পলাতক আসামিদের খোঁজ নেই নূর ছাড়াই চার্জশিট, নতুন তদন্ত -চট্টগ্রামে কোকেন কাণ্ড
দেশজুড়ে
তোলপাড় হওয়া চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কোকেন আমদানির ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে।
প্রধান আসামি আমদানিকারক নূর মোহাম্মদকে চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে দাখিল করা
চার্জশিট গ্রহণ করেনি আদালত। নির্দেশ দেয়া হয়েছে র্যাবকে নতুন তদন্তের।
গতকাল সকালে মহানগর হাকিম রহমত আলী অভিযোগপত্রটি গ্রহণ না করে তা নতুন করে
তদন্তের জন্য র্যাবকে নির্দেশ দেন। এ সময় বিচারক প্রধান আসামি নূর
মোহাম্মদকে সম্পৃক্ত না করায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
পদমর্যাদার একজনকে দিয়ে তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ত্রুটি থাকার
কথা উল্লেখ করে বিচারক বলেছেন, চার্জশিটটি দায়সারাভাবে দাখিল করা হয়েছে। এ
ঘটনার পেছনে আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারেন বলে ধারণা আদালতের। তাই মূল
হোতাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শনাক্ত করার কথা বলা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান বলেন,
এ ঘটনায় নতুন করে আবার তদন্ত হবে। ত্রুটি থাকায় বিচারক তা গ্রহণ করেননি।
একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,
যতদূর জানি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটির মালিক নূর মোহাম্মদের নাম অপর এক
আসামি জানিয়েছিল। ১৬৪ ধারায়ও এ নিয়ে জবানবন্দি হয়েছে। তবে কেন তাকে বাদ
দেয়া হলো তা সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন। বাতিল হয়ে যাওয়া
ভোজ্য তেলের আড়ালে কোকেন পাচারের ঘটনার মামলার চার্জশিট খতিয়ে দেখা যায়,
চলতি বছরের গত ১৯শে নভেম্বর এ-সংক্রান্ত মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়া
হয়। এতে বলা হয়, যে চালানটি ধরা পড়েছিল তার গন্তব্য ছিল ভারতে। মাদকদ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ আইনে তা আদালতে দাখিল করেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার
কামরুজ্জামান।
এতে তিনি যাদের আসামি করেন তাদের মধ্যে ছিল গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক এ কে আজাদ, মোস্তফা কামাল, আমদানিকারক সূর্যমুখী তেলের প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, লন্ডনে বসবাসরত নাগরিক ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া, সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আসামিদের মধ্যে ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া অন্যতম আসামি গোলাম মোস্তফা সোহেলের আত্মীয়। সোহেল জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, তাদের মাধ্যমেই তিনি ভোজ্য তেল নিয়ে আসতেন বিভিন্ন দেশ থেকে। তবে এ কাজে মালিক নূর মোহাম্মদকে তিনি বিষয়টি অবহিত করতেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ফজলু ও বকুল মিয়াকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। তারা বর্তমানে পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে সাইফুল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ ঘটনায় ৫৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, নূর মোহাম্মদের জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো সংশ্লিষ্টতা পাইনি। নতুন করে তদন্ত হলে আমি সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবো। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে ওই সময় প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলাম।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আসামি সোহেল রিমান্ডে বলেছিলেন, লন্ডন থেকে বলিভিয়া হয়ে এসব চালান দেশের বিভিন্ন ব্যক্তিদের হাতে পৌঁছে দিতো। প্রতিটি চালানেই খানজাহান আলী লিমিটেডের নাম ছিল আমদানিকারক হিসেবে। এ ঘটনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠান বলিভিয়ার ‘ইমপোট- এক্সপোর্ট ইএল ভাইভেন এসআরএল’ ও উরুগুয়ের ‘সাউথ ফ্রেইট লজিস্টিক নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলে সে স্বীকার করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে তেলের ড্রামে কোকেন পাওয়ার ঘটনায় চলতি বছরের গত ২৮শে জুন বন্দর থানার এসআই ওসমান গণি বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সানফ্লাওয়ার তেল ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা ১০৭টি কনটেইনারের একটিতে গত ২৭শে জুন তরল কোকেনের অস্তিত্ব মেলে। ঢাকার বিসিএসআইআর ও বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর পর তারা কোকেন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ৮ই জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও নৌবাহিনীর ল্যাবের প্রাথমিক পরীক্ষায় কোনো তরল কোকেন না থাকার কথা জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জাতিসংঘের একটি দল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রথমেই তারা খুঁজবে কোন দেশ থেকে চালানটি এসেছে। তারপর ওরা দেখবে কোন কোন বন্দর দিয়ে সেটি আনা হয়েছে। জাহাজটিতে এর আগে এসব পণ্য আনা হয়েছে কিনা। এরপর সবশেষে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা যাচাই করবে। বোঝা যাচ্ছে, দেশের বাইরের অনেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। খানজাহান আলীর কর্মকর্তা সোহেল যাদের নাম বলেছেন, তাদের অনেকে লন্ডনে আছেন। তাদের অবস্থান চিহ্নিত করা গেলে ঘটনা অনেকখানি খোলাসা হবে বলে মানবজমিনকে উল্লেখ করেন তিনি।
এতে তিনি যাদের আসামি করেন তাদের মধ্যে ছিল গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক এ কে আজাদ, মোস্তফা কামাল, আমদানিকারক সূর্যমুখী তেলের প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, লন্ডনে বসবাসরত নাগরিক ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া, সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, আসামিদের মধ্যে ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া অন্যতম আসামি গোলাম মোস্তফা সোহেলের আত্মীয়। সোহেল জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, তাদের মাধ্যমেই তিনি ভোজ্য তেল নিয়ে আসতেন বিভিন্ন দেশ থেকে। তবে এ কাজে মালিক নূর মোহাম্মদকে তিনি বিষয়টি অবহিত করতেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ফজলু ও বকুল মিয়াকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ। তারা বর্তমানে পলাতক রয়েছে। অন্যদিকে সাইফুল ইসলাম উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ ঘটনায় ৫৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার কামরুজ্জামান মানবজমিনকে বলেন, নূর মোহাম্মদের জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো সংশ্লিষ্টতা পাইনি। নতুন করে তদন্ত হলে আমি সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবো। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে ওই সময় প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলাম।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আসামি সোহেল রিমান্ডে বলেছিলেন, লন্ডন থেকে বলিভিয়া হয়ে এসব চালান দেশের বিভিন্ন ব্যক্তিদের হাতে পৌঁছে দিতো। প্রতিটি চালানেই খানজাহান আলী লিমিটেডের নাম ছিল আমদানিকারক হিসেবে। এ ঘটনায় বিদেশি প্রতিষ্ঠান বলিভিয়ার ‘ইমপোট- এক্সপোর্ট ইএল ভাইভেন এসআরএল’ ও উরুগুয়ের ‘সাউথ ফ্রেইট লজিস্টিক নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বলে সে স্বীকার করেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে তেলের ড্রামে কোকেন পাওয়ার ঘটনায় চলতি বছরের গত ২৮শে জুন বন্দর থানার এসআই ওসমান গণি বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সানফ্লাওয়ার তেল ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা ১০৭টি কনটেইনারের একটিতে গত ২৭শে জুন তরল কোকেনের অস্তিত্ব মেলে। ঢাকার বিসিএসআইআর ও বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর পর তারা কোকেন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ৮ই জুন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও নৌবাহিনীর ল্যাবের প্রাথমিক পরীক্ষায় কোনো তরল কোকেন না থাকার কথা জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, জাতিসংঘের একটি দল বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রথমেই তারা খুঁজবে কোন দেশ থেকে চালানটি এসেছে। তারপর ওরা দেখবে কোন কোন বন্দর দিয়ে সেটি আনা হয়েছে। জাহাজটিতে এর আগে এসব পণ্য আনা হয়েছে কিনা। এরপর সবশেষে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা যাচাই করবে। বোঝা যাচ্ছে, দেশের বাইরের অনেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। খানজাহান আলীর কর্মকর্তা সোহেল যাদের নাম বলেছেন, তাদের অনেকে লন্ডনে আছেন। তাদের অবস্থান চিহ্নিত করা গেলে ঘটনা অনেকখানি খোলাসা হবে বলে মানবজমিনকে উল্লেখ করেন তিনি।
No comments