ড্রয়ের স্বপ্ন আর সত্যি হলো না by তারেক মাহমুদ
জিওফ বয়কট নিশ্চয়ই মুচকি হেসেছেন। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতেই যদি সব সমালোচনার জবাব দেওয়া হয়ে যায়, তাহলে কাল কী করলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা! ড্রয়ের সম্ভাবনা জাগানো টেস্টেও তো ৮ উইকেটের হার, খেলা শেষ হয়ে গেল চা-বিরতির আগেই!
লর্ডসে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেবে, এমন আশা কেউ করেনি। তবে চতুর্থ দিনে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটা ড্রয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল অনেককে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা অঙ্ক কষতে কষতে বাড়ি ফিরেছেন, যদি শেষ দিনে বাংলাদেশ অন্তত চা-বিরতির কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে ইনিংসটা, এরপর যদি বোলাররা আটকে রাখতে পারে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের...! লর্ডসে কাল সেসব হিসাবের কোনোটাই মিলল না। আগের দিনের ৫ উইকেটে করা ৩২৮ রান নিয়ে খেলতে নেমে কাল মাত্র ২৫.২ ওভারেই বাংলাদেশ অলআউট ৩৮২ রানে। ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ইংল্যান্ড ২ উইকেট হারালেও খেলা যখন শেষ হলো, তখনো আরও ৩৫ ওভারের মতো পড়ে আছে!
১৬০ রানের মধ্যে দুই ওপেনার অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস আর অ্যালিস্টার কুক মিলেই তুলে ফেলেন ৬৭ রান। মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব মিলে এই দুই ওপেনারকেই ফিরিয়ে দিলেও জোনাথন ট্রট আর কেভিন পিটারসেন আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেই ফিরেছেন ড্রেসিংরুমে। তবে অপরাজিত ১০ রানের ইনিংসেই পিটারসেন আরও একবার প্রমাণ করলেন, বাংলাদেশি বাঁহাতি স্পিন খেলাটা তাঁর জন্য কতটা কঠিন। জয় থেকে যখন ইংল্যান্ড মাত্র এক রান দূরে দাঁড়িয়ে, পিটারসেন তখন পুরো একটা ওভার খেলেও কোনো রান নিতে পারলেন না। সাকিবের বলগুলো ঠেকাতে তাঁর কষ্ট দেখে প্রেসবক্সে বরং হাসির রোলই উঠছিল তখন। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর পরের ওভারে ট্রট শেষ করে দিলেন খেলা। প্রথম বলেই ফ্লিকে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে তুলে নিলেন লর্ডস টেস্টের জয়।
বাংলাদেশের ড্রয়ের স্বপ্ন অবশ্য এর আগেই শেষ। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জুনায়েদ সিদ্দিক বা সাকিব আল হাসান, পরে আসা মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ—ড্রয়ের জন্য যে রকম ব্যাটিং দরকার ছিল, সেটা করতে ব্যর্থ সবাই। আগের দিনের ২ রানের সঙ্গে কাল মাত্র ১৪ রান যোগ করেই ফিনের বলে পয়েন্টে মরগানের ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন সাকিব। ফিনের বলে ব্রেসনানকে সহজ ক্যাচ দিয়ে জুনায়েদও পারেননি লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ফিফটিটাকে সেঞ্চুরিতে নিয়ে যেতে। বরং পরে মুশফিকুর রহিমের উইকেটটিও নিয়ে প্রথম ইনিংসের অতৃপ্তি দূর করতে পেরেছেন ফিনই। ৮৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নাম উঠিয়েছেন অনার্স বোর্ডে, প্রথম ইনিংসে সম্ভাবনা জাগিয়েও যা পারেননি।
শেষ দিনে ব্যাটসম্যানরা আরেকটু প্রতিরোধ গড়তে না পারাতেই মূলত ড্রয়ের স্বপ্নটা ভেঙে গেছে বাংলাদেশের। তবে লর্ডস টেস্ট শেষে যদি ফেলে আসা পাঁচটা দিনের দিকে তাকান, উন্নতির লক্ষণ কি একটু দেখছেন না? তামিমের সেঞ্চুরি কিংবা শাহাদাতের ৫ উইকেট...ইংল্যান্ডকে ড্রয়ের শঙ্কায় ফেলে টেস্টটাকে পঞ্চম দিনে নিয়ে আসা—লর্ডস টেস্ট শুরুর আগে তো এসব প্রাপ্তিকেও সম্ভব বলে মনে হয়নি!
লর্ডসে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেবে, এমন আশা কেউ করেনি। তবে চতুর্থ দিনে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিটা ড্রয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিল অনেককে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা অঙ্ক কষতে কষতে বাড়ি ফিরেছেন, যদি শেষ দিনে বাংলাদেশ অন্তত চা-বিরতির কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে ইনিংসটা, এরপর যদি বোলাররা আটকে রাখতে পারে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের...! লর্ডসে কাল সেসব হিসাবের কোনোটাই মিলল না। আগের দিনের ৫ উইকেটে করা ৩২৮ রান নিয়ে খেলতে নেমে কাল মাত্র ২৫.২ ওভারেই বাংলাদেশ অলআউট ৩৮২ রানে। ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ইংল্যান্ড ২ উইকেট হারালেও খেলা যখন শেষ হলো, তখনো আরও ৩৫ ওভারের মতো পড়ে আছে!
১৬০ রানের মধ্যে দুই ওপেনার অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস আর অ্যালিস্টার কুক মিলেই তুলে ফেলেন ৬৭ রান। মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব মিলে এই দুই ওপেনারকেই ফিরিয়ে দিলেও জোনাথন ট্রট আর কেভিন পিটারসেন আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেই ফিরেছেন ড্রেসিংরুমে। তবে অপরাজিত ১০ রানের ইনিংসেই পিটারসেন আরও একবার প্রমাণ করলেন, বাংলাদেশি বাঁহাতি স্পিন খেলাটা তাঁর জন্য কতটা কঠিন। জয় থেকে যখন ইংল্যান্ড মাত্র এক রান দূরে দাঁড়িয়ে, পিটারসেন তখন পুরো একটা ওভার খেলেও কোনো রান নিতে পারলেন না। সাকিবের বলগুলো ঠেকাতে তাঁর কষ্ট দেখে প্রেসবক্সে বরং হাসির রোলই উঠছিল তখন। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহর পরের ওভারে ট্রট শেষ করে দিলেন খেলা। প্রথম বলেই ফ্লিকে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে তুলে নিলেন লর্ডস টেস্টের জয়।
বাংলাদেশের ড্রয়ের স্বপ্ন অবশ্য এর আগেই শেষ। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান জুনায়েদ সিদ্দিক বা সাকিব আল হাসান, পরে আসা মুশফিকুর রহিম-মাহমুদউল্লাহ—ড্রয়ের জন্য যে রকম ব্যাটিং দরকার ছিল, সেটা করতে ব্যর্থ সবাই। আগের দিনের ২ রানের সঙ্গে কাল মাত্র ১৪ রান যোগ করেই ফিনের বলে পয়েন্টে মরগানের ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন সাকিব। ফিনের বলে ব্রেসনানকে সহজ ক্যাচ দিয়ে জুনায়েদও পারেননি লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ফিফটিটাকে সেঞ্চুরিতে নিয়ে যেতে। বরং পরে মুশফিকুর রহিমের উইকেটটিও নিয়ে প্রথম ইনিংসের অতৃপ্তি দূর করতে পেরেছেন ফিনই। ৮৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নাম উঠিয়েছেন অনার্স বোর্ডে, প্রথম ইনিংসে সম্ভাবনা জাগিয়েও যা পারেননি।
শেষ দিনে ব্যাটসম্যানরা আরেকটু প্রতিরোধ গড়তে না পারাতেই মূলত ড্রয়ের স্বপ্নটা ভেঙে গেছে বাংলাদেশের। তবে লর্ডস টেস্ট শেষে যদি ফেলে আসা পাঁচটা দিনের দিকে তাকান, উন্নতির লক্ষণ কি একটু দেখছেন না? তামিমের সেঞ্চুরি কিংবা শাহাদাতের ৫ উইকেট...ইংল্যান্ডকে ড্রয়ের শঙ্কায় ফেলে টেস্টটাকে পঞ্চম দিনে নিয়ে আসা—লর্ডস টেস্ট শুরুর আগে তো এসব প্রাপ্তিকেও সম্ভব বলে মনে হয়নি!
No comments