পাটের নতুন বাজার খুঁজছে সরকার-প্রতিনিধিদল যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে by ফারজানা লাবনী
সরকারি-বেসরকারি পাটকলগুলোর উৎপাদিত পণ্য বিক্রিতে অচলাবস্থা চলছে প্রায় ছয় মাস ধরে। গুদামে অবিক্রীত পড়ে আছে প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার পাট ও পাটজাত দ্রব্য। তাই পাটের নতুন বাজার খুঁজছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) এবং জুট ডাইভারফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে একাধিক প্রতিনিধিদল।
পর্যায়ক্রমে এসব কমিটি ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুর যাবে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল জুট ডাইভারফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান মঞ্জুরুল আলম ব্রাজিল গেছেন। আগামী সপ্তাহে আরো একটি দলের নিউজিল্যান্ড যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এভাবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্ত দেশেগুলোয় সফর শেষ করবেন কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে নতুন ক্রেতা সৃষ্টির চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে বিক্রি বাড়তে পণ্যের মোড়কীকরণে পাটপণ্যের ব্যবহারে আইন প্রণয়ন করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য বিক্রিতে নতুন বাজার খোঁজার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে বিশ্ববাজারের চাহিদানুযায়ী পণ্য বহুমুখীকরণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, জানান তিনি। পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আশরাফুল মকবুল কালের কণ্ঠকে বলেন, অবিক্রীত পাট ও পাটজাত পণ্য বিক্রিতে বিদেশে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পাটের নতুন বাজার সম্প্রসারণে মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিনিধিদল যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এতে পণ্য বিক্রিতে গতি আসবে বলে তিনি আশা করেন। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে বিক্রি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। মোড়কীকরণে পাটপণ্যের ব্যবহারে আইন প্রণয়নের জোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সরকারি পাটকলগুলোর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার (বিজেএমসি) পরিচালক (বিপণন) শামসুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য মূলত মিসর, সুদান, ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে বিক্রি করা হয়। এসব দেশে বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তাই পাটের নতুন বাজার তৈরিতে ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে সফরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাজিল গেছে দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল।
তিনি আরো বলেন, 'রাষ্ট্রায়ত্ত ২৩টি পাটকলের গুদামে পড়ে আছে এক লাখ বেলের ওপরে পাট ও পাটজাত পণ্য। যার বাজারমূল্য ২৪০ কোটি টাকার বেশি। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে দৈনিক উৎপাদনের আরো দুই হাজার বেল।' শামসুল হক বলেন, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের গুণাগুণ তুলে ধরে সফরকারী দেশের সরকারি-বেসরকারিপর্যায়ে যোগাযোগ করে নতুন অর্ডার আনার চেষ্টা করবেন।
বাংলাদেশ জুট মিলস্ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) সভাপতি নাজমুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিজেএমএর আওতায় রয়েছে ১০৮টি পাট কারখানা। এ হিসাবের বাইরে ছোট-বড় আরো কিছু পাটকল রয়েছে। বেসরকারি পাটকলগুলোর গুদামে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার পাট ও পাটজাত পণ্য অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে বলে জানান ব্যবসায়ী এই নেতা। পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ও নতুন বাজার সৃষ্টিতে বিভিন্ন উদ্যোক্তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বিজেএমসির পরিচালক শামসুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পণ্যের মোড়কীকরণে পাটজাত পণ্যের ব্যবহারে আইন করা হলেও তা প্রয়োগ হচ্ছে না। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানও বিজেএমসির পাট ও পাটজাত পণ্য কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। পাট শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এ আইন কার্যকর করার দাবি করেন তিনি।
পাট ব্যবসায়ী ও এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহসভাপতি জসিম উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, আইন করে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব নয়। ভোক্তার কাছে পণ্যটি প্রয়োজনীয় ও পছন্দীয় হলেই সে তা কিনবে। তাই পাটজাত পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দেন তিনি। বিজেএমসির পরিচালক (গবেষণা) আবু সাইয়িদ কালের কণ্ঠকে বলেন, পাটপণ্যে বৈচিত্র্য আনতে না পারলে বাজার হারাবে এ দেশের পাট শিল্প। তাই সরকারিভাবে পাটপণ্য বৈচিত্র্যকরণে গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য বিক্রিতে নতুন বাজার খোঁজার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে বিশ্ববাজারের চাহিদানুযায়ী পণ্য বহুমুখীকরণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, জানান তিনি। পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আশরাফুল মকবুল কালের কণ্ঠকে বলেন, অবিক্রীত পাট ও পাটজাত পণ্য বিক্রিতে বিদেশে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পাটের নতুন বাজার সম্প্রসারণে মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিনিধিদল যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এতে পণ্য বিক্রিতে গতি আসবে বলে তিনি আশা করেন। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে বিক্রি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। মোড়কীকরণে পাটপণ্যের ব্যবহারে আইন প্রণয়নের জোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সরকারি পাটকলগুলোর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার (বিজেএমসি) পরিচালক (বিপণন) শামসুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য মূলত মিসর, সুদান, ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে বিক্রি করা হয়। এসব দেশে বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে ব্যবসা-বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তাই পাটের নতুন বাজার তৈরিতে ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে সফরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাজিল গেছে দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল।
তিনি আরো বলেন, 'রাষ্ট্রায়ত্ত ২৩টি পাটকলের গুদামে পড়ে আছে এক লাখ বেলের ওপরে পাট ও পাটজাত পণ্য। যার বাজারমূল্য ২৪০ কোটি টাকার বেশি। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে দৈনিক উৎপাদনের আরো দুই হাজার বেল।' শামসুল হক বলেন, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্যের গুণাগুণ তুলে ধরে সফরকারী দেশের সরকারি-বেসরকারিপর্যায়ে যোগাযোগ করে নতুন অর্ডার আনার চেষ্টা করবেন।
বাংলাদেশ জুট মিলস্ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) সভাপতি নাজমুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিজেএমএর আওতায় রয়েছে ১০৮টি পাট কারখানা। এ হিসাবের বাইরে ছোট-বড় আরো কিছু পাটকল রয়েছে। বেসরকারি পাটকলগুলোর গুদামে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার পাট ও পাটজাত পণ্য অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে বলে জানান ব্যবসায়ী এই নেতা। পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ও নতুন বাজার সৃষ্টিতে বিভিন্ন উদ্যোক্তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বিজেএমসির পরিচালক শামসুল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পণ্যের মোড়কীকরণে পাটজাত পণ্যের ব্যবহারে আইন করা হলেও তা প্রয়োগ হচ্ছে না। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানও বিজেএমসির পাট ও পাটজাত পণ্য কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। পাট শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এ আইন কার্যকর করার দাবি করেন তিনি।
পাট ব্যবসায়ী ও এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সহসভাপতি জসিম উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, আইন করে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব নয়। ভোক্তার কাছে পণ্যটি প্রয়োজনীয় ও পছন্দীয় হলেই সে তা কিনবে। তাই পাটজাত পণ্য উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দেন তিনি। বিজেএমসির পরিচালক (গবেষণা) আবু সাইয়িদ কালের কণ্ঠকে বলেন, পাটপণ্যে বৈচিত্র্য আনতে না পারলে বাজার হারাবে এ দেশের পাট শিল্প। তাই সরকারিভাবে পাটপণ্য বৈচিত্র্যকরণে গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
No comments