কাশ্মীর স্বাভাবিক হলে ফারুক আব্দুল্লাহকে আটকে রাখা হয়েছে কেন?
ফারুক আবদুল্লাহ |
ভারতের
প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী
কপিল সিব্বল কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, কাশ্মীরের পরিস্থিতি যদি
স্বাভাবিক হয় তাহলে ফারুক আব্দুল্লাহকে আটকে রাখা হয়েছে কেন? গত মঙ্গলবার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন। জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক
মুখ্যমন্ত্রী ডা. ফারুক আব্দুল্লাহ এমপিকে সম্প্রতি কঠোর জননিরাপত্তা আইনে
আটক করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারকে টার্গেট করে আজ কপিল সিব্বল বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিজেপি জানিয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরের ৯২ শতাংশ মানুষই সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এরপরে অমিত শাহ সংসদে জানান, ফারুক আবদুল্লাহকে আটকও করা হয়নি বা গ্রেফতারও করা হয়নি। মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে যখন আর কোনও উদ্বেগ নেই, তখন কেন ফারুককে আটক করা হল? সেটা কি সুপ্রিম কোর্টে ভাইকোর আবেদনের প্রেক্ষিতেই?’
ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আবদুল্লাহকে ‘অবৈধভাবে আটক’ করে রাখা হয়েছে, অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন তামিলনাড়ুর এমডিএমকে নেতা ভাইকো। তাঁর অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট থেকে শ্রীনগরে নিজ বাসায় গৃহবন্দি রয়েছেন ফারুক।
এ প্রসঙ্গে ভাইকো তাঁর আবেদনে বলেছেন, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবৈধভাবে ফারুক আবদুল্লাহকে আটকে রাখা হয়েছে। সরকার তাঁর সাংবিধানিক ও ব্যক্তিগত অধিকার এবং বাক্স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা করছে।
গত সোমবার ওই অভিযোগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে এমডিএমকে নেতা ভাইকোর আইনজীবী বলেন, ফারুক আবদুল্লাহ বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। তাঁর সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে পাল্টা সাফাইতে বলা হয়, আবদুল্লাহর আত্মীয় নন ভাইকো। একপ্রকার আইন লঙ্ঘন করেই জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর মুক্তির জন্য আবেদন করেছেন তিনি।
যদিও প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন, বিচারপতি এস এ বোবদে ও বিচারপতি এস এ নাজিরের সমন্বিত বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকার ও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ওই আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে।
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা. ফারুক আব্দুল্লাহকে সম্প্রতি কঠোর জননিরাপত্তা আইনকে আটক করা হয়েছে। ওই আইনে আদালতে কোনও শুনানি ছাড়াই কোনও ব্যক্তিকে দু’বছর পর্যন্ত আটক রাখা যায়।
এদিকে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের সিনিয়র নেতা মুহাম্মাদ আকবর লোন এমপি বলেছেন, জননিরাপত্তা আইনের আওতায় ফারুক আব্দুল্লাহকে আটক রাখা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ওই পদক্ষেপ কোনওভাবেই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করব। আমরা তার মুক্তির জন্য সমস্ত সাংবিধানিক ও আইনি পথ অবলম্বন করব। কাশ্মীরি জনতাকে দমন করা হচ্ছে ও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও মুহাম্মাদ আকবর লোন এমপি অভিযোগ করেন।
কেন্দ্রীয় সরকারকে টার্গেট করে আজ কপিল সিব্বল বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিজেপি জানিয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরের ৯২ শতাংশ মানুষই সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এরপরে অমিত শাহ সংসদে জানান, ফারুক আবদুল্লাহকে আটকও করা হয়নি বা গ্রেফতারও করা হয়নি। মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে যখন আর কোনও উদ্বেগ নেই, তখন কেন ফারুককে আটক করা হল? সেটা কি সুপ্রিম কোর্টে ভাইকোর আবেদনের প্রেক্ষিতেই?’
ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আবদুল্লাহকে ‘অবৈধভাবে আটক’ করে রাখা হয়েছে, অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন তামিলনাড়ুর এমডিএমকে নেতা ভাইকো। তাঁর অভিযোগ, গত ৫ আগস্ট থেকে শ্রীনগরে নিজ বাসায় গৃহবন্দি রয়েছেন ফারুক।
এ প্রসঙ্গে ভাইকো তাঁর আবেদনে বলেছেন, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবৈধভাবে ফারুক আবদুল্লাহকে আটকে রাখা হয়েছে। সরকার তাঁর সাংবিধানিক ও ব্যক্তিগত অধিকার এবং বাক্স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা করছে।
গত সোমবার ওই অভিযোগের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে এমডিএমকে নেতা ভাইকোর আইনজীবী বলেন, ফারুক আবদুল্লাহ বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না। তাঁর সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে পাল্টা সাফাইতে বলা হয়, আবদুল্লাহর আত্মীয় নন ভাইকো। একপ্রকার আইন লঙ্ঘন করেই জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর মুক্তির জন্য আবেদন করেছেন তিনি।
যদিও প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন, বিচারপতি এস এ বোবদে ও বিচারপতি এস এ নাজিরের সমন্বিত বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকার ও জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ওই আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে।
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা. ফারুক আব্দুল্লাহকে সম্প্রতি কঠোর জননিরাপত্তা আইনকে আটক করা হয়েছে। ওই আইনে আদালতে কোনও শুনানি ছাড়াই কোনও ব্যক্তিকে দু’বছর পর্যন্ত আটক রাখা যায়।
এদিকে, ন্যাশনাল কনফারেন্সের সিনিয়র নেতা মুহাম্মাদ আকবর লোন এমপি বলেছেন, জননিরাপত্তা আইনের আওতায় ফারুক আব্দুল্লাহকে আটক রাখা অত্যন্ত নিন্দনীয়। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ওই পদক্ষেপ কোনওভাবেই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না। আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করব। আমরা তার মুক্তির জন্য সমস্ত সাংবিধানিক ও আইনি পথ অবলম্বন করব। কাশ্মীরি জনতাকে দমন করা হচ্ছে ও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও মুহাম্মাদ আকবর লোন এমপি অভিযোগ করেন।
কপিল সিব্বল ও মুহাম্মাদ আকবর লোন এমপি |
No comments