মেয়ের হত্যাকারীর বিচার দেখে যেতে চান বাবা-মা by বদর উদ্দিন
নাসরিন আক্তার |
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার
সরাইল উপজেলার রফিজ উদ্দিনের মেয়ে আইনজীবী নাসরিন আক্তার (২৭) হত্যা
মামলাটি দীর্ঘ সাত বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি। উল্টো নাসরিনের পরিবারের সদস্যদের
প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মৃত্যুর আগে তাই একমাত্র মেয়ের হত্যাকারীর
বিচার দেখে যাওয়ার আকুতি জানালেন বৃদ্ধ বাবা-মা।
নাসরিন আক্তার ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় খুন হন। ঘটনার পরদিন নাসরিনের ছোট ভাই সালাহ উদ্দিন বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঢাকা জজ আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী নাসরিন আক্তার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি বাসায় সাবলেট থাকতেন। ফ্ল্যাটটিতে বাবা-মা, স্ত্রী ও বোনদের নিয়ে থাকতেন আমিন মিয়া (৪০)। আমিন একদিন নাসরিনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ক্ষুব্ধ হয়ে ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর সকাল আটটার দিকে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নাসরিনকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন আমিন। নাসরিনের ছিন্ন মাথা নিয়ে রাস্তায় উল্লাস করতে থাকেন আমিন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আমিন। ঘটনার দুই মাস পর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম পাঁচ আসামিকে বাদ দিয়ে শুধু আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পুলিশ বাড়ির মালিক, আশপাশের ভাড়াটিয়া ও প্রত্যক্ষদর্শী এক রিকশাচালককে সাক্ষী করেন।
বাদী সালাহ উদ্দিনের অভিযোগ, আসামি আমিন বর্তমানে জেলহাজতে থাকলেও তাঁর পক্ষের লোকজনের ভয়ভীতির কারণে সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাননি। ইতিমধ্যে কয়েকজন সাক্ষী এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি মামলা প্রত্যাহারে নাসরিনের বাবাকে ‘প্রাইভেট নাম্বার’ লেখা অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন আসামি পক্ষের লোকজন। এ ব্যাপারে তাঁর বাবা রফিজ উদ্দিন গত ১৪ নভেম্বর সরাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে তিনি জানান।
নাসরিনের বাবা রফিজ উদ্দিন (৬৮ ) ও মা রেনুকা পারভীন (৫৫) বলেন, মৃত্যুর আগে একমাত্র মেয়ের হত্যাকারীর বিচার দেখে যেতে চান তাঁরা। এ ব্যাপারে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
নাসরিন আক্তার ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় খুন হন। ঘটনার পরদিন নাসরিনের ছোট ভাই সালাহ উদ্দিন বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ঢাকা জজ আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী নাসরিন আক্তার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় একটি বাসায় সাবলেট থাকতেন। ফ্ল্যাটটিতে বাবা-মা, স্ত্রী ও বোনদের নিয়ে থাকতেন আমিন মিয়া (৪০)। আমিন একদিন নাসরিনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ক্ষুব্ধ হয়ে ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর সকাল আটটার দিকে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নাসরিনকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন আমিন। নাসরিনের ছিন্ন মাথা নিয়ে রাস্তায় উল্লাস করতে থাকেন আমিন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আমিন। ঘটনার দুই মাস পর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম পাঁচ আসামিকে বাদ দিয়ে শুধু আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পুলিশ বাড়ির মালিক, আশপাশের ভাড়াটিয়া ও প্রত্যক্ষদর্শী এক রিকশাচালককে সাক্ষী করেন।
বাদী সালাহ উদ্দিনের অভিযোগ, আসামি আমিন বর্তমানে জেলহাজতে থাকলেও তাঁর পক্ষের লোকজনের ভয়ভীতির কারণে সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাননি। ইতিমধ্যে কয়েকজন সাক্ষী এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি মামলা প্রত্যাহারে নাসরিনের বাবাকে ‘প্রাইভেট নাম্বার’ লেখা অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন আসামি পক্ষের লোকজন। এ ব্যাপারে তাঁর বাবা রফিজ উদ্দিন গত ১৪ নভেম্বর সরাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে তিনি জানান।
নাসরিনের বাবা রফিজ উদ্দিন (৬৮ ) ও মা রেনুকা পারভীন (৫৫) বলেন, মৃত্যুর আগে একমাত্র মেয়ের হত্যাকারীর বিচার দেখে যেতে চান তাঁরা। এ ব্যাপারে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
No comments