ছাত্রলীগের পর যুবলীগকে ধরেছি, কাউকে ছাড়া হবে না: শেখ হাসিনা
ফুলেল শুভেচ্ছায় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ |
বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "ছাত্রলীগের পর যুবলীগকে ধরেছি। সমাজের
সব অসঙ্গতি দূর করব। অপরাধ, অনাচার রোধে যা যা করার করা হবে। যাকে যাকে ধরা
দরকার, তাদের ধরা হবে। জানি, কাজটা কঠিন, বাধা আসবেই, কিন্তু জনগণের আস্থা
ও বিশ্বাস ফেরাতে যা করা লাগে সরকার তা করবে।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি কষ্ট করে সব কিছু করছি দেশের জন্য, দেশের উন্নয়ন করছি, এর ওপর কালিমা আসুক সেটা আমি কোনোভাবে হতে দেবো না। আমি কাউকেই ছাড়ব না। যদি কেউ বাধা দেয় কাউকে ছাড়া হবে না।”
ক্যাসিনোতে যেসব বিদেশি কাজ করছে তাদের যারা এনেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যাসিনোর সঙ্গে যারা জড়িত বিদেশি, তারা আসলো কিভাবে, তারা ভিসা পেল কিভাবে, তাদের বেতন দেওয়া হয় কিভাবে, ক্রেডিট কার্ডে না ক্যাশে। কে ভিসা দিয়ে আনল সমস্ত কিছু তদন্ত করা হচ্ছে। সবই ধরা হবে।”
ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, "কোনও নালিশ শুনতে চাই না। নিজেদের ইমেজ বাড়াতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। ছাত্রদলের মতো আচরণ করা যাবে না।"
ক্ষমতা প্রদর্শনের রাজনীতি ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, “ক্ষমতা সো আপ করা, ছাত্র নেতাদের কাছ থেকে আশা করি না। ছাত্র নেতাদের বিনয়ী থাকতে হবে। যত উপরে উঠবে তত বিনয়ী হতে হবে। মোটরসাইকেল নিয়ে চলতে হবে, প্রোটোকল নিয়ে চলতে হবে, ক্ষমতার সাথে চলতে হবে, এগুলো করা যাবে না। এগুলো করলে সাময়িক ভাবে কিছু টাকা পয়সা হবে কিন্তু হারিয়ে যাবে। সেটা হবে দুঃখজনক। এটা আমি তোমাদের কাছে চাই না।”
ছাত্রলীগকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংগঠনকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে। সিদ্ধান্ত আলোচনার মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে নিতে হবে। যাতে সংগঠন আরও শক্তিশালী হয়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিএনপির ছাত্র সংগঠন ২০০১ এর পরে ক্ষমতায় এসে যা করেছে, বা এরও আগে যা করেছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সেই রকম আচরণ করা যাবে না। সত্যিকারের নীতি আদর্শ রাজনীতি করলে সংগঠন একটা ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে। তাহলে মানুষের আস্থা বিশ্বাস ছাত্রলীগের ওপর অনেক বাড়বে। এটা না করে যদি ওদের (বিএনপি) আচারণ করা হয় তাহলে আমাদের অবস্থাও তাদের মত হবে। ছাত্রলীগের প্রতি যদি মানুষে আস্থা-বিশ্বাস না থাকে তাহলে বিএনপি, ছাত্রদল যা করে গেছে সেই একই ধরনের কাজ হবে।”
সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আল-নাহিয়ান খান জয়; সহ-সভাপতি তানজিল ভূঁইয়া তানভীর, রেজাউল করিম সুমন, সোহান খান, আরিফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান ও কাসফিয়া ইরা; সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত ) লেখক ভট্টাচার্য; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী, আরিফুজ্জামান আল ইমরান, শামস-ই- নোমান, মো. শাকিল ভূইয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও বেনজীর হোসেন নিশি; সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরিনা ইতি, মামুন বিন সাত্তার ও সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়া ছাত্রলীগ ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন; ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন ও মো. সাইদুর রহমান হৃদয় এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি কষ্ট করে সব কিছু করছি দেশের জন্য, দেশের উন্নয়ন করছি, এর ওপর কালিমা আসুক সেটা আমি কোনোভাবে হতে দেবো না। আমি কাউকেই ছাড়ব না। যদি কেউ বাধা দেয় কাউকে ছাড়া হবে না।”
ক্যাসিনোতে যেসব বিদেশি কাজ করছে তাদের যারা এনেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যাসিনোর সঙ্গে যারা জড়িত বিদেশি, তারা আসলো কিভাবে, তারা ভিসা পেল কিভাবে, তাদের বেতন দেওয়া হয় কিভাবে, ক্রেডিট কার্ডে না ক্যাশে। কে ভিসা দিয়ে আনল সমস্ত কিছু তদন্ত করা হচ্ছে। সবই ধরা হবে।”
ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, "কোনও নালিশ শুনতে চাই না। নিজেদের ইমেজ বাড়াতে হবে। জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। ছাত্রদলের মতো আচরণ করা যাবে না।"
ক্ষমতা প্রদর্শনের রাজনীতি ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, “ক্ষমতা সো আপ করা, ছাত্র নেতাদের কাছ থেকে আশা করি না। ছাত্র নেতাদের বিনয়ী থাকতে হবে। যত উপরে উঠবে তত বিনয়ী হতে হবে। মোটরসাইকেল নিয়ে চলতে হবে, প্রোটোকল নিয়ে চলতে হবে, ক্ষমতার সাথে চলতে হবে, এগুলো করা যাবে না। এগুলো করলে সাময়িক ভাবে কিছু টাকা পয়সা হবে কিন্তু হারিয়ে যাবে। সেটা হবে দুঃখজনক। এটা আমি তোমাদের কাছে চাই না।”
ছাত্রলীগকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সংগঠনকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে। সিদ্ধান্ত আলোচনার মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে নিতে হবে। যাতে সংগঠন আরও শক্তিশালী হয়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিএনপির ছাত্র সংগঠন ২০০১ এর পরে ক্ষমতায় এসে যা করেছে, বা এরও আগে যা করেছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সেই রকম আচরণ করা যাবে না। সত্যিকারের নীতি আদর্শ রাজনীতি করলে সংগঠন একটা ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে। তাহলে মানুষের আস্থা বিশ্বাস ছাত্রলীগের ওপর অনেক বাড়বে। এটা না করে যদি ওদের (বিএনপি) আচারণ করা হয় তাহলে আমাদের অবস্থাও তাদের মত হবে। ছাত্রলীগের প্রতি যদি মানুষে আস্থা-বিশ্বাস না থাকে তাহলে বিএনপি, ছাত্রদল যা করে গেছে সেই একই ধরনের কাজ হবে।”
সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আল-নাহিয়ান খান জয়; সহ-সভাপতি তানজিল ভূঁইয়া তানভীর, রেজাউল করিম সুমন, সোহান খান, আরিফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান ও কাসফিয়া ইরা; সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত ) লেখক ভট্টাচার্য; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ চৌধুরী, আরিফুজ্জামান আল ইমরান, শামস-ই- নোমান, মো. শাকিল ভূইয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও বেনজীর হোসেন নিশি; সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরিনা ইতি, মামুন বিন সাত্তার ও সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়া ছাত্রলীগ ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন; ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন ও মো. সাইদুর রহমান হৃদয় এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
No comments