সেরা কূটনীতিকের একজন কেরি?
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি িক যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সফল কূটনীতিক হিসেবে বিবেচিত হেনরি কিসিঞ্জার বা জেমস বেকারের কাতারে যেতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হয়তো আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে৷ কেরি ১ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের এক বছর পূরণ করলেন৷ অনেকেই বলছেন, সফলতম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ঢুকতে এখন পর্যন্ত সঠিক পথেই আছেন তিনি৷ ইরান থেকে শুরু করে সিরিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য সংকট্, বিেশ্বর এই জটিল সমস্যাগুলো সমাধানের প্রক্রিয়া নিয়ে এগিয়েছেন কেরি৷ এই সমস্যাগুেলা তাঁর পূর্বসূরি হিলারি ক্লিনটন অনেকটাই এড়িয়ে গেছেন বলে মনে করা হয়৷ এক বছরের দায়িত্ব পালনকালে জন কেরি পাঁচ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছেন৷ এত পথ পাড়ি দিতে ১৪৯ দিনই পথে থাকতে হয়েছে কেরিকে৷ এখন পর্যন্ত বিভিন্ন কাজে ৩৯টি দেশ সফর করেছেন৷ ৭০ বছর বয়সী কেরির কর্মতৎপরতা দেখে তাঁর বয়স বোঝা কঠিন৷ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শীর্ষ স্থানীয় একজন কর্মকর্তা কেরি সম্পর্কে বলেন, ‘চরম জটিল বর্তমান বিশ্বে কূটনীতিকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কখনোই ইতস্তত বোধ করেন না তিনি৷
ৈবশ্বিক বিভিন্ন সংকট নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেক প্রতিকূল অবস্থায়ও নিজের প্রতি শ্রদ্ধা আদায় করে নিতে সক্ষম কূটনীতিক কেরি৷ নাম প্রকাশ না করার শর্তে পশ্চিমা একজন কূটনীতিক বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন সংকট নিয়ে জন কেরির তৎপরতাকে আমরা ইতিবাচকভাবেই মূল্যায়ন করি৷’ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরে গিয়ে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের বিষয় রূপরেখা প্রণয়ন ও ইরানের দীর্ঘদিনের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতায় পেঁৗছানোকে কেরির কূটনীতির অন্যতম সফলতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ এ ছাড়া ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলকে আলোচনায় বসানোর কৃতিত্বও দাবি করতে পারেন কেরি৷ কিসিঞ্জার ’৭০-এর দশকের শুরুর দিকে ইসরায়েল, মিসর ও সিরিয়াকে নিয়ে সফল আলোচনা করে সমঝোতায় পেঁৗছেন৷ যার ওপর ভিত্তি করে ১৯৭৯ সালে মিসর-ইসরায়েল শান্তি চুক্তি হয়৷ আর জেমস বেকার দুই জার্মানির একত্রীকরণ ও মাদ্রিদ শান্তিপ্রক্রিয়ায় অসামান্য অবদান রাখেন৷ জন কেরি ইরান, সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে যেভাবে এগিয়ে চলছেন, তাতে সফল হলে তাঁকেও কিসিঞ্জার ও বেকারের পাশাপাশি স্মরণ করতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা৷ এএফপি৷
No comments