মার্কিন ঘাঁটির পাশেই থাকতেন মোল্লা ওমর
আফগানিস্তানের
তালেবান নেতা মোল্লা মোহাম্মদ ওমরকে ধরতে কত কিছুই না করেছিল
যুক্তরাষ্ট্র। একসময় তাঁকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করে দেশটি।
অথচ মার্কিন সেনাদের নাকের ডগায় ১২ বছর নিশ্চিন্তে অবস্থান করেছেন মোল্লা
ওমর। তাঁর মৃত্যুও হয়েছে স্বাভাবিক।
নেদারল্যান্ডসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক বেট্টে ড্যামের ‘সার্চিং ফর এন এনিমি’ বইয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে ডাচ্ ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে বইটি। কিছুদিনের মধ্যে ইংরেজি ভাষায় বাজারে আসবে এটি।
ওয়াশিংটন বিশ্বাস করত, মোল্লা ওপর পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে নতুন এই জীবনীগ্রন্থে বলা হচ্ছে, মোল্লা ওমর তাঁর নিজ প্রদেশ জাবুলে অবস্থিত একটি বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে তিন মাইল দূরে বসবাস করতেন। ২০১৩ সালে মৃত্যু অবধি সেখানেই ছিলেন তিনি। তিনি পরিবারের কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন না। আর কাল্পনিক ভাষায় দিনপঞ্জিতে নোট লিখে রাখতেন।
বইটি লিখতে প্রায় পাঁচ বছর গবেষণা করেছেন ড্যাম। তিনি মোল্লা ওমরের দেহরক্ষী জাব্বার ওমারির সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হন। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান মোল্লা ওমর। সে সময় থেকে তালেবান নেতার দেহরক্ষীর দায়িত্ব পালন করেন জাব্বার ওমারি। ২০১৩ সালে অসুস্থ হয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তালেবান নেতাকে লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন ওমারি।
ওই গ্রন্থে বলা হয়, ওমর প্রতিদিন বিকেলে বিবিসির পশতু ভাষার খবর শুনতেন। তবে তিনি আল-কায়েদাপ্রধান ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুসংবাদ শুনে ও বাইরের জগতের বিষয়ে খুব কম মন্তব্য করতেন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর আফগানিস্তানে তালেবান সরকারকে উৎখাতে উঠেপড়ে লাগে যুক্তরাষ্ট্র। তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে আফগানিস্তান দখলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। মোল্লা ওমরের মাথার দাম এক কোটি ডলার ঘোষণা করে ওয়াশিংটন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মার্কিন সেনাদের নাকের ডগায় অবস্থিত একটি বাড়িতে ১২ বছর অবস্থান করেন মোল্লা ওমর। মার্কিন বাহিনী দুবার তাঁর খুব কাছাকাছি এলেও তাঁকে খুঁজে পায়নি। একবার মার্কিন বাহিনী ঘাঁটির খুব কাছাকাছি এসে চলে যায়। আরেকবার মার্কিন সেনারা ওই বাড়িতেই তল্লাশি চালায়। কিন্তু তাঁরা মোল্লা ওমরের ঘরের গোপন কুঠুরি না খুলেই চলে যায়। ফলে, সে যাত্রাতেও ধরা পড়েন না ওমর।
২০০৪ সালে একবার স্থান পরিবর্তন করেন ওমর। তাঁর বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক শ মিটার দূরে নির্মাণকাজ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি তাঁর দ্বিতীয় বাড়িতে চলে যান। ধরা পড়ার ভয়ে কখনো ওই জায়গা থেকে সরে যেতে সাহস করেননি ওমর। খুব কম বাইরে যেতেন। মার্কিন বিমান বাড়ির ওপর দিয়ে গেলে তিনি টানেলে লুকিয়ে থাকতেন। ড্যামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওমর কেবল তাঁর দেহরক্ষী ও রাঁধুনির সঙ্গে কথা বলতেন। সিমকার্ড ছাড়া পুরোনো মডেলের একটি নকিয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন তিনি।
জাব্বার ওমারি জানান, আত্মগোপনে থাকার এই সময় মোল্লা ওমরের পক্ষে তালেবান গোষ্ঠীকে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তবে তালেবান জঙ্গিরা সে সময় দাবি করতেন, তাঁরা মোল্লা ওমরের নির্দেশে কাজ করছেন।
নেদারল্যান্ডসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক বেট্টে ড্যামের ‘সার্চিং ফর এন এনিমি’ বইয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে ডাচ্ ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে বইটি। কিছুদিনের মধ্যে ইংরেজি ভাষায় বাজারে আসবে এটি।
ওয়াশিংটন বিশ্বাস করত, মোল্লা ওপর পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে নতুন এই জীবনীগ্রন্থে বলা হচ্ছে, মোল্লা ওমর তাঁর নিজ প্রদেশ জাবুলে অবস্থিত একটি বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি থেকে তিন মাইল দূরে বসবাস করতেন। ২০১৩ সালে মৃত্যু অবধি সেখানেই ছিলেন তিনি। তিনি পরিবারের কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন না। আর কাল্পনিক ভাষায় দিনপঞ্জিতে নোট লিখে রাখতেন।
বইটি লিখতে প্রায় পাঁচ বছর গবেষণা করেছেন ড্যাম। তিনি মোল্লা ওমরের দেহরক্ষী জাব্বার ওমারির সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম হন। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান মোল্লা ওমর। সে সময় থেকে তালেবান নেতার দেহরক্ষীর দায়িত্ব পালন করেন জাব্বার ওমারি। ২০১৩ সালে অসুস্থ হয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তালেবান নেতাকে লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন ওমারি।
ওই গ্রন্থে বলা হয়, ওমর প্রতিদিন বিকেলে বিবিসির পশতু ভাষার খবর শুনতেন। তবে তিনি আল-কায়েদাপ্রধান ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুসংবাদ শুনে ও বাইরের জগতের বিষয়ে খুব কম মন্তব্য করতেন।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর আফগানিস্তানে তালেবান সরকারকে উৎখাতে উঠেপড়ে লাগে যুক্তরাষ্ট্র। তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে আফগানিস্তান দখলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। মোল্লা ওমরের মাথার দাম এক কোটি ডলার ঘোষণা করে ওয়াশিংটন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মার্কিন সেনাদের নাকের ডগায় অবস্থিত একটি বাড়িতে ১২ বছর অবস্থান করেন মোল্লা ওমর। মার্কিন বাহিনী দুবার তাঁর খুব কাছাকাছি এলেও তাঁকে খুঁজে পায়নি। একবার মার্কিন বাহিনী ঘাঁটির খুব কাছাকাছি এসে চলে যায়। আরেকবার মার্কিন সেনারা ওই বাড়িতেই তল্লাশি চালায়। কিন্তু তাঁরা মোল্লা ওমরের ঘরের গোপন কুঠুরি না খুলেই চলে যায়। ফলে, সে যাত্রাতেও ধরা পড়েন না ওমর।
২০০৪ সালে একবার স্থান পরিবর্তন করেন ওমর। তাঁর বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক শ মিটার দূরে নির্মাণকাজ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি তাঁর দ্বিতীয় বাড়িতে চলে যান। ধরা পড়ার ভয়ে কখনো ওই জায়গা থেকে সরে যেতে সাহস করেননি ওমর। খুব কম বাইরে যেতেন। মার্কিন বিমান বাড়ির ওপর দিয়ে গেলে তিনি টানেলে লুকিয়ে থাকতেন। ড্যামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওমর কেবল তাঁর দেহরক্ষী ও রাঁধুনির সঙ্গে কথা বলতেন। সিমকার্ড ছাড়া পুরোনো মডেলের একটি নকিয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন তিনি।
জাব্বার ওমারি জানান, আত্মগোপনে থাকার এই সময় মোল্লা ওমরের পক্ষে তালেবান গোষ্ঠীকে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তবে তালেবান জঙ্গিরা সে সময় দাবি করতেন, তাঁরা মোল্লা ওমরের নির্দেশে কাজ করছেন।
No comments