উঁকি দিয়েছে সূর্য
দেশের বিভিন্ন জায়গার ওপর দিয়ে এখনো শৈত্যপ্রবাহ বইলেও গতকালের তুলনায় তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার কিছুটা কমেছে। সকালেই দেখা মিলেছে সূর্যের। ফলে কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন।
তবে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও কনকনে বাতাস অব্যাহত রয়েছে। সকাল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টির মতো শিশির ঝরতে দেখা গেছে।
এর আগে সোমবার দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড পাওয়া গেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সেখানে ব্যারোমিটারে তাপমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
প্রচণ্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দেখা দিয়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগবালাই।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়, জেলার দুই লাখ দুঃস্থ শীতার্তের বিপরীতে জেলায় এ পর্যন্ত মাত্র ৩০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে আরো শীত বস্ত্রের চাহিদা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহ চললেও তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে দিনাজপুরে। গতকাল সোমবার এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সেই তাপমাত্রা বেড়ে আজ দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। টানা ছয় দিন শৈত্যপ্রবাহ চলার পর আজ সকালে সূর্যের মুখ দেখা গেছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, শৈত্যপ্রবাহ আরো কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। তবে সূর্যের তাপমাত্রা বাড়বে এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য এ মাসে আরো দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন ৬৪ হাজার কম্বল বিতরণের পর এবার সদর আসনের এমপি হুইপ ইকবালুর রহিম ৫০ হাজার কম্বল চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে আবেদন জানিয়েছেন।
সোমবার ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি। দিনেও তাপমাত্রা বাড়েনি। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যদি ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে, তবে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
এ হিসাবে এবারের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে ২ জানুয়ারি। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সারা দেশে শীত পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। আগামীকাল নাগাদ পরিস্থিতি এমনই থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিভাগের (বিএমডি) কর্মকর্তারা।
বিএমডির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টাঙ্গাইল, শ্রীমঙ্গল ও চুয়াডাঙ্গাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, সিলেট ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ট অংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়েছে। তা কোথাও দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।
তবে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও কনকনে বাতাস অব্যাহত রয়েছে। সকাল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টির মতো শিশির ঝরতে দেখা গেছে।
এর আগে সোমবার দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড পাওয়া গেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সেখানে ব্যারোমিটারে তাপমাত্রা ছিল ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
প্রচণ্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দেখা দিয়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগবালাই।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়, জেলার দুই লাখ দুঃস্থ শীতার্তের বিপরীতে জেলায় এ পর্যন্ত মাত্র ৩০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। তবে আরো শীত বস্ত্রের চাহিদা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহ চললেও তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে দিনাজপুরে। গতকাল সোমবার এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সেই তাপমাত্রা বেড়ে আজ দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। টানা ছয় দিন শৈত্যপ্রবাহ চলার পর আজ সকালে সূর্যের মুখ দেখা গেছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, শৈত্যপ্রবাহ আরো কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। তবে সূর্যের তাপমাত্রা বাড়বে এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য এ মাসে আরো দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন ৬৪ হাজার কম্বল বিতরণের পর এবার সদর আসনের এমপি হুইপ ইকবালুর রহিম ৫০ হাজার কম্বল চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে আবেদন জানিয়েছেন।
সোমবার ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি। দিনেও তাপমাত্রা বাড়েনি। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা যদি ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে, তবে তা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। আর ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
এ হিসাবে এবারের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে ২ জানুয়ারি। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সারা দেশে শীত পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। আগামীকাল নাগাদ পরিস্থিতি এমনই থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিভাগের (বিএমডি) কর্মকর্তারা।
বিএমডির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টাঙ্গাইল, শ্রীমঙ্গল ও চুয়াডাঙ্গাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা, সিলেট ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্ট অংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়েছে। তা কোথাও দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।
No comments