অনাদরে অবহেলায় রবীন্দ্রস্মৃতি by পার্থ শঙ্কর সাহা ও তৌহিদী হাসান
কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কাসবা গ্রামের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কাছারিবাড়ি। l প্রথম আলো |
রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর এবং তাঁর নিকটজনদের লেখা চিঠি, ব্যবহৃত নানা জিনিসপত্র পড়ে আছে
যত্রতত্র। এসব স্মৃতিচিহ্ন সংগ্রহ এবং সংরক্ষণের কোনো সরকারি উদ্যোগ
নেই। কুষ্টিয়া শহর, শিলাইদহ, নওগাঁর পতিসরে কবি পরিবারের স্মৃতিবিজড়িত
কয়েকটি স্থাপনাও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংসের পথে।
কবিগুরুর নানা স্মৃতিচিহ্ন বিভিন্ন ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করেছেন, সংরক্ষণ করছেন নিজেদের মতো করে। তাঁরা চান, সরকারি কর্তৃপক্ষ এসব সংগ্রহ করুক। তবে তাতে সাড়া নেই সরকারের তরফে।
নিজ উদ্যোগে কবিগুরুর একাধিক স্মৃতিচিহ্ন সংগ্রহ করেছেন নওগাঁর পতিসরের মতিউর রহমান। তিনি ২০০৩ সাল থেকে এসব সংগ্রহ করছেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাণী, চিঠি, কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিঠি, পুত্রবধূর চিঠি, কবির দেওয়া বই—এসব মিলিয়ে অন্তত ২০টি স্মৃতিস্মারক সংগ্রহ করেছেন মতিউর। এগুলো এখন সংরক্ষিত আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য পতিসরের কালীগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশনের একটি ঘরে। তাঁরা এর নাম দিয়েছেন জাদুঘর। ১৯৩৭ সালে কবি নিজেই তাঁর ছেলে রথীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত এই হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। মতিউর বলছিলেন, ‘এখন যেভাবে এসব স্মৃতিচিহ্ন আছে, তা মোটেও বিজ্ঞানসম্মত নয়। এগুলো সংগ্রহ করার জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক শাখাকে অনুরোধ করেছি। তবে তারা এসব সংগ্রহ করেনি।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩৭ সালের ২৭ জুলাই অসুস্থ অবস্থাতেই পতিসরে এসেছিলেন। সেটাই এখানে তাঁর শেষ আসা। তখন এসে কবি একটি আশীর্বাণী লিখেছিলেন। শুরুতেই ছিল ‘রথীন্দ্রনাথের নামচিহ্নিত কালীগ্রামের এই বিদ্যালয়ের আমি উন্নতি কামনা করি।’
রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ প্রতিমা দেবীর একটি চিঠিও সংগ্রহে আছে। সেই চিঠিটি তিনি লিখেছিলেন তাঁদের জমিদারি এস্টেটের ম্যানেজার বীরেনকে, একজনের বিয়েতে অর্থ সাহায্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে।
এসব সংগ্রহই শুধু নয়, কালীগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশনে এখনো আছে কবিগুরুর সময়ের দুটি ঘর। মাটির এই ভবনে এখনো ক্লাস চলে। ঝড়ে প্রতিবছরই এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব বলছিলেন, ‘সরকারি নানা মহলের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছি ভবন দুটি সংরক্ষণ করার জন্য। কোনো উপলক্ষ এলে সবাই এখানে আসে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। কিন্তু কোনো ফল হয় না।’
পতিসরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির পাশেই আছে বিশাল পুকুর। এই দর্শনীয় স্থানটিকেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এখানে আসা পর্যটকেরা পুকুর দেখতে গেলে বাধা পান অনেক সময়। জানতে চাইলে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেমন্ত হেনরি কুবি বলেন, ‘এই সম্পত্তিটি অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত। তাই আইন মেনেই আমাকে ইজারা দিতে হয়েছে। তবে সম্পত্তির গুরুত্ব উপলব্ধি করে এই সম্পত্তিকে ভিন্নভাবে দেখা যেত। কিন্তু এটি সরকারি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বিষয়।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯৩ সালে এসেছিলেন শাহজাদপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় পরিদর্শনে। সেই সময় পরিদর্শন বইয়ে তিনি মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। কবির স্বাক্ষরিত সেই লেখা এখন বিদ্যালয়েই রক্ষিত আছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক জাহিদ সুলতান বলেন, ‘আমি শাহজাদপুরে কার্ডিয়াক থাকার সময় একাধিকবার সেই লেখা চেয়েছি। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ সেটি দিতে রাজি হয়নি।’
এ বিষয়ে শাহজাদপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কাছে এমন অনুরোধ আসেনি। হয়তো আগে আসতে পারে।’ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার জানামতে, আমাদের কাছে সেই লেখার মূল কপিটি নেই। আছে একটি ফটোকপি।’ তবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, স্কুলে মূল কপিটিই ছিল।
কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কাছারি ভবন ও দাতব্য চিকিৎসালয়ের এখন ভগ্নদশা। গতকাল বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বয়সের ভারে জরাজীর্ণ দাতব্য চিকিৎসালয়ের ছাদ নেই। পাশের কাছারি ভবনের টালির ছাদ ধসে পড়ছে। পরগাছায় জড়িয়ে পড়েছে দুটি স্থাপনা। দেয়াল ও অন্দরে বেড়ে উঠেছে লতাপাতা। ঘরের ভেতরের কারুকাজ ছিল, তা ঢেকে গেছে বহুদিনের জমে ওঠা ধুলো আর শেওলায়। সেখানে এখন শালিক-চড়ুই পাখির বাস।
রবীন্দ্রনাথের দাদু প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর কুঠিবাড়ির পাশেই কসবা গ্রামে প্রজাদের জন্য দাতব্য চিকিৎসালয় তৈরি করেছিলেন। তার পাশেই ছিল খাজনা আদায়ের কাছারি ভবন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর শিলাইদহ কুঠিবাড়ি সংরক্ষণ করলেও কাছারি ভবন ও দাতব্য চিকিৎসালয়ের কোনো খোঁজখবর রাখে না। প্রতিদিনই হারিয়ে যাচ্ছে এর ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন, ইটের টুকরা। দাতব্য চিকিৎসালয়ের পাশের বাসিন্দা আবদুস সাত্তার বললেন, ‘প্রায়ই বছরই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের লোকজন মাপজোক করতে আসে। পরে আর কোনো খবর থাকে না। কোনো পরিবর্তন হয় না।’
পতিসরে রবীন্দ্রস্মৃতি সংরক্ষণে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন রবীন্দ্রগবেষক, প্রাবন্ধিক আহমদ রফিক। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিচিহ্নগুলো সংগ্রহের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তৎপরতার অভাব আছে বলে মনে করেন তিনি। গতকাল আহমদ রফিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের রবীন্দ্রচর্চা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই শেষ হয়। তবে আমাদের আন্তরিকতা নেই।’ তিনি জানান, শিলাইদহে বা শাহজাদপুরে যেমন সব এলাকা অধিগ্রহণ করা হয়েছে, পতিসরে তা হয়নি। এখানে শুধু বাড়িটিই অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রস্মৃতি সংরক্ষণে পতিসরে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিচিহ্নবাহী এলাকাগুলোকে অধিগ্রহণ করতে হবে।’
জানতে চাইলে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রবীন্দ্রস্মৃতি সংরক্ষণে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। এ রকম যেসব স্মৃতিচিহ্ন এখনো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে সেগুলোর বিষয়েও আমরা যথাব্যবস্থা নেব। ’
কবিগুরুর নানা স্মৃতিচিহ্ন বিভিন্ন ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করেছেন, সংরক্ষণ করছেন নিজেদের মতো করে। তাঁরা চান, সরকারি কর্তৃপক্ষ এসব সংগ্রহ করুক। তবে তাতে সাড়া নেই সরকারের তরফে।
নিজ উদ্যোগে কবিগুরুর একাধিক স্মৃতিচিহ্ন সংগ্রহ করেছেন নওগাঁর পতিসরের মতিউর রহমান। তিনি ২০০৩ সাল থেকে এসব সংগ্রহ করছেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের আশীর্বাণী, চিঠি, কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিঠি, পুত্রবধূর চিঠি, কবির দেওয়া বই—এসব মিলিয়ে অন্তত ২০টি স্মৃতিস্মারক সংগ্রহ করেছেন মতিউর। এগুলো এখন সংরক্ষিত আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য পতিসরের কালীগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশনের একটি ঘরে। তাঁরা এর নাম দিয়েছেন জাদুঘর। ১৯৩৭ সালে কবি নিজেই তাঁর ছেলে রথীন্দ্রনাথের নামাঙ্কিত এই হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। মতিউর বলছিলেন, ‘এখন যেভাবে এসব স্মৃতিচিহ্ন আছে, তা মোটেও বিজ্ঞানসম্মত নয়। এগুলো সংগ্রহ করার জন্য প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক শাখাকে অনুরোধ করেছি। তবে তারা এসব সংগ্রহ করেনি।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩৭ সালের ২৭ জুলাই অসুস্থ অবস্থাতেই পতিসরে এসেছিলেন। সেটাই এখানে তাঁর শেষ আসা। তখন এসে কবি একটি আশীর্বাণী লিখেছিলেন। শুরুতেই ছিল ‘রথীন্দ্রনাথের নামচিহ্নিত কালীগ্রামের এই বিদ্যালয়ের আমি উন্নতি কামনা করি।’
রবীন্দ্রনাথের পুত্রবধূ প্রতিমা দেবীর একটি চিঠিও সংগ্রহে আছে। সেই চিঠিটি তিনি লিখেছিলেন তাঁদের জমিদারি এস্টেটের ম্যানেজার বীরেনকে, একজনের বিয়েতে অর্থ সাহায্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে।
এসব সংগ্রহই শুধু নয়, কালীগ্রাম রথীন্দ্রনাথ ইনস্টিটিউশনে এখনো আছে কবিগুরুর সময়ের দুটি ঘর। মাটির এই ভবনে এখনো ক্লাস চলে। ঝড়ে প্রতিবছরই এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব বলছিলেন, ‘সরকারি নানা মহলের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছি ভবন দুটি সংরক্ষণ করার জন্য। কোনো উপলক্ষ এলে সবাই এখানে আসে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। কিন্তু কোনো ফল হয় না।’
পতিসরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির পাশেই আছে বিশাল পুকুর। এই দর্শনীয় স্থানটিকেও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এখানে আসা পর্যটকেরা পুকুর দেখতে গেলে বাধা পান অনেক সময়। জানতে চাইলে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হেমন্ত হেনরি কুবি বলেন, ‘এই সম্পত্তিটি অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত। তাই আইন মেনেই আমাকে ইজারা দিতে হয়েছে। তবে সম্পত্তির গুরুত্ব উপলব্ধি করে এই সম্পত্তিকে ভিন্নভাবে দেখা যেত। কিন্তু এটি সরকারি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বিষয়।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯৩ সালে এসেছিলেন শাহজাদপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় পরিদর্শনে। সেই সময় পরিদর্শন বইয়ে তিনি মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। কবির স্বাক্ষরিত সেই লেখা এখন বিদ্যালয়েই রক্ষিত আছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক জাহিদ সুলতান বলেন, ‘আমি শাহজাদপুরে কার্ডিয়াক থাকার সময় একাধিকবার সেই লেখা চেয়েছি। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ সেটি দিতে রাজি হয়নি।’
এ বিষয়ে শাহজাদপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার কাছে এমন অনুরোধ আসেনি। হয়তো আগে আসতে পারে।’ তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার জানামতে, আমাদের কাছে সেই লেখার মূল কপিটি নেই। আছে একটি ফটোকপি।’ তবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, স্কুলে মূল কপিটিই ছিল।
কুষ্টিয়ার শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কাছারি ভবন ও দাতব্য চিকিৎসালয়ের এখন ভগ্নদশা। গতকাল বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বয়সের ভারে জরাজীর্ণ দাতব্য চিকিৎসালয়ের ছাদ নেই। পাশের কাছারি ভবনের টালির ছাদ ধসে পড়ছে। পরগাছায় জড়িয়ে পড়েছে দুটি স্থাপনা। দেয়াল ও অন্দরে বেড়ে উঠেছে লতাপাতা। ঘরের ভেতরের কারুকাজ ছিল, তা ঢেকে গেছে বহুদিনের জমে ওঠা ধুলো আর শেওলায়। সেখানে এখন শালিক-চড়ুই পাখির বাস।
রবীন্দ্রনাথের দাদু প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর কুঠিবাড়ির পাশেই কসবা গ্রামে প্রজাদের জন্য দাতব্য চিকিৎসালয় তৈরি করেছিলেন। তার পাশেই ছিল খাজনা আদায়ের কাছারি ভবন। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর শিলাইদহ কুঠিবাড়ি সংরক্ষণ করলেও কাছারি ভবন ও দাতব্য চিকিৎসালয়ের কোনো খোঁজখবর রাখে না। প্রতিদিনই হারিয়ে যাচ্ছে এর ধ্বংসাবশেষের চিহ্ন, ইটের টুকরা। দাতব্য চিকিৎসালয়ের পাশের বাসিন্দা আবদুস সাত্তার বললেন, ‘প্রায়ই বছরই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের লোকজন মাপজোক করতে আসে। পরে আর কোনো খবর থাকে না। কোনো পরিবর্তন হয় না।’
পতিসরে রবীন্দ্রস্মৃতি সংরক্ষণে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন রবীন্দ্রগবেষক, প্রাবন্ধিক আহমদ রফিক। রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিচিহ্নগুলো সংগ্রহের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তৎপরতার অভাব আছে বলে মনে করেন তিনি। গতকাল আহমদ রফিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের রবীন্দ্রচর্চা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই শেষ হয়। তবে আমাদের আন্তরিকতা নেই।’ তিনি জানান, শিলাইদহে বা শাহজাদপুরে যেমন সব এলাকা অধিগ্রহণ করা হয়েছে, পতিসরে তা হয়নি। এখানে শুধু বাড়িটিই অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রস্মৃতি সংরক্ষণে পতিসরে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিচিহ্নবাহী এলাকাগুলোকে অধিগ্রহণ করতে হবে।’
জানতে চাইলে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রবীন্দ্রস্মৃতি সংরক্ষণে আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। এ রকম যেসব স্মৃতিচিহ্ন এখনো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে সেগুলোর বিষয়েও আমরা যথাব্যবস্থা নেব। ’
No comments