অনুমতি ছাড়া কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না ম্যাজিস্ট্রেটরা
একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ভোটকেন্দ্রের
ভেতরে প্রবেশ না করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান
নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। গতকাল নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে ব্রিফিংয়ে সিইসি এ নির্দেশনা দেন। সিইসি বলেন,
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে আপনারা প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে সহযোগিতা
করবেন। কিন্তু প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ভোটকেন্দ্রের ভেতরে
প্রবেশ করবেন না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালনে কাজ
করবেন এসব ম্যাজিস্ট্রেট।
শনিবার থেকে তিন দিনব্যাপী তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট জানান, দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনার ও ইসি সচিব বক্তব্য রাখেন। তারা আচরণ বিধি প্রতিপালনে নানান করণীয় দিক তুলে ধরেন। ওই প্রশিক্ষণে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচনে সবার জন্য সমান আইনের প্রয়োগ করতে হবে।
মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাজে সহযোগিতা করবেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। কবিতা খানম বলেন, আপনাদের কাছে প্রার্থীর পরিচয় শুধুই একজন প্রার্র্থী। প্রতিটি ভোটকেন্দ্র আপনাদের রক্ষা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী পোস্টারে দলের প্রধানদের ছবি থাকবে। কিন্তু যেহেতু বিএনপির দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দণ্ডিত, পোস্টারে তাদের ছবি থাকতে পারবে কী না সে বিষয়ে পরে আপনাদের জানানো হবে।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন ভবনের বেজমেন্ট-২’তে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত ব্রিফিং শুরু হয়। ব্রিফিংয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বক্তব্য দেয়ার পরপরই সাংবাদিকদের বের হয়ে যেতে বলে নির্বাচন কমিশন। অথচ এর আগে, ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক শনিবারের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করেই ব্রিফিং শুরুর কিছু পরেই সাংবাদিকদের বের করে দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের রুদ্ধদ্বার ব্রিফিং করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অনান্য কমিশনাররা। শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য পর্যন্ত ব্রিফিংয়ে থাকার সুযোগ চান সাংবাদিকরা। কিন্তু ইসি কোনো কথা না শুনে সাংবাদিকদের বেরিয়ে যেতে বলেন। এ সময় ইসির কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে রূঢ় আচরণও করেন।
বিগত কয়েকদিন অনুষ্ঠিত রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, স্থানীয় পর্যবেক্ষক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সভাসহ সংবাদকর্মীদের ভিডিও ফুটেজ ধারণ, ছবি নেয়া, সিইসি, কমিশনার বা সচিবের বক্তব্য ধারণ করতে পারতেন সংবাদকর্মীরা। তবে, গতকাল শনিবার প্রথমবারের মতো রীতি ভেঙে অনুষ্ঠানের শুরুতেই সাংবাদিকদের বের করে দেয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিং শেষে অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ব্রিফিং থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের বের করে দেয়ার বিষয়টি সঠিক হয়নি স্বীকার করে সিইসি বলেন, আজকের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। গণমাধ্যমকর্মীদের অন্তত অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে থাকতে দিলে ভালো হতো। আগামীকালও একই ধরনের বৈঠক আছে। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের থাকতে দেয়া হবে। ব্রিফিংয়ে অংশ নেয়া অন্তত তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, নির্বাচনী আইন বিষয়েই মূলত তাদের ধারণা দেয়া হয়েছে। তবে, অনুষ্ঠান থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।
বলেন, ব্রিফিংয়ে এমন আপত্তিকর বা বিব্রতকর কিছু বলা হয়নি, যা সাংবাদিকরা শুনলে কমিশনের সমস্যা হতো। সাংবাদিকরা অন্তত প্রথম পর্বে অংশ নিতে পারতেন। গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান ও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক। ব্রিফিংয়ে অংশ নেন ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ ও শেরপুরসহ কয়েকটি জেলার ২২৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
শনিবার থেকে তিন দিনব্যাপী তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া কয়েকজন ম্যাজিস্ট্রেট জানান, দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে সিইসিসহ পাঁচ কমিশনার ও ইসি সচিব বক্তব্য রাখেন। তারা আচরণ বিধি প্রতিপালনে নানান করণীয় দিক তুলে ধরেন। ওই প্রশিক্ষণে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, নির্বাচনে সবার জন্য সমান আইনের প্রয়োগ করতে হবে।
মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাজে সহযোগিতা করবেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করবেন। কবিতা খানম বলেন, আপনাদের কাছে প্রার্থীর পরিচয় শুধুই একজন প্রার্র্থী। প্রতিটি ভোটকেন্দ্র আপনাদের রক্ষা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী পোস্টারে দলের প্রধানদের ছবি থাকবে। কিন্তু যেহেতু বিএনপির দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দণ্ডিত, পোস্টারে তাদের ছবি থাকতে পারবে কী না সে বিষয়ে পরে আপনাদের জানানো হবে।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন ভবনের বেজমেন্ট-২’তে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত ব্রিফিং শুরু হয়। ব্রিফিংয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বক্তব্য দেয়ার পরপরই সাংবাদিকদের বের হয়ে যেতে বলে নির্বাচন কমিশন। অথচ এর আগে, ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক শনিবারের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করেই ব্রিফিং শুরুর কিছু পরেই সাংবাদিকদের বের করে দিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের রুদ্ধদ্বার ব্রিফিং করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও অনান্য কমিশনাররা। শুধু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য পর্যন্ত ব্রিফিংয়ে থাকার সুযোগ চান সাংবাদিকরা। কিন্তু ইসি কোনো কথা না শুনে সাংবাদিকদের বেরিয়ে যেতে বলেন। এ সময় ইসির কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে রূঢ় আচরণও করেন।
বিগত কয়েকদিন অনুষ্ঠিত রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, স্থানীয় পর্যবেক্ষক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সভাসহ সংবাদকর্মীদের ভিডিও ফুটেজ ধারণ, ছবি নেয়া, সিইসি, কমিশনার বা সচিবের বক্তব্য ধারণ করতে পারতেন সংবাদকর্মীরা। তবে, গতকাল শনিবার প্রথমবারের মতো রীতি ভেঙে অনুষ্ঠানের শুরুতেই সাংবাদিকদের বের করে দেয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিং শেষে অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ব্রিফিং থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের বের করে দেয়ার বিষয়টি সঠিক হয়নি স্বীকার করে সিইসি বলেন, আজকের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। গণমাধ্যমকর্মীদের অন্তত অনুষ্ঠানের প্রথম অংশে থাকতে দিলে ভালো হতো। আগামীকালও একই ধরনের বৈঠক আছে। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের থাকতে দেয়া হবে। ব্রিফিংয়ে অংশ নেয়া অন্তত তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, নির্বাচনী আইন বিষয়েই মূলত তাদের ধারণা দেয়া হয়েছে। তবে, অনুষ্ঠান থেকে সাংবাদিকদের বের করে দেয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন তারা।
বলেন, ব্রিফিংয়ে এমন আপত্তিকর বা বিব্রতকর কিছু বলা হয়নি, যা সাংবাদিকরা শুনলে কমিশনের সমস্যা হতো। সাংবাদিকরা অন্তত প্রথম পর্বে অংশ নিতে পারতেন। গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান ও নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক। ব্রিফিংয়ে অংশ নেন ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ ও শেরপুরসহ কয়েকটি জেলার ২২৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
No comments