স্বর্ণালী বৃক্ষের শাখা থেকে by বিজয় কুমার
কয়েক
বছর আগে মাস্টার-স্কলার, ভাষাতত্ত্ববিদ ও ইতিহাসবিদ শেলডন পোলক সংস্কৃত ও
অন্যান্য ভারতীয় ক্লাসিক ভাষার অবস্থা সম্পর্কে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ
করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তিন হাজার বছরের জ্ঞান, পাণ্ডিত্য ধারণ করে থাকা
ভাষাগুলো এখন হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পণ্ডিত, বিদ্বান, মুন্সিরা
হারিয়ে যাচ্ছেন, তাদের সাথে ভারতীয় প্রাচীন ভাষাবিষয়ক বিপুল জ্ঞানও বিলুপ্ত
হয়ে যাচ্ছে। এসব ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর
চেষ্টাও ক্ষীণ।
এই পরিস্থিতিতে ভালো অনুবাদ বিপুল ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রাচীন সাহিত্যগুলো ইংরেজিতে অনূদিত হওয়া উচিত। এতে তরুণদের কাছে অতীতের দরজা খুলে গিয়ে ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাদের জ্ঞান বাড়িয়ে দিতে পারে।
কূটনীতিক, পণ্ডিত ও বর্তমানে অনুবাদকে পরিণত এ এনডি হাস্কার খুশিমনে এই কাজেই নিয়োজিত হয়েছেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই দায়িত্বটি গ্রহণ করেছেন। তিনি খুব যত্নের সাথে আধুনিক ভাষাতে দায়িত্বটি পালন করে যাচ্ছেন।
ঋতুসম্বরণ: সংস্কৃত সাহিত্যের অনুবাদের হাস্কারের সংক্ষিপ্ত ভাণ্ডারে সর্বশেষ সংযোজন হলো ‘অ্যা গ্যাদারিং অব সিজন্স’। তিনি এতে ছন্দ, মাত্রা ও সৌন্দর্য রূপান্তরে যে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, তা সত্যিই বিরল।
ইংরেজিতে হয়তো বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, ইউরোপের রোমান্টিক কবিরাই প্রথম স্বতন্ত্র থিম হিসেবে প্রকৃতিকে নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু বাস্তবে তাদের অনেক আগেই কালিদাস যে সহিত্য সৃষ্টি করে গেছেন, তা অনেক বেশি প্রাণবন্ত, সজীবন ও কালোত্তীর্ণ। অনুবাদে হাস্কারও একই ধরনের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে মূলকেই ইংরেজিতে তুলে ধরেছেন। প্রাচীন সাহিত্যকেই তিনি আধুনিকভাবে উপস্থাপনের কাজটি করেছেন অত্যন্ত মুন্সিয়ানার সাথে।
কালিদাস প্রকৃতিকে কালোত্তীর্ণ বহুমুখিতার পরিচয় দিয়েছেন আশ্চর্য দক্ষতার সাথে। চিরায়ত ভারত বছরকে ছয়টি ঋতুতে ভাগ করে। ইউরোপিয়ানদের ঋতু চারটি: গ্রীষ্ম, বসন্ত, শরৎ ও শীত। সৌর পঞ্জিকার ভিত্তিতে তৈরি ভারতে ঋতু ছয়টি। এগুলো হলো গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত।
কবিতাগুলো প্রতিটি ঋতুতে সংশ্লিষ্ট ছবি প্রাণবন্তভাবে তুলে ধরেছে। পৃথিবী ও আকাশ, চাঁদ ও সূর্য, নদী ও হৃদ, পাখি ও প্রাণি, বৃক্ষ ও পুষ্প সবকিছুই আছে প্রাচুর্যপূর্ণভাবে। এখানে প্রায়ই দেখা যায়, মানুষ, বিশেষ করে তরুণীরা তার প্রেমিকের জন্য অকূলভাবে অপেক্ষায় থাকে। আকাঙ্ক্ষা আর আকূলতা সবসময়ই দেখা যায়।
মোট ছয় সর্গে ১৪১টি শ্লোক ছিল মূল সংগ্রহে। ১৬টি অতিরিক্ত শ্লোক পরে ইউরোপিয়ান ভারততত্ত্ববিদেরা আবিষ্কার করেছিলেন। এগুলোও হাস্কারের অনুবাদে উঠে এসেছে। পাঠকেরা যেসব পরিভাষার সাথে পরিচিত নয়, হাস্কার সেগুলোর ব্যাখ্যা দিয়ে বিষয়টিকে খোলাসা করে দিয়েছেন। ফলে পাঠক অবলীলায় প্রাচীনকালে চলে যেতে পারেন।
অনুবাদে একটি অদ্ভূত কাজ করেছেন হাস্কার। তা হলো বৃক্ষ ও পুষ্পের ভারতীয় নাম ব্যবহার করেছেন। আর প্রাণির জন্য করেছেন ইংরেজি নাম। ফলে অশোক গাছ, কুমড়া ফুল ইংরেজিতেই পাওয়া যাচ্ছে। তবে হাতি, মৌমাছি ইত্যাদি ইংরেজিতে পড়তে হয়।
সংস্কৃত সাহিত্য এভাবে অনুবাদ করা আরো কঠিন কাজ। তিনি সেটিই করেছেন বেশ অবলীলায়। হাস্কারের মতো অনুবাদে ক্লাসিক ভারতের সন্ধানপ্রার্থীদের চোখ আর মন খুলে দেয়।
এই পরিস্থিতিতে ভালো অনুবাদ বিপুল ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রাচীন সাহিত্যগুলো ইংরেজিতে অনূদিত হওয়া উচিত। এতে তরুণদের কাছে অতীতের দরজা খুলে গিয়ে ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে তাদের জ্ঞান বাড়িয়ে দিতে পারে।
কূটনীতিক, পণ্ডিত ও বর্তমানে অনুবাদকে পরিণত এ এনডি হাস্কার খুশিমনে এই কাজেই নিয়োজিত হয়েছেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই দায়িত্বটি গ্রহণ করেছেন। তিনি খুব যত্নের সাথে আধুনিক ভাষাতে দায়িত্বটি পালন করে যাচ্ছেন।
ঋতুসম্বরণ: সংস্কৃত সাহিত্যের অনুবাদের হাস্কারের সংক্ষিপ্ত ভাণ্ডারে সর্বশেষ সংযোজন হলো ‘অ্যা গ্যাদারিং অব সিজন্স’। তিনি এতে ছন্দ, মাত্রা ও সৌন্দর্য রূপান্তরে যে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন, তা সত্যিই বিরল।
ইংরেজিতে হয়তো বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, ইউরোপের রোমান্টিক কবিরাই প্রথম স্বতন্ত্র থিম হিসেবে প্রকৃতিকে নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু বাস্তবে তাদের অনেক আগেই কালিদাস যে সহিত্য সৃষ্টি করে গেছেন, তা অনেক বেশি প্রাণবন্ত, সজীবন ও কালোত্তীর্ণ। অনুবাদে হাস্কারও একই ধরনের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে মূলকেই ইংরেজিতে তুলে ধরেছেন। প্রাচীন সাহিত্যকেই তিনি আধুনিকভাবে উপস্থাপনের কাজটি করেছেন অত্যন্ত মুন্সিয়ানার সাথে।
কালিদাস প্রকৃতিকে কালোত্তীর্ণ বহুমুখিতার পরিচয় দিয়েছেন আশ্চর্য দক্ষতার সাথে। চিরায়ত ভারত বছরকে ছয়টি ঋতুতে ভাগ করে। ইউরোপিয়ানদের ঋতু চারটি: গ্রীষ্ম, বসন্ত, শরৎ ও শীত। সৌর পঞ্জিকার ভিত্তিতে তৈরি ভারতে ঋতু ছয়টি। এগুলো হলো গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত।
কবিতাগুলো প্রতিটি ঋতুতে সংশ্লিষ্ট ছবি প্রাণবন্তভাবে তুলে ধরেছে। পৃথিবী ও আকাশ, চাঁদ ও সূর্য, নদী ও হৃদ, পাখি ও প্রাণি, বৃক্ষ ও পুষ্প সবকিছুই আছে প্রাচুর্যপূর্ণভাবে। এখানে প্রায়ই দেখা যায়, মানুষ, বিশেষ করে তরুণীরা তার প্রেমিকের জন্য অকূলভাবে অপেক্ষায় থাকে। আকাঙ্ক্ষা আর আকূলতা সবসময়ই দেখা যায়।
মোট ছয় সর্গে ১৪১টি শ্লোক ছিল মূল সংগ্রহে। ১৬টি অতিরিক্ত শ্লোক পরে ইউরোপিয়ান ভারততত্ত্ববিদেরা আবিষ্কার করেছিলেন। এগুলোও হাস্কারের অনুবাদে উঠে এসেছে। পাঠকেরা যেসব পরিভাষার সাথে পরিচিত নয়, হাস্কার সেগুলোর ব্যাখ্যা দিয়ে বিষয়টিকে খোলাসা করে দিয়েছেন। ফলে পাঠক অবলীলায় প্রাচীনকালে চলে যেতে পারেন।
অনুবাদে একটি অদ্ভূত কাজ করেছেন হাস্কার। তা হলো বৃক্ষ ও পুষ্পের ভারতীয় নাম ব্যবহার করেছেন। আর প্রাণির জন্য করেছেন ইংরেজি নাম। ফলে অশোক গাছ, কুমড়া ফুল ইংরেজিতেই পাওয়া যাচ্ছে। তবে হাতি, মৌমাছি ইত্যাদি ইংরেজিতে পড়তে হয়।
সংস্কৃত সাহিত্য এভাবে অনুবাদ করা আরো কঠিন কাজ। তিনি সেটিই করেছেন বেশ অবলীলায়। হাস্কারের মতো অনুবাদে ক্লাসিক ভারতের সন্ধানপ্রার্থীদের চোখ আর মন খুলে দেয়।
No comments