নিরাপত্তার তাগিদ কূটনীতিকদের

দেশের নানা প্রান্তে কর্মরত বিদেশী নাগরিক এবং ঢাকাস্থ কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। সাম্প্রতিক সময়ে দুজন বিদেশী নাগরিককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং প্রকৃত খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবিও জানিয়েছেন তারা। গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ ব্রিফিংয়ে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশী দূতরা এ দাবি জানান। রাজধানীর কূটনৈতিক জোনে ইতালিয়ান নাগরিক খুনের ৫ দিনের মাথায় রংপুরে একজন জাপানি নাগরিককে হত্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিদেশী নাগরিকদের আশ্বস্ত করতে সরকারের তরফে ওই কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে আয়োজন করা হয়। পড়ন্ত বিকালের এ আয়োজনে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশ, র‌্যাবের প্রধানসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট এবং পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট, কূটনৈতিক কোরের ডিন বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন, জাপানের রাষ্ট্রদূতসহ ৭ কূটনীতিক তাদের উদ্বেগের বিষয় তুলে ধরেন। ঘটনা দুটির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নেয়া নিরাপত্তায় তারা আপাতত ‘স্বস্তিবোধ’ করছেন বলে জানান। একাধিক কূটনৈতিক সূত্র মানবজমিনকে জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক জোনে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি গৃহীত বাড়তি নিরাপত্তা অব্যাহত রাখা এবং প্রকৃত অপরাধীদের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান ছিল বিদেশী দূতদের। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম মানবজমিনকে বলেন, ব্রিফিংয়ে প্রায় ৪৫ কূটনীতিক অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটিশ, জাপানসহ ৬-৭ জন কথা বলেছেন। ব্রিফিং শেষে প্রতিনিধি হিসেবে কূটনৈতিক কোরের ডিন রবার্ট গিবসন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। বলেন, বিদেশী হত্যার দুঃখজনক দুটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, আমরা তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা সর্বত্র বিদেশীদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলেছি। কূটনৈতিক কোরের ডিন রবার্ট গিবসন বলেন, দুই ঘটনার পূর্ণচিত্র বাংলাদেশের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। সরকারের মন্ত্রীদ্বয়, প্রতিমন্ত্রী, দুই সচিব এবং পুলিশের প্রধান আমাদের জানিয়েছেন, অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং পেশাদারিত্বের সঙ্গে দুটি খুনের রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে। প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে যত দ্রুত সম্ভব বিচারের আওতায় নিয়ে আসার বিষয়েও তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। সেখানে আমরাও আমাদের আইডিয়া শেয়ার করেছি। সরকারি প্রতিনিধিদের বক্তব্য এবং পদক্ষেপে তারা সন্তুষ্ট কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তায় সরকারের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাতে আমরা কৃতজ্ঞ।
হত্যাকারীদের ধরতে যা যা করা প্রয়োজন তা-ই করা হবে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী: ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মন্ত্রী বলেন, ইতালি ও জাপানের দুজন নাগরিক (সিজার তাভেলা ও হোশি কুনিও) খুনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতি এবং সরকারের পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডদ্বয়ের তদন্ত স্বচ্ছতা ও পেশাদারির সঙ্গে এগিয়ে চলেছে বলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। ওই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে সরকারের কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলেছি খুনিদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে আরও যা যা প্রয়োজন তার সবই করবে সরকার। বিদেশীদের ওপর সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে যে তথ্য সরকার পেয়েছিল, সে বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা যারা অপকর্ম ও অপরাধ ঘটায়, তখন কখনও এক জায়গায় থাকে না। এ স্থানে হামলার খবর পাওয়া গেলে দেখা যায় অন্যস্থানে ঘটনা ঘটিয়েছে। এরা জায়গা বদল করে। বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের ভ্রমণে সিকিউরিটি অ্যালার্ট দিয়ে রেখেছে। ব্রিফিংয়ে সেই অ্যালার্ট প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারের তরফে কোন তাগিদ দেয়া হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ঘটনা দুটির পর অল্প কয়দিন পার হয়েছে। পরিস্থিতি উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দূতাবাসগুলোও তাদের অ্যালার্ট প্রত্যাহার করে নেবে বলে আশা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সারা দেশে বিদেশীদের নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়ে কূটনৈতিকদের তাগিদ প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, বিদেশী কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে, শুধু ঢাকার কূটনীতিক এলাকাতেই নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছেন, তাদের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিদেশী নাগরিকরা যাতে বাংলাদেশে নিরাপদ বোধ করেন, তার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করবে সরকার। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের উপস্থিতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিষয়টির তদন্ত চলছে। ব্রিফিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এ নিয়ে তাদের অবহিত করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ব?াংলাদেশে আইএস আছে কিনা যুক্তরাষ্ট্র তা খতিয়ে দেখছে বলে আমাদের জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত। দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
খুনিদের খুঁজে বের করার আহ্বান জাতিসংঘের কাউসার মুমিন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে জানান, বাংলাদেশে দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার নিন্দা জানিয়ে খুনিদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। নিউ ইয়র্ক সময় গত সোমবার জাতিসংঘের মুখপাত্র কর্তৃক প্রেরিত এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘ আশা প্রকাশ করছে যে, বাংলাদেশ সরকার অনতিবিলম্বে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে দুই বিদেশী হত্যার পরবর্তী ঘটনাবলী একসপ্তাহ কাল পর্যবেক্ষণের পর জাতিসংঘ এই প্রতিক্রিয়া জানালো। এর আগে রাজধানী ঢাকার ডিপ্লোম্যাটিক জোনে বিগত ২৮শে সেপ্টেম্বর ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজার (৫০) দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন এবং পরবর্তীতে আইএস এই খুনের দায়িত্ব স্বীকার করে। ওই সময় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছিলেন। এছাড়া, ওই সময় সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের বিতর্ক নিয়ে জাতিসংঘ সচিবালয়ের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। এই ব্যস্ততার মধ্যেও বাংলাদেশে ইতালিয়ান নাগরিক হত্যার পর আইএস-এর দায় স্বীকার নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘের মুখপাত্র এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
পরবর্তীতে ইতালীয় নাগরিক খুনের কয়েকদিনের মাথায় গত ৩রা অক্টোবর খুন হন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও (৬৫), এবং এই খুনেরও দায়িত্ব স্বীকার করে বিবৃতি দেয় আইএস। এরই প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে সুনাম অর্জনকারী বাংলাদেশে উগ্রপন্থি জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের অফিস এক লিখিত বিবৃতিতে উপরোক্ত প্রতিক্রিয়া জানায়। জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মুখপাত্র এরি কানেকো কর্তৃক প্রেরিত ওই বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারকে এমন একটি ভয়মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয় যাতে দেশটিতে বসবাসকারী সকল মানুষ বাক-স্বাধীনতাসহ অন্যসব মানবাধিকার নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে পারে এবং ভয়মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারে।
জাপানি নাগরিক হত্যা, গ্রেপ্তারকৃত দুজন রিমান্ডে
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে জানান, জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এরা হলেন, হোশি কুনিও’র ব্যবসায়ী পার্টনার হুমায়ুন কবির হিরা ও বিএনপি নেতা হাবীব-উন-নবী খান সোহেলের ছোট ভাই রাশেদুন্নবী খান বিপ্লব। এর আগে কাউনিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম বাদী হয়ে ৩ অজ্ঞাতের নামে মামলা করেন। হুমায়ুন কবির হিরা ও রাশেদুন্নবী খান বিপ্লবকে এই মামলায় আসামি দেখিয়ে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউনিয়া আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে বাদী রেজাউল করিম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় বাদী পক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক জানান, আসামিদের কথায় অসংলগ্নতা থাকায় তাদের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। যা মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে গতকাল রংপুর হাজীরহাট বাসস্ট্যান্ড থেকে শাহীপাড়া এলাকার হানিফ মিয়ার পুত্র ডিস ব্যবসায়ী মো. সুমন (২৭) কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ২০-২২ জনের সিভিল পোশাকধারী তাকে আটক করে নিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত সুমনের স্ত্রী সামিয়া গতকাল রংপুর প্রেস ক্লাবে এসে অভিযোগ করেন তার স্বামীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে আটক করে নিয়ে গেলেও র‌্যাব ও থানায় খোঁজ করে তাকে পাওয়া যায়নি। ওদিকে জাপান দূতাবাস থেকে হোশি কুনিও’র মরদেহ গ্রহণের জন্য ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল রংপুরে অবস্থান করছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশ হস্তান্তের প্রক্রিয়া চলছিল। এদিকে জাপানি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রংপুরে বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। নগরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জাপানি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের মামলার বাদী কাউনিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, শনিবার সকালে মাহিগঞ্জ সংলগ্ন রংপুর-হারাগাছ সড়কের কাউনিয়ার আলুটারি এলাকায় দুর্বৃত্তরা জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওকে বুকে তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুলিশ জাপানি নাগরিকের ব্যবসায়ী পার্টনার হুমায়ুন কবির হিরাসহ ৪ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এ হত্যাকাণ্ডের চারদিনের মাথায় নিহত জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওর ব্যবসায়িক পার্টনার হুমায়ুন কবির হিরাকে মামলায় আসামি দেখানো হয়। অপর আসামিকেও ঘটনার দিন বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারি লোকজন বলে জানায় বিপ্লবের স্ত্রী শিরিন বেগম। কিন্তু পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বারবারই বিপ্লবকে আটকের খবর অস্বীকার করেছে। এরপর বিপ্লবকেও গতকাল গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুজনকে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউনিয়ার আদালতে হাজির করে বাদী রেজাউল করিম ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত তার আবেদন গ্রহণ করে আসামিদের ১০দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাশেদুন্নবী খান বিপ্লব স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের ছোট ভাই। বিপ্লব রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য।  এদিকে, রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও’র লাশ মঙ্গলবার হস্তান্তর করা হবে। এরই মধ্যে লাশ হস্তান্তরের সকল কার্যক্রমও শেষ হয়েছে। জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার জানান, জাপানি দূতাবাসের কর্মকর্তারা এলেই তাদের হাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত জাপানি নাগরিকের লাশ তুলে দেয়া হবে। লাশটি ময়না তদন্ত শেষে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হিমঘরে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে দু’দেশের লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়াও অনেকটা সম্পন্ন হয়েছে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন জানান, রোববার জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও’র ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত করেন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অ্যধাপক ডা. রফিকুল ইসলাসহ ৫ চিকিৎসক। ময়না তদন্ত কার্যক্রমে জাপানি দূতাবাসের একজন চিকিৎসকসহ দুজন জাপানি কর্মকর্তা ছিলেন। এরপর লাশটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। জাপানি প্রতিনিধিদলের কর্মকর্তারা এলেই সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের হাতে হোশি কোনিও’র লাশটি তুলে দেয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.