নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে
নেপালে চলমান রাজনৈতিক সংকট আরও জটিল হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপালকে পদত্যাগের জন্য ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে মাওবাদীরা।
প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমারের পদত্যাগ ও জাতীয় মতৈক্যের সরকার গঠনের শর্তে গত শুক্রবার দেশটির গণপরিষদের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেয় মাওবাদীরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় মাওবাদীরা গতকাল সোমবার ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়।
মাওবাদী দলের পলিটব্যুরোর সদস্য মোহন বৈদ্য কিরণ গতকাল সোমবার দলীয় মুখপাত্র বলে পরিচিত দৈনিক জনদিশায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমারকে অবশ্যই তিন দিনের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন—এ শর্তে রাজি হওয়ার পরই গত শুক্রবার আমরা গণপরিষদের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে ভোট দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। আমরা চাই না এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক।’
পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার বলেন, মাওবাদীদের নিজস্ব গেরিলা ও আধা সামরিক বাহিনী বিলুপ্ত করতে হবে। বিদ্রোহের সময় ১০ বছরে জনগণের যে সম্পদ তারা হস্তগত করেছে, তা-ও ফেরত দিতে হবে।
১০ বছর সশস্ত্র সংগ্রামের পর ২০০৬ সালে ক্ষমতাসীন দলগুলোর সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে মাওবাদীরা। ২০০৮ সালের ১০ এপ্রিল নেপালে সংবিধান রচনার লক্ষ্যে দুই বছরের মেয়াদের জন্য গণপরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দুই বছরেও সংবিধান প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হয় গণপরিষদ। মেয়াদ শেষ হওয়ার শেষ দিনে গত শুক্রবার গণপরিষদের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়।
নেপালের জনগণ ও গণমাধ্যমের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থকে জাতীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখায় গত দুই বছরেও সংবিধানের খসড়া তৈরি করতে পারেনি।
এদিকে জাতীয় মতৈক্যের সরকার গঠনের ব্যাপারে গতকাল রাতে গণপরিষদের প্রধান তিনটি দলের আলোচনায় বসার কথা। গণপরিষদের মেয়াদ বাড়ানোর পর থেকেই নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন দল তিনটির নেতারা। গণপরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মাওবাদী দল ছাড়াও নেপালি কংগ্রেস ও মহাদেশি জনাধিকার ফোরাম সরকার পরিচালনার দাবি তুলেছে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমারের জোটের বড় শরিক দল নেপালি কংগ্রেস দাবি করেছে, গণপরিষদের মাওবাদীদের পর তারাই বড় দল। নতুন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব তাদের পাওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীর আরেক শরিক দল মহাদেশি জনাধিকার ফোরামের দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে তাদের নেতা উপ-প্রধানমন্ত্রী বিজয় কুমারের প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমারের পদত্যাগ ও জাতীয় মতৈক্যের সরকার গঠনের শর্তে গত শুক্রবার দেশটির গণপরিষদের মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর পক্ষে ভোট দেয় মাওবাদীরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসায় মাওবাদীরা গতকাল সোমবার ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয়।
মাওবাদী দলের পলিটব্যুরোর সদস্য মোহন বৈদ্য কিরণ গতকাল সোমবার দলীয় মুখপাত্র বলে পরিচিত দৈনিক জনদিশায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমারকে অবশ্যই তিন দিনের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন—এ শর্তে রাজি হওয়ার পরই গত শুক্রবার আমরা গণপরিষদের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে ভোট দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। আমরা চাই না এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক।’
পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার বলেন, মাওবাদীদের নিজস্ব গেরিলা ও আধা সামরিক বাহিনী বিলুপ্ত করতে হবে। বিদ্রোহের সময় ১০ বছরে জনগণের যে সম্পদ তারা হস্তগত করেছে, তা-ও ফেরত দিতে হবে।
১০ বছর সশস্ত্র সংগ্রামের পর ২০০৬ সালে ক্ষমতাসীন দলগুলোর সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে মাওবাদীরা। ২০০৮ সালের ১০ এপ্রিল নেপালে সংবিধান রচনার লক্ষ্যে দুই বছরের মেয়াদের জন্য গণপরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু দুই বছরেও সংবিধান প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হয় গণপরিষদ। মেয়াদ শেষ হওয়ার শেষ দিনে গত শুক্রবার গণপরিষদের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়।
নেপালের জনগণ ও গণমাধ্যমের অভিযোগ, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থকে জাতীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখায় গত দুই বছরেও সংবিধানের খসড়া তৈরি করতে পারেনি।
এদিকে জাতীয় মতৈক্যের সরকার গঠনের ব্যাপারে গতকাল রাতে গণপরিষদের প্রধান তিনটি দলের আলোচনায় বসার কথা। গণপরিষদের মেয়াদ বাড়ানোর পর থেকেই নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন দল তিনটির নেতারা। গণপরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মাওবাদী দল ছাড়াও নেপালি কংগ্রেস ও মহাদেশি জনাধিকার ফোরাম সরকার পরিচালনার দাবি তুলেছে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমারের জোটের বড় শরিক দল নেপালি কংগ্রেস দাবি করেছে, গণপরিষদের মাওবাদীদের পর তারাই বড় দল। নতুন সরকার পরিচালনার দায়িত্ব তাদের পাওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীর আরেক শরিক দল মহাদেশি জনাধিকার ফোরামের দাবি, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে তাদের নেতা উপ-প্রধানমন্ত্রী বিজয় কুমারের প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত।
No comments