি জাঙ্কার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্রেক্সিট বিষয়ক প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়েরের সঙ্গে। এর মধ্য দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে আনার প্রক্রিয়া শক্তিশালী ও উন্নত হবে বলে মন্তব্য করেছেন লিডিংটন।
ওদিকে জ্যাঁ-ক্লাউডি জাঙ্কার এমপিদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি মঙ্গলবারের ভোটে তারা চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেন তাহলে সবকিছু ঝুঁকিতে পড়বে। রাজনীতিতে কখনো কখনো দ্বিতীয়বার সুযোগ আসে। এখন সেই দ্বিতীয় সুযোগ নিয়ে আমরা কাজ করছি। এরপর আর কোনো তৃতীয় সুযোগ আসবে না। তাই পছন্দ কি হবে তা স্ফটিকের মতো পরিষ্কার করে বলতে হবে। বলতে হবে- এটাই সেই চুক্তি অথবা আদৌ ব্রেক্সিট চুক্তি হবে না।
ওদিকে আজকের ভোটে এই চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার জন্য এমপিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন লেবার নেতা জেরেমি করবিন। তিনি বলেছেন, ব্রেক্সিট চুক্তি ভয়াবহভাবে এর আগে পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কার্যকর দর কষাকষিতে ব্যর্থ হয়েছেন। পার্লামেন্ট সমর্থন করতে পারে এমন অভিন্ন ক্ষেত্র তৈরিতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
No comments