ইউক্রেন সংকট- রক্তপাতের পর পূর্বাঞ্চলে অভিযান আরও জোরদার @প্রথম আলো
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী রুশপন্থীদের সরাতে অভিযানের প্রথম দিন গত শুক্রবার ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এরপর গতকাল শনিবার অভিযান আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেনের সরকার। স্লাভিয়ানস্কসহ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের আরও কয়েকটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ ভবন সপ্তাহ দুয়েক ধরে দখল করে রেখেছে রুশপন্থী অস্ত্রধারীরা। এ নিয়ে ইউক্রেন ও পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার বাদানুবাদ চলছে। অস্ত্রধারীদের নিষ্ক্রিয় করার জন্য পশ্চিমারা রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। এ অবস্থায় সামরিক হেলিকপ্টার ও সাঁজোয়া যান নিয়ে গতকাল ওই অঞ্চলে সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে ইউক্রেনের সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী। ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ জানায়, অস্ত্রধারীরা তাদের দুটি সামরিক হেলিকপ্টার গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এতে সেনাবাহিনীর দুই সদস্যসহ চারজন নিহত হয়। আর বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংঘর্ষে তাদের তিন সদস্য ও দুজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, সেনাবাহিনীর অভিযান চলাকালে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওডিসা শহরের একটি ভবনে আগুন ধরে যায়। এতে অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়। এদের বেশির ভাগ মারা যায় ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে বা তড়িঘড়ি করে বের হওয়ার সময় পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে। ভবনটিতে ওই সময় যারা ছিল, তাদের বেশির ভাগই বিচ্ছিন্নতাবাদী।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরসেন আভাকভ জানান, ভ্লাভিয়ানস্ক থেকে ১৭ কিলোমিটার দক্ষিণের ক্রামাতোর্সক শহরে অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আভাকভ বলেন, ক্রামাতোর্সক শহরে রাতভর অভিযান চালিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছ থেকে একটি টেলিভিশন ভবনের দখল নিয়েছে। বিমানবন্দরের পথে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তল্লাশি কেন্দ্রগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আরও জোরদার করা হবে। এই অভিযানের সমালোচনা করে রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিযুক্ত রাশিয়ার প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, শুক্রবারের এই হতাহতের জন্য কিয়েভই দায়ী এবং পশ্চিমারা তাদের মদদ দিচ্ছে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, রাশিয়া তাদের এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে দেশটির ওপর আরও কঠোর অবরোধ আরোপ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ গতকাল বলেন, ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর মস্কোর আর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এএফপি।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরসেন আভাকভ জানান, ভ্লাভিয়ানস্ক থেকে ১৭ কিলোমিটার দক্ষিণের ক্রামাতোর্সক শহরে অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। আভাকভ বলেন, ক্রামাতোর্সক শহরে রাতভর অভিযান চালিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাছ থেকে একটি টেলিভিশন ভবনের দখল নিয়েছে। বিমানবন্দরের পথে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তল্লাশি কেন্দ্রগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আরও জোরদার করা হবে। এই অভিযানের সমালোচনা করে রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নিযুক্ত রাশিয়ার প্রতিনিধি অভিযোগ করেন, শুক্রবারের এই হতাহতের জন্য কিয়েভই দায়ী এবং পশ্চিমারা তাদের মদদ দিচ্ছে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, রাশিয়া তাদের এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ না করলে দেশটির ওপর আরও কঠোর অবরোধ আরোপ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ গতকাল বলেন, ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর মস্কোর আর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এএফপি।
No comments