রুশ যুদ্ধবিমানের তুর্কি আকাশসীমা লঙ্ঘন, রাশিয়ার ব্যাখ্যা নিয়ে প্রশ্ন ন্যাটোর
রাশিয়ার এসইউ-২৪এম বিমান থেকে সিরিয়ায় বোমা ফেলা হচ্ছে। গত সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সিরিয়ায় বিমান হামলার একটি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। ওই ফুটেজ থেকে নেওয়া ছবি l এএফপি |
সিরিয়ায়
হামলার সময় রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ
প্রসঙ্গে মস্কোর ব্যাখ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সামরিক জোট ন্যাটো। এ ঘটনায়
মস্কোকে হুঁশিয়ারও করে দিয়েছে ওই জোট। আকাশসীমা লঙ্ঘনের সর্বশেষ ঘটনায়
তুর্কি কর্তৃপক্ষ আঙ্কারায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে। আর মস্কো
জানিয়েছে, প্রথমবার প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা
ঘটেছে। দ্বিতীয়বার লঙ্ঘনের অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর রয়টার্স ও
এএফপির।
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অবস্থানে হামলা চালাতে এক সপ্তাহ আগে সিরিয়ায় অভিযান শুরু করে রাশিয়া। রুশ যুদ্ধবিমানগুলো আলেপ্পো এবং প্রাচীন নগর পালমিরার কাছাকাছি এলাকায় হামলা চালাচ্ছে।
ন্যাটোর প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাঁদের কাছে মনে হয় না যে দুর্ঘটনাবশত তুর্কি আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে রাশিয়া। তবে তিনি আকাশসীমা লঙ্ঘনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি।
এর আগে ন্যাটো মস্কোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আকাশসীমা লঙ্ঘনের ‘দায়িত্বহীন’ ঘটনায় উত্তেজনা বাড়বে। ন্যাটোর সদস্যদেশ তুরস্ক ইতিমধ্যে দেশটির আকাশসীমায় দুই দফায় মস্কোর যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলেছে। এ ঘটনায় আঙ্কারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ভবিষ্যতে এ রকম হলে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য রাশিয়াই দায়ী থাকবে।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গতকাল ব্রাসেলসে বলেন, আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই অবস্থান বজায় থাকবে বলেই তিনি মনে করেন। এরদোয়ান মস্কোকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, আকাশসীমা লঙ্ঘন অব্যাহত রাখলে আঙ্কারার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হারাবে রাশিয়া। তিনি বলেন, তুরস্কের ওপর হামলা মানে ন্যাটোর ওপর আক্রমণ। আর এ ধরনের ঘটনায় তুরস্ক নীরব থাকবে না।
রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো সিরিয়ায় আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করেই বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মস্কো। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধী মধ্যপন্থী সরকারবিরোধী এবং বেসামরিক লোকজন রুশ বিমান হামলার শিকার হচ্ছে।
ন্যাটোর ২৮টি দেশের প্রতিনিধিরা জরুরি এক বৈঠক করে রাশিয়াকে অবিলম্বে সিরীয় বেসামরিক মানুষ ও সরকারবিরোধীদের ওপর হামলা বন্ধ করতে বলেছেন। এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, রুশ যুদ্ধবিমানের তুর্কি আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় গুরুতর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরির ঝুঁকি রয়েছে। তুরস্ক নিজস্ব আইন অনুযায়ী জবাব দিলে পরিণামে রুশ বিমানগুলো ভূপতিত হতে পারে।
প্রথম দফায় তুর্কি আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠার পর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তাদের একটি বিমান সামান্য সময়ের জন্য তুরস্কে প্রবেশ করেছিল। এখানে কোনো ষড়যন্ত্রতত্ত্ব অনুসন্ধানের প্রয়োজন নেই। তুরস্কের রুশ দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, একটি যুদ্ধবিমানের তুর্কি আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে মস্কো।
সিরিয়া যুদ্ধ নিয়ে তুরস্ক ও রাশিয়া পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে। সিরীয় প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে রাশিয়ার পরিচিতি রয়েছে। আর আঙ্কারা চায় আসাদের পতন। আইএসবিরোধী মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটেও তুরস্কের সামরিক অংশগ্রহণ রয়েছে।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার বলেছেন, সিরিয়ায় লড়াই করতে গিয়ে রাশিয়া কৌশল হারিয়ে ফেলেছে। তারাই সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে মদদ দিয়েছে। এখন দেশটির সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনাকেও ঝুঁকিতে ঠেলে দিচ্ছে।
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অবস্থানে হামলা চালাতে এক সপ্তাহ আগে সিরিয়ায় অভিযান শুরু করে রাশিয়া। রুশ যুদ্ধবিমানগুলো আলেপ্পো এবং প্রাচীন নগর পালমিরার কাছাকাছি এলাকায় হামলা চালাচ্ছে।
ন্যাটোর প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাঁদের কাছে মনে হয় না যে দুর্ঘটনাবশত তুর্কি আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে রাশিয়া। তবে তিনি আকাশসীমা লঙ্ঘনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি।
এর আগে ন্যাটো মস্কোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আকাশসীমা লঙ্ঘনের ‘দায়িত্বহীন’ ঘটনায় উত্তেজনা বাড়বে। ন্যাটোর সদস্যদেশ তুরস্ক ইতিমধ্যে দেশটির আকাশসীমায় দুই দফায় মস্কোর যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলেছে। এ ঘটনায় আঙ্কারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ভবিষ্যতে এ রকম হলে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য রাশিয়াই দায়ী থাকবে।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গতকাল ব্রাসেলসে বলেন, আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় ন্যাটো রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই অবস্থান বজায় থাকবে বলেই তিনি মনে করেন। এরদোয়ান মস্কোকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, আকাশসীমা লঙ্ঘন অব্যাহত রাখলে আঙ্কারার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হারাবে রাশিয়া। তিনি বলেন, তুরস্কের ওপর হামলা মানে ন্যাটোর ওপর আক্রমণ। আর এ ধরনের ঘটনায় তুরস্ক নীরব থাকবে না।
রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো সিরিয়ায় আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করেই বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মস্কো। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধী মধ্যপন্থী সরকারবিরোধী এবং বেসামরিক লোকজন রুশ বিমান হামলার শিকার হচ্ছে।
ন্যাটোর ২৮টি দেশের প্রতিনিধিরা জরুরি এক বৈঠক করে রাশিয়াকে অবিলম্বে সিরীয় বেসামরিক মানুষ ও সরকারবিরোধীদের ওপর হামলা বন্ধ করতে বলেছেন। এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, রুশ যুদ্ধবিমানের তুর্কি আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনায় গুরুতর উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরির ঝুঁকি রয়েছে। তুরস্ক নিজস্ব আইন অনুযায়ী জবাব দিলে পরিণামে রুশ বিমানগুলো ভূপতিত হতে পারে।
প্রথম দফায় তুর্কি আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠার পর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তাদের একটি বিমান সামান্য সময়ের জন্য তুরস্কে প্রবেশ করেছিল। এখানে কোনো ষড়যন্ত্রতত্ত্ব অনুসন্ধানের প্রয়োজন নেই। তুরস্কের রুশ দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, একটি যুদ্ধবিমানের তুর্কি আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে মস্কো।
সিরিয়া যুদ্ধ নিয়ে তুরস্ক ও রাশিয়া পরস্পরবিরোধী অবস্থানে রয়েছে। সিরীয় প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে রাশিয়ার পরিচিতি রয়েছে। আর আঙ্কারা চায় আসাদের পতন। আইএসবিরোধী মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটেও তুরস্কের সামরিক অংশগ্রহণ রয়েছে।
এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার বলেছেন, সিরিয়ায় লড়াই করতে গিয়ে রাশিয়া কৌশল হারিয়ে ফেলেছে। তারাই সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে মদদ দিয়েছে। এখন দেশটির সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনাকেও ঝুঁকিতে ঠেলে দিচ্ছে।
No comments