ইথিওপিয়ার বিধ্বস্ত বোয়িং নিয়ে নানা প্রশ্ন
ইথিওপীয়
উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাণ
প্রতিষ্ঠান বোয়িং। বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটি ছিল প্রতিষ্ঠানটির নতুন সংস্করণ ৭৩৭
ম্যাক্স ৮ মডেলের। এ নিয়ে গত পাঁচ মাসে এই মডেলের দুটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
হওয়ার ঘটনা ঘটল। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ সংস্করণের
ইন্দোনেশিয়ার উড়োজাহাজ লায়ন এয়ার বিধ্বস্ত হয়।
গত রোববার ইথিওপীয় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে সব যাত্রী, ক্রুসহ ১৫৭ জন নিহত হন। উড়োজাহাজটি ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি যাচ্ছিল। আদ্দিস আবাবা থেকে ওড়ার ছয় মিনিটের মধ্যে স্থানীয় সময় সকাল পৌনে নয়টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের কারণ সম্পর্কে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩০টিরও বেশি দেশের যাত্রীরা ছিলেন এতে। এর মধ্যে কেনিয়ার ৩২ জন, কানাডার ১৮ জন ও যুক্তরাজ্যের সাতজন ছিলেন। নিহত যাত্রীদের মধ্যে ১৯ জন জাতিসংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্লোভাক এমপি অ্যানতন হেরোনকো জানান, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান ছিলেন উড়োজাহাজটিতে।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আজ সোমবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে ইথিওপিয়া।
বোয়িংয়ের ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ আকাশপথে নতুন সংযোজন। ২০১৭ সাল থেকে এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ‘গভীর সমবেদনা’ প্রকাশ করেছে বোয়িং। কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য তারা প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে।
গত অক্টোবরে লায়ন এয়ার বিধ্বস্ত হওয়ার পর তদন্তকারী দল জানিয়েছিল, বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের নতুন ফিচার অনুসারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে উড়োজাহাজটিকে থামাতে (স্টলিং) বেগ পেতে হচ্ছিল পাইলটকে। উড়োজাহাজটিকে থেমে যাওয়া থেকে বাধা দেওয়ার পদ্ধতিটি (অ্যান্টি-স্টলিং) ক্রমাগতভাবে উড়োজাহাজটিকে নাক বরাবর নিচে নামিয়ে দিচ্ছিল। পাইলট চেষ্টা করেও এটা ঠিক করতে পারেননি। লায়ন এয়ার বিধ্বস্ত হয়ে ১৮৯ জন নিহত হয়েছিলেন। লায়ন এয়ারের উড়োজাহাজটিও নতুন ছিল এবং আকাশে ওড়ার কিছু সময় পরই তা বিধ্বস্ত হয়।
মার্কিন পরিবহন বিভাগের সাবেক মহাপরিদর্শক ম্যারি স্কিয়াভো সিএনএনকে বলেন, এটা খুবই সন্দেহজনক। একটি আনকোরা ব্র্যান্ডের উড়োজাহাজ বছরে দুবার বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এটা এভিয়েশন শিল্পের জন্য সতর্কবার্তা। কারণ, আগে এমনটা ঘটেনি।
লায়ন এয়ার দুর্ঘটনার পর উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষকে বোয়িং অ্যান্টি-স্টলিং পদ্ধতি নিয়ে সতর্ক করে জরুরি বার্তা পাঠায়।
রয়টার্সের তথ্য অনুসারে, এই সমস্যা সমাধানে একটি সফটওয়্যার যুক্ত করার আশা করছে বোয়িং।
এভিয়েশন নিরাপত্তাবিষয়ক পরামর্শক ও সাবেক পাইলট এন্ড্রু ব্ল্যাকি বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, পদ্ধতির পরিবর্তনগুলো নিয়ে হয়তো ফ্লাইট পরিচালনাকারীদের কাছে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। এভিয়েশন ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, নতুন কোনো উড়োজাহাজের দুর্ঘটনা ঘটার বিষয়টি খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ইথিওপীয় উড়োজাহাজ অ্যান্টি-স্টলিং পদ্ধতির কারণে দুর্ঘটনায় পড়েছে কি না, তা প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট হয়নি। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্য কারিগরি সমস্যা বা মানুষের ভুলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না, সেই চিন্তাও বাদ রাখা যাবে না।
ইথিওপীয় উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষের ফ্লাইট পরিচালনায় সুনাম রয়েছে। যদিও এর আগে ২০১০ সালে বৈরুত ছাড়ার অল্প সময়ের মধ্যে ভূমধ্যসাগরে এই প্রতিষ্ঠানের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৯০ জন নিহত হয়েছিলেন।
গত রোববার ইথিওপীয় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে সব যাত্রী, ক্রুসহ ১৫৭ জন নিহত হন। উড়োজাহাজটি ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি যাচ্ছিল। আদ্দিস আবাবা থেকে ওড়ার ছয় মিনিটের মধ্যে স্থানীয় সময় সকাল পৌনে নয়টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের কারণ সম্পর্কে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
৩০টিরও বেশি দেশের যাত্রীরা ছিলেন এতে। এর মধ্যে কেনিয়ার ৩২ জন, কানাডার ১৮ জন ও যুক্তরাজ্যের সাতজন ছিলেন। নিহত যাত্রীদের মধ্যে ১৯ জন জাতিসংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্লোভাক এমপি অ্যানতন হেরোনকো জানান, তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান ছিলেন উড়োজাহাজটিতে।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় আজ সোমবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে ইথিওপিয়া।
বোয়িংয়ের ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ আকাশপথে নতুন সংযোজন। ২০১৭ সাল থেকে এটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ‘গভীর সমবেদনা’ প্রকাশ করেছে বোয়িং। কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য তারা প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছে।
গত অক্টোবরে লায়ন এয়ার বিধ্বস্ত হওয়ার পর তদন্তকারী দল জানিয়েছিল, বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের নতুন ফিচার অনুসারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে উড়োজাহাজটিকে থামাতে (স্টলিং) বেগ পেতে হচ্ছিল পাইলটকে। উড়োজাহাজটিকে থেমে যাওয়া থেকে বাধা দেওয়ার পদ্ধতিটি (অ্যান্টি-স্টলিং) ক্রমাগতভাবে উড়োজাহাজটিকে নাক বরাবর নিচে নামিয়ে দিচ্ছিল। পাইলট চেষ্টা করেও এটা ঠিক করতে পারেননি। লায়ন এয়ার বিধ্বস্ত হয়ে ১৮৯ জন নিহত হয়েছিলেন। লায়ন এয়ারের উড়োজাহাজটিও নতুন ছিল এবং আকাশে ওড়ার কিছু সময় পরই তা বিধ্বস্ত হয়।
মার্কিন পরিবহন বিভাগের সাবেক মহাপরিদর্শক ম্যারি স্কিয়াভো সিএনএনকে বলেন, এটা খুবই সন্দেহজনক। একটি আনকোরা ব্র্যান্ডের উড়োজাহাজ বছরে দুবার বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এটা এভিয়েশন শিল্পের জন্য সতর্কবার্তা। কারণ, আগে এমনটা ঘটেনি।
লায়ন এয়ার দুর্ঘটনার পর উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষকে বোয়িং অ্যান্টি-স্টলিং পদ্ধতি নিয়ে সতর্ক করে জরুরি বার্তা পাঠায়।
রয়টার্সের তথ্য অনুসারে, এই সমস্যা সমাধানে একটি সফটওয়্যার যুক্ত করার আশা করছে বোয়িং।
এভিয়েশন নিরাপত্তাবিষয়ক পরামর্শক ও সাবেক পাইলট এন্ড্রু ব্ল্যাকি বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, পদ্ধতির পরিবর্তনগুলো নিয়ে হয়তো ফ্লাইট পরিচালনাকারীদের কাছে ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। এভিয়েশন ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, নতুন কোনো উড়োজাহাজের দুর্ঘটনা ঘটার বিষয়টি খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ইথিওপীয় উড়োজাহাজ অ্যান্টি-স্টলিং পদ্ধতির কারণে দুর্ঘটনায় পড়েছে কি না, তা প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট হয়নি। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্য কারিগরি সমস্যা বা মানুষের ভুলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না, সেই চিন্তাও বাদ রাখা যাবে না।
ইথিওপীয় উড়োজাহাজ কর্তৃপক্ষের ফ্লাইট পরিচালনায় সুনাম রয়েছে। যদিও এর আগে ২০১০ সালে বৈরুত ছাড়ার অল্প সময়ের মধ্যে ভূমধ্যসাগরে এই প্রতিষ্ঠানের একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ৯০ জন নিহত হয়েছিলেন।
No comments