‘নৌ-মহড়ার নামে চীনকে ঘিরে ফেলতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র’
চীনের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক বিশেষজ্ঞ সে দেশের জলসীমাসংলগ্ন এলাকায় মার্কিন নৌ-মহড়ার পরিকল্পনাকে সামরিক উসকানি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ওবামা প্রশাসন ‘নৈরাজ্যকর’ মনোভাব নিয়ে চীনকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। চীনের সামরিক বাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) একটি শীর্ষ দৈনিকে নিজের লেখা একটি নিবন্ধে রিয়ার অ্যাডমিরাল ইয়াং ই নামের ওই বিশেষজ্ঞ এ কথা বলেন।
গত মাসে কোরিয়া উপদ্বীপের অদূরে জাপান সাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে নৌ-মহড়া চালায়। চীন সে সময় ওই মহড়ার নিন্দা জানায়। গত সপ্তাহে পেন্টাগন বলেছে, মার্কিন রণতরী ‘জর্জ ওয়াশিংটন’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে আবার চীনের জলসীমাসংলগ্ন পীতসাগরে নৌ-মহড়া দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দিতে তারা এ মহড়া দিতে যাচ্ছে। তবে অ্যাডমিরাল ইয়াং ই তাঁর নিবন্ধে ওই মহড়ার পরিকল্পনাকে পরিষ্কারভাবেই চীনের প্রতি হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
চীনের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত ইয়াং ই বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একদিকে চীনকে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা ইস্যুতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছে, অন্যদিকে তারা চীনকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলতে চাইছে এবং চীনের প্রধান প্রধান স্বার্থকে চ্যালেঞ্জ করে বসছে। তিনি বলেন, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সংঘাতের উসকানি দিতেই ওই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। এটা চীনের জলসীমায় অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।
এর আগে গত শুক্রবার দৈনিক পত্রিকা চায়না ডেইলিতে লেখা এক প্রবন্ধে ইয়াং ই বলেন, ওয়াশিংটনকে এ ধরনের ‘হঠকারী সিদ্ধান্তের’ জন্য বড় ধরনের মূল্য দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সংঘাত এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়ার পাল্টা জবাব হিসেবে চীন আপাতত একই স্থানে কোনো মহড়া দেবে না। তবে মার্কিন মহড়ার কারণে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পর্কে স্থবিরতা নেমে আসতে পারে।
গত মাসে কোরিয়া উপদ্বীপের অদূরে জাপান সাগরে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে নৌ-মহড়া চালায়। চীন সে সময় ওই মহড়ার নিন্দা জানায়। গত সপ্তাহে পেন্টাগন বলেছে, মার্কিন রণতরী ‘জর্জ ওয়াশিংটন’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে আবার চীনের জলসীমাসংলগ্ন পীতসাগরে নৌ-মহড়া দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দিতে তারা এ মহড়া দিতে যাচ্ছে। তবে অ্যাডমিরাল ইয়াং ই তাঁর নিবন্ধে ওই মহড়ার পরিকল্পনাকে পরিষ্কারভাবেই চীনের প্রতি হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
চীনের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত ইয়াং ই বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একদিকে চীনকে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা ইস্যুতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছে, অন্যদিকে তারা চীনকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলতে চাইছে এবং চীনের প্রধান প্রধান স্বার্থকে চ্যালেঞ্জ করে বসছে। তিনি বলেন, এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সংঘাতের উসকানি দিতেই ওই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। এটা চীনের জলসীমায় অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।
এর আগে গত শুক্রবার দৈনিক পত্রিকা চায়না ডেইলিতে লেখা এক প্রবন্ধে ইয়াং ই বলেন, ওয়াশিংটনকে এ ধরনের ‘হঠকারী সিদ্ধান্তের’ জন্য বড় ধরনের মূল্য দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সংঘাত এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়ার পাল্টা জবাব হিসেবে চীন আপাতত একই স্থানে কোনো মহড়া দেবে না। তবে মার্কিন মহড়ার কারণে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সম্পর্কে স্থবিরতা নেমে আসতে পারে।
No comments