জুলকারনাইনের সব ঘটনাই বানোয়াট
এ মুহূর্তে পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ত রাষ্ট্রদূতদের একজন ওয়াজিদ শামসুল হাসান। লন্ডনে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনারকে যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) হাজারটা ঝামেলা নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে। স্পট ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত তিন ক্রিকেটারের পর এবার তাঁর কাঁধে চেপেছে জুলকারনাইন হায়দারকে সামলানোর ভার। যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যাওয়া জুলকারনাইনের সঙ্গে তাই বৈঠক করেছেন শামসুল হাসান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেওয়া এই ২৪ বছর বয়সী ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলেছেন পিসিবি চেয়ারম্যান ইজাজ বাটও।
তার মানে এই নয় পিসিবি নরম-সরম হয়ে জুলকারনাইনকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। বরং বোর্ড আগের মতোই শক্ত অবস্থানে। পাকিস্তান এই বার্তা দিয়ে দিয়েছে, দেশের মুখে ‘চুনকালি’ মাখানো জুলকারনাইন কোনো অনুকম্পা পাবেন না। পিসিবি আসলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে সত্যি ঘটনা জানার জন্য।
ঘটনা যা-ই হোক না কেন, পাকিস্তান মনে করে নিজে থেকে এ ধরনের একটা ঘটনা তৈরি করে জুলকারনাইন যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
পঞ্চম ওয়ানডেতে ম্যাচ না পাতালে তাঁকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি পেয়েছিলেন নাকি জুলকারনাইন। এই হুমকি তিনি চতুর্থ ওয়ানডের আগেই পেয়েছেন, যে ম্যাচে তাঁর অপরাজিত ১৯ রান পাকিস্তানকে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি জেতাতে ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু পিসিবির আইন উপদেষ্টা তাফাজ্জুল রিজভী প্রশ্ন তুলেছেন, চতুর্থ ম্যাচটি হয়েছিল শুক্রবার, প্রাণের মায়া যদি তাঁর এতটাই থেকে থাকে, তাহলে জুলকারনাইন কেন থেকে গেলেন সোমবার পর্যন্ত? অর্থাৎ জুলকারনাইন হুমকি পাওয়ার পরও চার দিন ছিলেন দলের সঙ্গে। রিজভী আরেকটি প্রশ্ন করেছেন, ‘পরিবারকেও খতম করে ফেলার হুমকি পাওয়ার পর জুলকারনাইনের উচিত ছিল পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের সংস্কৃতি সেটাই বলে। কিন্তু ও সেটা না করে পালিয়ে গেল আরেকটি দেশে।’
ঠারেঠোরে বুঝিয়েই দেওয়া হচ্ছে, এ স্রেফ জুলকারনাইনের যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পাওয়ার কৌশল। কারণ পাকিস্তান ক্রিকেটে নিজের ভবিষ্যৎ খুব একটা উজ্জ্বল ছিল না এই ক্রিকেটারের। অন্তত পিসিবির পক্ষ থেকে সেটাই বলা হচ্ছে। পঞ্চম ওয়ানডেতেও নাকি এমনিতেই তাঁকে বাদ দিয়ে উমর আকমলকে উইকেটকিপিংয়ের পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট। উর্দু দৈনিক জং সেটাই লিখেছে। শেষ ওয়ানডের আগের দিনই জুলকারনাইনকে সেটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় দলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখেই কি তবে মানে মানে কেটে পড়লেন জুলকারনাইন?
শুধু পাকিস্তান নয়, এই ক্রিকেটারের এভাবে পালিয়ে যাওয়ার যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না সৌরভ গাঙ্গুলীও। ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, জুলকারনাইনের জায়গায় তিনি থাকলে কখনোই এভাবে পালাতেন না।
সে যা-ই হোক না কেন, জুলকারনাইন এখনো যুক্তরাজ্যেই আছেন। তাঁর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনও প্রক্রিয়াধীন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার বিসর্জন দেওয়ায় তিনি অনুতপ্তও নন। এখন কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তরুণ ক্রিকেটার বলেছেন, নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন নন। হয়তো ইংলিশ কাউন্টিতে খেলার পরিকল্পনা তিনি করছেন। এরই মধ্যে ইংলিশ ভিলেজ ক্রিকেট ক্লাব ল্যাশিংস বিশ্ব একাদশ তাঁকে আগামী মৌসুমে খেলার প্রস্তাবও দিয়েছে।
তার মানে এই নয় পিসিবি নরম-সরম হয়ে জুলকারনাইনকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। বরং বোর্ড আগের মতোই শক্ত অবস্থানে। পাকিস্তান এই বার্তা দিয়ে দিয়েছে, দেশের মুখে ‘চুনকালি’ মাখানো জুলকারনাইন কোনো অনুকম্পা পাবেন না। পিসিবি আসলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে সত্যি ঘটনা জানার জন্য।
ঘটনা যা-ই হোক না কেন, পাকিস্তান মনে করে নিজে থেকে এ ধরনের একটা ঘটনা তৈরি করে জুলকারনাইন যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
পঞ্চম ওয়ানডেতে ম্যাচ না পাতালে তাঁকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি পেয়েছিলেন নাকি জুলকারনাইন। এই হুমকি তিনি চতুর্থ ওয়ানডের আগেই পেয়েছেন, যে ম্যাচে তাঁর অপরাজিত ১৯ রান পাকিস্তানকে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটি জেতাতে ভূমিকা রেখেছিল। কিন্তু পিসিবির আইন উপদেষ্টা তাফাজ্জুল রিজভী প্রশ্ন তুলেছেন, চতুর্থ ম্যাচটি হয়েছিল শুক্রবার, প্রাণের মায়া যদি তাঁর এতটাই থেকে থাকে, তাহলে জুলকারনাইন কেন থেকে গেলেন সোমবার পর্যন্ত? অর্থাৎ জুলকারনাইন হুমকি পাওয়ার পরও চার দিন ছিলেন দলের সঙ্গে। রিজভী আরেকটি প্রশ্ন করেছেন, ‘পরিবারকেও খতম করে ফেলার হুমকি পাওয়ার পর জুলকারনাইনের উচিত ছিল পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের সংস্কৃতি সেটাই বলে। কিন্তু ও সেটা না করে পালিয়ে গেল আরেকটি দেশে।’
ঠারেঠোরে বুঝিয়েই দেওয়া হচ্ছে, এ স্রেফ জুলকারনাইনের যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পাওয়ার কৌশল। কারণ পাকিস্তান ক্রিকেটে নিজের ভবিষ্যৎ খুব একটা উজ্জ্বল ছিল না এই ক্রিকেটারের। অন্তত পিসিবির পক্ষ থেকে সেটাই বলা হচ্ছে। পঞ্চম ওয়ানডেতেও নাকি এমনিতেই তাঁকে বাদ দিয়ে উমর আকমলকে উইকেটকিপিংয়ের পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট। উর্দু দৈনিক জং সেটাই লিখেছে। শেষ ওয়ানডের আগের দিনই জুলকারনাইনকে সেটি জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় দলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখেই কি তবে মানে মানে কেটে পড়লেন জুলকারনাইন?
শুধু পাকিস্তান নয়, এই ক্রিকেটারের এভাবে পালিয়ে যাওয়ার যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না সৌরভ গাঙ্গুলীও। ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, জুলকারনাইনের জায়গায় তিনি থাকলে কখনোই এভাবে পালাতেন না।
সে যা-ই হোক না কেন, জুলকারনাইন এখনো যুক্তরাজ্যেই আছেন। তাঁর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনও প্রক্রিয়াধীন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার বিসর্জন দেওয়ায় তিনি অনুতপ্তও নন। এখন কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তরুণ ক্রিকেটার বলেছেন, নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন নন। হয়তো ইংলিশ কাউন্টিতে খেলার পরিকল্পনা তিনি করছেন। এরই মধ্যে ইংলিশ ভিলেজ ক্রিকেট ক্লাব ল্যাশিংস বিশ্ব একাদশ তাঁকে আগামী মৌসুমে খেলার প্রস্তাবও দিয়েছে।
No comments