শান্তি ও অগ্রগতির স্বার্থে সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি by মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন
এশিয়ার
দেশগুলোতে বর্তমানে অর্থনৈতিক উত্থান ঘটছে। এর মধ্যে চীন ও ভারতের
অর্থনীতি সুপারসনিক গতিতে এগোচ্ছে। এভাবে এগোতে থাকলে আগামী এক দশকে বিশ্ব
অর্থনীতির মূল কেন্দ্রস্থল হবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এর সঙ্গে রাজনৈতিক
স্ট্র্যাটেজিরও পরিবর্তন ঘটবে। বিশ্ব নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে এ
অঞ্চলে। এর একটা আলামত এরই মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইউরোপ-আমেরিকার অর্থনীতি
দিন দিন নিচের দিকে নামছে। তারা তাদের আধিপত্য ও আভিজাত্য নিয়ে শংকা
প্রকাশ করছে। তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ চালাতে গিয়ে আমেরিকা তথা
পশ্চিমা বিশ্ব ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে। ফলে তাদের ব্যাংক-বীমা,
আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং খ্যাতনামা বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে
যাচ্ছে। দফায় দফায় বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাহায্য দিয়ে এবং হাজার হাজার
শ্রমিক ছাঁটাই করেও এগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বেকারত্ব ভয়াবহ
আবার ধারণ করেছে। আমেরিকার বড় বড় শহরে জমি ও ফ্ল্যাটের দাম অর্ধেকে নেমে
এসেছে। এ অবস্থায় কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে এক বক্তৃতায় বলেছেন, নীতি- কৌশলে পরিবর্তন না
আনলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমেরিকাকে তৃতীয় বিশ্বের ভাগ্যবরণ করতে হতে পারে,
চুরমার হয়ে যেতে পারে আমেরিকানদের অহংকার ও আভিজাত্য।
প্রেসিডেন্ট ওবামার এ বক্তৃতা বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায়, পশ্চিমা বিশ্ব দুনিয়ার অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে টিকে থাকার সামর্থ্য হারাচ্ছে। ফলে ইউরোপ-আমেরিকার খ্যাতনামা কোম্পানিগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিনিয়োগে অধিক আগ্রহী হয়ে পড়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ব্যবসা শূন্য হয়ে পড়বে ইউরোপ-আমেরিকা তথা পশ্চিমা বিশ্ব। সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাবে এশিয়া। এটি আঁচ করতে পেরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল অনুমোদন করা হয়। ডেমোক্রাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যেও মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিলে। এই বিলের লক্ষ্য দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক উত্থানকে ঘিরেই। বিশেষ করে চীনকে ঘিরে। কারণ চীনকে ঘিরে বিশ্ব রাজনীতির নতুন মেরুকরণকে যুক্তরাষ্ট্র দেখছে নেতিবাচক দৃষ্টিতে। এর ফলে দুনিয়ায় আমেরিকার প্রভাব কমে আসবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এসব জটিল রাজনৈতিক বিষয় মাথায় রেখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে অশান্ত করার একটা প্রক্রিয়া চলমান আছে দীর্ঘদিন ধরে। এর অংশ হিসেবে মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা চলছে জোরেশোরে। চেষ্টা চলছে বাংলাদেশে একটা গৃহযুদ্ধ বাধানোরও। এর সব লক্ষণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিলক্ষিত হচ্ছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে অশান্ত করতে পারলে চীন ও ভারতকে সহজেই কাবু করা সম্ভব হবে, যেভাবে আফগানিস্তানকে দিয়ে রাশিয়াকে কাবু করা হয়েছিল।
চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের রয়েছে বিশাল সীমান্ত। আর বাংলাদেশের তিনদিক জুড়ে রয়েছে ভারতের সীমান্ত। এই দুটি দেশই এখন আছে পশ্চিমাদের বিশেষ নজরে এবং দুটি দেশই বর্তমানে গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ বাধলে চীনের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়বে। চীনকে রুখতে এর চেয়ে সহজ আর কোনো পথ নেই। আর বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ বাধলে ভারত ভীষণভাবে আক্রান্ত হবে। ধাবমান মানুষ তিনদিক দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়বে, যেমন কয়েক কোটি মানুষ ঢুকে পড়েছিল ১৯৭১ সালে। তখন বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি আর এখন ১৬ কোটি। কাজেই ১৯৭১ সালের চেয়ে আরও কয়েকগুণ বেশি মানুষ ভারতে ঢুকে পড়বে। এ চিন্তা মাথায় রেখেই কয়েকশ’ কোটি ডলার ব্যয়ে সীমান্তজুড়ে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া বসিয়েছে ভারত। কিন্তু তাতে কি মানুষের স্রোত আটকে রাখা যাবে? ইতিহাস বলে, চীনের গ্রেটওয়াল মোঙ্গলদের ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। মানুষের স্রোতে ভেঙে পড়েছে জার্মানির বার্লিন প্রাচীর। সুতারাং ভারত ও চীনের উচিত দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক সঙ্গে কাজ করা; বিশেষ করে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের চলমান সহিংসতা বন্ধে বন্ধুর মতো এগিয়ে আসা এবং যা যা করা দরকার তা করা। তাতে চীনও লাভবান হবে, ভারতও লাভবান হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগের অনেক বিতর্কের অবসান হয়েছিল। মোটামুটি সব মৌলিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে দুটি বড় ধরনের বিভেদ রেখা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। দুটি বিভেদই অত্যন্ত ভয়াবহ। একটি যুদ্ধাপরাধের বিচার, অন্যটি নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকার বাতিল। এ দুটি বিষয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি এখন টালমাটাল। রক্ত ঝরছে প্রতিনিয়ত, মরছে সাধারণ মানুষ ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। ধ্বংস হচ্ছে সম্পদ। সমাজে বিভেদ-বিভক্তি প্রকট আকার ধারণ করছে। ঘরে ঘরে, ভাইয়ে ভাইয়ের মধ্যে তৈরি হচ্ছে হিংসা-প্রতিহিংসা, যা একটা গৃহযুদ্ধ বাধার পূর্বাভাস।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। যুদ্ধাপরাধের বিচারও টেনে নির্বাচন পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছে, যা পরিকল্পিতই বলা যায়। এ দুটি বিষয় মুখোমুখি অবস্থানের কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচাল হওয়ার সমূহ আশংকা রয়েছে। একদিকে নির্বাচন না হলে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধের রায় কার্যকর শুরু হলে একটি ক্যাডারভিত্তিক বিপজ্জনক শক্তি সংক্ষুব্ধ হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃংখলা শুরু করবে। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বাংলাদেশে, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে গৃহযুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অত্যন্ত ঘনবসতির এ দেশে এমনটি ঘটলে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাতে যে আগুন বাংলাদেশে লাগবে, সে আগুনে শুধু বাংলাদেশই পুড়বে না; পার্শ্ববর্তী দেশকেও পোড়াবে, সর্বোপরি এ আগুন সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। কাজেই সামনে একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই যাতে প্রধান বিষয় হয় এবং ওই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হাতবদল হয়, সেদিকে সুদৃষ্টি দিতে হবে ভারত, চীনসহ দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে। এতে বাংলাদেশেও যেমন শান্তি ফিরে আসবে, অব্যাহত থাকবে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের গতি; তেমনি অব্যাহত থাকবে এ অঞ্চলের শান্তি ও অগ্রগতি।
মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
প্রেসিডেন্ট ওবামার এ বক্তৃতা বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায়, পশ্চিমা বিশ্ব দুনিয়ার অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে টিকে থাকার সামর্থ্য হারাচ্ছে। ফলে ইউরোপ-আমেরিকার খ্যাতনামা কোম্পানিগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিনিয়োগে অধিক আগ্রহী হয়ে পড়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ব্যবসা শূন্য হয়ে পড়বে ইউরোপ-আমেরিকা তথা পশ্চিমা বিশ্ব। সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাবে এশিয়া। এটি আঁচ করতে পেরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল অনুমোদন করা হয়। ডেমোক্রাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যেও মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিলে। এই বিলের লক্ষ্য দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক উত্থানকে ঘিরেই। বিশেষ করে চীনকে ঘিরে। কারণ চীনকে ঘিরে বিশ্ব রাজনীতির নতুন মেরুকরণকে যুক্তরাষ্ট্র দেখছে নেতিবাচক দৃষ্টিতে। এর ফলে দুনিয়ায় আমেরিকার প্রভাব কমে আসবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এসব জটিল রাজনৈতিক বিষয় মাথায় রেখে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে অশান্ত করার একটা প্রক্রিয়া চলমান আছে দীর্ঘদিন ধরে। এর অংশ হিসেবে মিয়ানমারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা চলছে জোরেশোরে। চেষ্টা চলছে বাংলাদেশে একটা গৃহযুদ্ধ বাধানোরও। এর সব লক্ষণ বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিলক্ষিত হচ্ছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে অশান্ত করতে পারলে চীন ও ভারতকে সহজেই কাবু করা সম্ভব হবে, যেভাবে আফগানিস্তানকে দিয়ে রাশিয়াকে কাবু করা হয়েছিল।
চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের রয়েছে বিশাল সীমান্ত। আর বাংলাদেশের তিনদিক জুড়ে রয়েছে ভারতের সীমান্ত। এই দুটি দেশই এখন আছে পশ্চিমাদের বিশেষ নজরে এবং দুটি দেশই বর্তমানে গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ বাধলে চীনের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়বে। চীনকে রুখতে এর চেয়ে সহজ আর কোনো পথ নেই। আর বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ বাধলে ভারত ভীষণভাবে আক্রান্ত হবে। ধাবমান মানুষ তিনদিক দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়বে, যেমন কয়েক কোটি মানুষ ঢুকে পড়েছিল ১৯৭১ সালে। তখন বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি আর এখন ১৬ কোটি। কাজেই ১৯৭১ সালের চেয়ে আরও কয়েকগুণ বেশি মানুষ ভারতে ঢুকে পড়বে। এ চিন্তা মাথায় রেখেই কয়েকশ’ কোটি ডলার ব্যয়ে সীমান্তজুড়ে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া বসিয়েছে ভারত। কিন্তু তাতে কি মানুষের স্রোত আটকে রাখা যাবে? ইতিহাস বলে, চীনের গ্রেটওয়াল মোঙ্গলদের ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। মানুষের স্রোতে ভেঙে পড়েছে জার্মানির বার্লিন প্রাচীর। সুতারাং ভারত ও চীনের উচিত দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক সঙ্গে কাজ করা; বিশেষ করে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের চলমান সহিংসতা বন্ধে বন্ধুর মতো এগিয়ে আসা এবং যা যা করা দরকার তা করা। তাতে চীনও লাভবান হবে, ভারতও লাভবান হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগের অনেক বিতর্কের অবসান হয়েছিল। মোটামুটি সব মৌলিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে দুটি বড় ধরনের বিভেদ রেখা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। দুটি বিভেদই অত্যন্ত ভয়াবহ। একটি যুদ্ধাপরাধের বিচার, অন্যটি নির্দলীয় কেয়ারটেকার সরকার বাতিল। এ দুটি বিষয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি এখন টালমাটাল। রক্ত ঝরছে প্রতিনিয়ত, মরছে সাধারণ মানুষ ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। ধ্বংস হচ্ছে সম্পদ। সমাজে বিভেদ-বিভক্তি প্রকট আকার ধারণ করছে। ঘরে ঘরে, ভাইয়ে ভাইয়ের মধ্যে তৈরি হচ্ছে হিংসা-প্রতিহিংসা, যা একটা গৃহযুদ্ধ বাধার পূর্বাভাস।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। যুদ্ধাপরাধের বিচারও টেনে নির্বাচন পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়েছে, যা পরিকল্পিতই বলা যায়। এ দুটি বিষয় মুখোমুখি অবস্থানের কারণে আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচাল হওয়ার সমূহ আশংকা রয়েছে। একদিকে নির্বাচন না হলে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধের রায় কার্যকর শুরু হলে একটি ক্যাডারভিত্তিক বিপজ্জনক শক্তি সংক্ষুব্ধ হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃংখলা শুরু করবে। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বাংলাদেশে, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে গৃহযুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
অত্যন্ত ঘনবসতির এ দেশে এমনটি ঘটলে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তাতে যে আগুন বাংলাদেশে লাগবে, সে আগুনে শুধু বাংলাদেশই পুড়বে না; পার্শ্ববর্তী দেশকেও পোড়াবে, সর্বোপরি এ আগুন সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। কাজেই সামনে একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই যাতে প্রধান বিষয় হয় এবং ওই নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতার হাতবদল হয়, সেদিকে সুদৃষ্টি দিতে হবে ভারত, চীনসহ দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে। এতে বাংলাদেশেও যেমন শান্তি ফিরে আসবে, অব্যাহত থাকবে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের গতি; তেমনি অব্যাহত থাকবে এ অঞ্চলের শান্তি ও অগ্রগতি।
মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
No comments