কেমন হবে নির্বাচনের দৃশ্যপট?
বিএনপি’র পক্ষ থেকে এরইমধ্যে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে দলটি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার গঠন করা হবে। একাধিক সূত্র বলছে, যুগপৎ আন্দোলনে যেসব দল ছিল নির্বাচনে বিএনপি সেসব দলকে গুরুত্ব দিবে। সরকার গঠন করলে সেসব দলকেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বিএনপি’র সম্ভাব্য জাতীয় সরকারে জামায়াতকে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা নেই বলে একাধিক সূত্র বলছে। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি’র জোট নেই অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই। যদিও দল দু’টির মধ্যে কখনো কখনো পর্দার আড়ালে একধরনের যোগাযোগ ছিল। তবে ৫ই আগস্টের পর বিএনপি’র সঙ্গে জামায়াতের দূরত্ব বেশ বেড়েছে। দল দু’টির শীর্ষ নেতারা প্রকাশ্যই সমালোচনামূলক বক্তব্য রাখছেন।
বিএনপি’র সঙ্গে ঐক্য হবে না ধরে নিয়েই জামায়াত নিজেদের আগামী দিনের রাজনীতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসলামপন্থি দলগুলোসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জামায়াত আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে অবশ্য খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি। ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে যেমন জামায়াতকে নিয়ে প্রশ্ন আছে তেমনি এ ধরনের জোটের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। নতুন রাজনৈতিক দলগঠনে জামায়াতের ভেতরে-বাইরে আগে আলোচনা থাকলেও তা এখন অনেকটাই মিইয়ে গেছে। ক্যাম্পাসগুলোতে শিবির প্রকাশ্য হওয়ার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে ছাত্রদলের সঙ্গে শিবিরের দূরত্ব বাড়তে পারে।
ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া নেতারা নতুন কোনো দল করেন কি-না সেটা অবশ্য এখনো স্পষ্ট নয়। সমন্বয়করা বলছেন, এখনই নতুন কোনো দল গঠনের চিন্তা তাদের নেই। তবে ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দল গঠনের সম্ভাবনা তারা নাকচ করছেন না। এ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্টরা স্বীকার করছেন, রাজনৈতিক দলগঠন করা একটি বড় কর্মযজ্ঞ। তবে এ নিয়ে তাদের তৎপরতার খবর নানা সূত্রে জানা যাচ্ছে।
অনেক কিছুই ঝাঁপসা। তবে রাজনীতির এক ধরনের রূপচিত্র দেখা যাচ্ছে। যেটা ইঙ্গিত দেয় যে, বহুদিনের পুরনো অনেক সমীকরণই পাল্টে যেতে পারে। তবে রাজনীতিতে যেকোনো দৃশ্যপটই যে অভাবনীয়ভাবে বদলে যেতে পারে সেটা তো ৫ই আগস্টই দেখিয়ে গেল। কয়েকঘণ্টা আগেও খুব কম লোকই জানতেন শেখ হাসিনার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে।
No comments