কিউইদের আরেকটি দিন
‘আগেও দেখা গেছে কয়েক ইনিংস রান না পেলে ও হঠাৎ করেই একটা বড় ইনিংস খেলে’—হায়দরাবাদ টেস্টের আগের দিন রস টেলরের কথা শুনে সবার তো আক্কেলগুড়ুম। আগের টেস্টে ‘চশমা’ (দুই ইনিংসেই) পাওয়া টিম ম্যাকিন্টশকে হায়দরাবাদেও খেলানোর পক্ষে এই অদ্ভুত যুক্তি দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের সহ-অধিনায়ক। তখন কে-ই বা ভাবতে পেরেছিল, এভাবে ফলে যাবে টেলরের কথা!
উপ্পলের উইকেটও ব্যাটিং-বান্ধব, তবে জায়গামতো বল রাখতে পারলে বোলারদের বিমুখ হওয়ারও কথা নয়। মোতেরার নিষ্প্রাণ উইকেটেও চরম ব্যর্থ ম্যাকিন্টশ সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন এই উইকেটে। ঢুকে গেলেন ইতিহাসেও। ‘পেয়ার’ পাওয়ার পরের টেস্টেই সেঞ্চুরি পাওয়া মাত্র ১১তম ব্যাটসম্যান তিনি। রান পেয়েছেন ফর্মের সঙ্গে লড়তে থাকা মার্টিন গাপটিলও। এই দুজনের সৌজন্যে ভারত সফরে আরও একটি দিন নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিন শেষে রান ৪ উইকেটে ২৫৮, দিন শেষের আগের ওভারে ম্যাকিন্টশ আউট না হলে হয়তো আরও চওড়া হতো ড্যানিয়েল ভেট্টোরির হাসি।
আগের টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১৬টি বল খেলেছিলেন ম্যাকিন্টশ, সবগুলোই জহির খানের। কালও প্রথম ১৩টি বল খেললেন সেই জহিরেরই, রান করতে পারেননি একটিও। ব্যতিক্রম বলতে এবার টিকে ছিলেন উইকেটে। ভারত সফরে মুখোমুখি হওয়া ৩০তম বলে পেলেন অন্য বোলারকে, সেই বলেই শ্রীশান্তকে চার মেরে পেলেন সফরের প্রথম রান। এরপর যতই সময় গড়িয়েছে, হয়ে উঠেছেন আত্মবিশ্বাসী। কোনো ঝুঁকি নেননি, একদম বাজে বল না পেলে শট খেলেননি। প্রথম সেশনে তাঁর রান ছিল ২৫, পরের সেশনে ৩০। ২৩৮ বলে ছুঁয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
সেঞ্চুরি না হলেও কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না গাপটিলের ইনিংসটাও। দলের জন্য তো বটেই, নিজের জন্যও। বাজে ফর্মের জন্য বাংলাদেশ সফরের দলে ছিলেন না, বাইরে বসে ছিলেন আগের টেস্টেও। কাল উইকেটে গিয়েছিলেন মাত্র ৪ রানে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আউট হওয়ার পর। ইনিংসের শুরুতেই দুবার ঘুরে এসেছেন মৃত্যুদুয়ার থেকে। ৪ রানের মাথায় শ্রীশান্তের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসছিলেন ড্রেসিংরুমে, পরের ব্যাটসম্যান টেলরও প্রায় পৌঁছে গিয়েছিলেন উইকেটে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে ‘নো’ বল ডাকেন আম্পায়ার কুমারা ধর্মসেনা। ১১ রানের মাথায় হরভজনের বলে সহজ ক্যাচ ছাড়েন ধোনি।
দুবার ‘নতুন জীবন’ পেয়েই যেন বুঝে গিয়েছিলেন সঙ্গে আছে ভাগ্য। এক পাশে উইকেটে পড়েছিলেন ম্যাকিন্টশ, আরেক পাশে স্ট্রোকের পসরা সাজিয়েছেন গাপটিল। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে গড়েছেন ১৪৭ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত এই দুজন থাকতে না পারলেও উইকেটে জমে গেছেন রাইডার, বাইরে আছেন উইলিয়ামসন-ভেট্টোরিরাও। বড় রানের আশা তাই করতেই পারে কিউইরা।
উপ্পলের উইকেটও ব্যাটিং-বান্ধব, তবে জায়গামতো বল রাখতে পারলে বোলারদের বিমুখ হওয়ারও কথা নয়। মোতেরার নিষ্প্রাণ উইকেটেও চরম ব্যর্থ ম্যাকিন্টশ সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন এই উইকেটে। ঢুকে গেলেন ইতিহাসেও। ‘পেয়ার’ পাওয়ার পরের টেস্টেই সেঞ্চুরি পাওয়া মাত্র ১১তম ব্যাটসম্যান তিনি। রান পেয়েছেন ফর্মের সঙ্গে লড়তে থাকা মার্টিন গাপটিলও। এই দুজনের সৌজন্যে ভারত সফরে আরও একটি দিন নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিন শেষে রান ৪ উইকেটে ২৫৮, দিন শেষের আগের ওভারে ম্যাকিন্টশ আউট না হলে হয়তো আরও চওড়া হতো ড্যানিয়েল ভেট্টোরির হাসি।
আগের টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১৬টি বল খেলেছিলেন ম্যাকিন্টশ, সবগুলোই জহির খানের। কালও প্রথম ১৩টি বল খেললেন সেই জহিরেরই, রান করতে পারেননি একটিও। ব্যতিক্রম বলতে এবার টিকে ছিলেন উইকেটে। ভারত সফরে মুখোমুখি হওয়া ৩০তম বলে পেলেন অন্য বোলারকে, সেই বলেই শ্রীশান্তকে চার মেরে পেলেন সফরের প্রথম রান। এরপর যতই সময় গড়িয়েছে, হয়ে উঠেছেন আত্মবিশ্বাসী। কোনো ঝুঁকি নেননি, একদম বাজে বল না পেলে শট খেলেননি। প্রথম সেশনে তাঁর রান ছিল ২৫, পরের সেশনে ৩০। ২৩৮ বলে ছুঁয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
সেঞ্চুরি না হলেও কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না গাপটিলের ইনিংসটাও। দলের জন্য তো বটেই, নিজের জন্যও। বাজে ফর্মের জন্য বাংলাদেশ সফরের দলে ছিলেন না, বাইরে বসে ছিলেন আগের টেস্টেও। কাল উইকেটে গিয়েছিলেন মাত্র ৪ রানে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আউট হওয়ার পর। ইনিংসের শুরুতেই দুবার ঘুরে এসেছেন মৃত্যুদুয়ার থেকে। ৪ রানের মাথায় শ্রীশান্তের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসছিলেন ড্রেসিংরুমে, পরের ব্যাটসম্যান টেলরও প্রায় পৌঁছে গিয়েছিলেন উইকেটে। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে ‘নো’ বল ডাকেন আম্পায়ার কুমারা ধর্মসেনা। ১১ রানের মাথায় হরভজনের বলে সহজ ক্যাচ ছাড়েন ধোনি।
দুবার ‘নতুন জীবন’ পেয়েই যেন বুঝে গিয়েছিলেন সঙ্গে আছে ভাগ্য। এক পাশে উইকেটে পড়েছিলেন ম্যাকিন্টশ, আরেক পাশে স্ট্রোকের পসরা সাজিয়েছেন গাপটিল। দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে গড়েছেন ১৪৭ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত এই দুজন থাকতে না পারলেও উইকেটে জমে গেছেন রাইডার, বাইরে আছেন উইলিয়ামসন-ভেট্টোরিরাও। বড় রানের আশা তাই করতেই পারে কিউইরা।
No comments