রোমাঞ্চের হাতছানি দিচ্ছে যে টেস্ট by পবিত্র কুন্ডু
ওয়ানডের মতো টেস্ট অভিষেকেও ম্যাচসেরা হয়ে ঢুকে গেছেন ইতিহাসে। বলে চোখ মুস্তাফিজুরের, তাঁর দিকে চোখ পুরো দেশের l শামসুল হক |
চিরপরিচিত দৃশ্য। টেস্ট শুরুর আগের সকালে কিংবা দুপুরে উইকেটের দিকে ঝুঁকে থাকা কজোড়া চোখ।
মাঠ পাড়ি দিয়ে চলেই যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ইনডোরে নেট করে ফেরা বাংলাদেশ অধিনায়ককে পিছু ডাকলেন তিনজন। তা আট বছর ধরে নিবিড়ভাবে চেনা (সত্যিই কি?) উইকেটকে নতুন করে দেখার কী আছে! তবু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন। সঙ্গে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার। পাঁচ-ছয় দিন পর উইকেটটা যে মাত্রই ৪৮ ঘণ্টা হলো ঘোমটা খুলেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল স্টেডিয়ামে ঢুকেই চোখ রাখল দূরের উইকেটে। ইনডোরে যাওয়ার পথে আরও কাছাকাছি গিয়ে।
সত্যিটা বললে উইকেট নয়, সবার সর্বক্ষণ চোখ রাখা উচিত আকাশের দিকে। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টটাকে গিলে খেয়ে, ঢাকায় দুদিন ধরে বৃষ্টি ঝরিয়ে এই আকাশই যে এ পর্যন্ত ‘নায়ক’! তো কাল দুপুর পর্যন্তও আকাশে ছিল ঝকঝকে রোদ। নীলের কোলে কোলে পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘ। তিন দিন ধরে বৃষ্টি শেষ বিকেলে ঝরে পড়ার একটা প্যাটার্ন তৈরি করেছে। সেটাই হোক। সারা দিন ক্রিকেটের পর রাতে যত খুশি সে ঝরুক। অনেক আকর্ষণ নিয়ে আজ শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টের জন্য দর্শকেরও যে অধীর অপেক্ষা।
প্রথম টেস্ট সামর্থ্য আর সম্ভাবনার যুগলবন্দী একটা স্বপ্ন এঁকে হঠাৎই ডুব দিয়েছে বৃষ্টির তলে। মিরপুরে একাদশে সম্ভাব্য একটি পরিবর্তন এনে বাংলাদেশ সেই স্বপ্নটাকে ফিরে পেতে চায়। সেই স্বপ্ন থেকে গড়তে চায় টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের গৌরবসৌধ। সেটি কী, সবারই জানা। মুশফিকুর রহিম কাল যেমন আত্মবিশ্বাসজাত আকাঙ্ক্ষাটাকে তুলে নিলেন সর্বোচ্চ চূড়ায়, ‘১-০ ব্যবধানে সিরিজ আমরা জিততেও পারি।’ মুশফিক জানেন, জানেন তাঁর সব সহ-খেলোয়াড়, টেস্টের এক নম্বর দলটির বিপক্ষে এ এক কষ্ট-কল্পনা। তারা অভিজ্ঞতার সবটুকু ঢেলে, আগ্রাসনের চূড়ান্ত সীমায় উঠে ঝাঁপিয়ে পড়বে। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়টা যে তাদের কাছে রোজনামচার মতো। তারপরও ওয়ানডে সিরিজ জিতে বিবর্তিত বাংলাদেশ দল টেস্ট জয়েরও স্বপ্ন দেখতে পারছে। সেটি ওই মানসিক শক্তির কারণেই।
দক্ষিণ আফ্রিকা জানে, বাংলাদেশের মানসিক শক্তিটা পারদস্তম্ভের মাপে বেশ ওপরে। র্যাঙ্কিংয়ের নয়ে থাকা প্রতিপক্ষকেও তাই বেশ সমীহ। কিন্তু কে না জানে, সেই সমীহর চাদরের নিচে রয়েছে অহং। এটি ‘অবশ্যই জিততে হবে ম্যাচ’ কি না, পরিষ্কার করেননি হাশিম আমলা, সেটি করার দরকারই বা কী! এই একটি বাক্যেই যে বলা হয়ে যায় সবকিছু, ‘অবশ্যই আমরা এখানে জিততে এসেছি।’ দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক বাড়তি একটি শব্দ ব্যবহার করেছেন বার কয়েক, ‘রোমাঞ্চিত। দলের সবাই “রোমাঞ্চিত”, আবহাওয়ার উন্নতি দেখে “আমরা রোমাঞ্চিত”।’ একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচের অপেক্ষায় দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক।
রোমাঞ্চ শব্দটি মিরপুর স্টেডিয়ামের সঙ্গে বেশ যায়। ফিরে যদি দেখা যায়, এখানে সর্বশেষ বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টটিকে, প্রথমে রোমাঞ্চ জাগিয়ে শেষটায় বাংলাদেশেরই ছিল অশ্রুত হাহাকার। শাহাদাত হোসেনের ২৭ রানে ৬ উইকেট তুলে নেওয়া আগুন ঝরানো বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সেই ম্যাচটা সিংহের দাপটে বের করে নিয়েছিলেন স্মিথ, আমলা, ডি ভিলিয়ার্স, ক্যালিস, মরকেল, স্টেইন। স্মিথ-ক্যালিস অবসরে, ডি ভিলিয়ার্স নেই—এই দলে সেই স্মৃতি বয়ে এনেছেন শুধু আমলা, স্টেইন ও মরকেল।
প্রতিটি দিনের সূর্যই যেমন নতুন একটা দিন নিয়ে আসে, এই ম্যাচটিও নতুন। আরেকটি নতুন দিনে আমলাদের কাছে ভেসে উঠছে পুরোনো আকাঙ্ক্ষাই—জয়। চট্টগ্রাম টেস্টে উইকেটের ‘গন্ধ’ পেয়ে গেছেন ডেল স্টেইন। আর একটি পেলেই টেস্টের চার শ উইকেট ক্লাবের ত্রয়োদশ সদস্য হয়ে যাবেন। সেই উইকেটটি তাঁর কাছে নতুন প্রেরণা। কাল অনুশীলনে কালো ব্যান্ড মাথায় নেটে বল করে গেলেন হয়তো নিজেকে আরেকটু শাণিয়ে নিতেই। সফরে এখনো উইকেটশূন্য মরনে মরকেলের স্মৃতিতেও চলে আসবে সেই ২০০৮-এর মিরপুর টেস্ট—প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে চার ম্যাচ খেলে আমলা এখনো কোনো অর্ধশত পাননি, এটা নিশ্চিত করেই কাঁটার মতো বিঁধছে। আর প্রোটিয়াদের কাছে এসবের যোগফল অবশ্যই রোমাঞ্চ জাগানিয়া, মানে শেষবারের মতো ফুঁসে ওঠার উপলক্ষ আরকি!
তাঁদের রোমাঞ্চে মুশফিকদের কিছু এসে যায় না। তাঁরা মগ্ন হয়ে আছেন পুরোনো স্মৃতিটাকে প্রোজ্জ্বল বর্তমানের নিচে মাটিচাপা দিতে। তাঁদের চোখে নতুন স্বপ্ন—টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠার কিংবা নতুন আত্ম-আবিষ্কারের। ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর প্রথম টেস্টের আধিপত্যে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে এরই মধ্যে একটা মানসিক জয় তো পাওয়া হয়েই গেছে। এই টেস্টে জয় হোক, আরেকবার দেয়ালে ওদের পিঠ ঠেকিয়ে ড্র—সবই হবে এগিয়ে যাওয়ার আরেকটি উজ্জ্বল সিঁড়ি। স্টেইনের মতো অত বড় মাইলফলক না হোক, একটি ব্যক্তিগত মাইলফলক বাংলাদেশের একজনের সামনেও আছে। আর তিন উইকেট হলেই ১৫০ উইকেট হয়ে যাবে সাকিব আল হাসানের। ১৩ টেস্টে ৪৪ উইকেট—মিরপুরে প্রতি টেস্টেই গড়ে তিনের বেশি উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটশিকারি বোলার। এই টেস্টে সাকিবের ঝাঁপিতে তিন উইকেট তো উঠতেই পারে।
তবে বাংলাদেশের চোখে ব্যক্তিগত এই প্রাপ্তির চেয়ে আরেকটি গৌরবময় দলীয় অর্জনই নিশ্চয় আলো ছড়াচ্ছে। কাল সেই আলোর রেখাই দেখা গেল মুশফিকদের চোখে।
মাঠ পাড়ি দিয়ে চলেই যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ইনডোরে নেট করে ফেরা বাংলাদেশ অধিনায়ককে পিছু ডাকলেন তিনজন। তা আট বছর ধরে নিবিড়ভাবে চেনা (সত্যিই কি?) উইকেটকে নতুন করে দেখার কী আছে! তবু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন। সঙ্গে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার। পাঁচ-ছয় দিন পর উইকেটটা যে মাত্রই ৪৮ ঘণ্টা হলো ঘোমটা খুলেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল স্টেডিয়ামে ঢুকেই চোখ রাখল দূরের উইকেটে। ইনডোরে যাওয়ার পথে আরও কাছাকাছি গিয়ে।
সত্যিটা বললে উইকেট নয়, সবার সর্বক্ষণ চোখ রাখা উচিত আকাশের দিকে। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টটাকে গিলে খেয়ে, ঢাকায় দুদিন ধরে বৃষ্টি ঝরিয়ে এই আকাশই যে এ পর্যন্ত ‘নায়ক’! তো কাল দুপুর পর্যন্তও আকাশে ছিল ঝকঝকে রোদ। নীলের কোলে কোলে পেঁজা তুলোর মতো সাদা মেঘ। তিন দিন ধরে বৃষ্টি শেষ বিকেলে ঝরে পড়ার একটা প্যাটার্ন তৈরি করেছে। সেটাই হোক। সারা দিন ক্রিকেটের পর রাতে যত খুশি সে ঝরুক। অনেক আকর্ষণ নিয়ে আজ শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টের জন্য দর্শকেরও যে অধীর অপেক্ষা।
প্রথম টেস্ট সামর্থ্য আর সম্ভাবনার যুগলবন্দী একটা স্বপ্ন এঁকে হঠাৎই ডুব দিয়েছে বৃষ্টির তলে। মিরপুরে একাদশে সম্ভাব্য একটি পরিবর্তন এনে বাংলাদেশ সেই স্বপ্নটাকে ফিরে পেতে চায়। সেই স্বপ্ন থেকে গড়তে চায় টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের গৌরবসৌধ। সেটি কী, সবারই জানা। মুশফিকুর রহিম কাল যেমন আত্মবিশ্বাসজাত আকাঙ্ক্ষাটাকে তুলে নিলেন সর্বোচ্চ চূড়ায়, ‘১-০ ব্যবধানে সিরিজ আমরা জিততেও পারি।’ মুশফিক জানেন, জানেন তাঁর সব সহ-খেলোয়াড়, টেস্টের এক নম্বর দলটির বিপক্ষে এ এক কষ্ট-কল্পনা। তারা অভিজ্ঞতার সবটুকু ঢেলে, আগ্রাসনের চূড়ান্ত সীমায় উঠে ঝাঁপিয়ে পড়বে। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়টা যে তাদের কাছে রোজনামচার মতো। তারপরও ওয়ানডে সিরিজ জিতে বিবর্তিত বাংলাদেশ দল টেস্ট জয়েরও স্বপ্ন দেখতে পারছে। সেটি ওই মানসিক শক্তির কারণেই।
দক্ষিণ আফ্রিকা জানে, বাংলাদেশের মানসিক শক্তিটা পারদস্তম্ভের মাপে বেশ ওপরে। র্যাঙ্কিংয়ের নয়ে থাকা প্রতিপক্ষকেও তাই বেশ সমীহ। কিন্তু কে না জানে, সেই সমীহর চাদরের নিচে রয়েছে অহং। এটি ‘অবশ্যই জিততে হবে ম্যাচ’ কি না, পরিষ্কার করেননি হাশিম আমলা, সেটি করার দরকারই বা কী! এই একটি বাক্যেই যে বলা হয়ে যায় সবকিছু, ‘অবশ্যই আমরা এখানে জিততে এসেছি।’ দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক বাড়তি একটি শব্দ ব্যবহার করেছেন বার কয়েক, ‘রোমাঞ্চিত। দলের সবাই “রোমাঞ্চিত”, আবহাওয়ার উন্নতি দেখে “আমরা রোমাঞ্চিত”।’ একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচের অপেক্ষায় দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক।
রোমাঞ্চ শব্দটি মিরপুর স্টেডিয়ামের সঙ্গে বেশ যায়। ফিরে যদি দেখা যায়, এখানে সর্বশেষ বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টটিকে, প্রথমে রোমাঞ্চ জাগিয়ে শেষটায় বাংলাদেশেরই ছিল অশ্রুত হাহাকার। শাহাদাত হোসেনের ২৭ রানে ৬ উইকেট তুলে নেওয়া আগুন ঝরানো বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সেই ম্যাচটা সিংহের দাপটে বের করে নিয়েছিলেন স্মিথ, আমলা, ডি ভিলিয়ার্স, ক্যালিস, মরকেল, স্টেইন। স্মিথ-ক্যালিস অবসরে, ডি ভিলিয়ার্স নেই—এই দলে সেই স্মৃতি বয়ে এনেছেন শুধু আমলা, স্টেইন ও মরকেল।
প্রতিটি দিনের সূর্যই যেমন নতুন একটা দিন নিয়ে আসে, এই ম্যাচটিও নতুন। আরেকটি নতুন দিনে আমলাদের কাছে ভেসে উঠছে পুরোনো আকাঙ্ক্ষাই—জয়। চট্টগ্রাম টেস্টে উইকেটের ‘গন্ধ’ পেয়ে গেছেন ডেল স্টেইন। আর একটি পেলেই টেস্টের চার শ উইকেট ক্লাবের ত্রয়োদশ সদস্য হয়ে যাবেন। সেই উইকেটটি তাঁর কাছে নতুন প্রেরণা। কাল অনুশীলনে কালো ব্যান্ড মাথায় নেটে বল করে গেলেন হয়তো নিজেকে আরেকটু শাণিয়ে নিতেই। সফরে এখনো উইকেটশূন্য মরনে মরকেলের স্মৃতিতেও চলে আসবে সেই ২০০৮-এর মিরপুর টেস্ট—প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে চার ম্যাচ খেলে আমলা এখনো কোনো অর্ধশত পাননি, এটা নিশ্চিত করেই কাঁটার মতো বিঁধছে। আর প্রোটিয়াদের কাছে এসবের যোগফল অবশ্যই রোমাঞ্চ জাগানিয়া, মানে শেষবারের মতো ফুঁসে ওঠার উপলক্ষ আরকি!
তাঁদের রোমাঞ্চে মুশফিকদের কিছু এসে যায় না। তাঁরা মগ্ন হয়ে আছেন পুরোনো স্মৃতিটাকে প্রোজ্জ্বল বর্তমানের নিচে মাটিচাপা দিতে। তাঁদের চোখে নতুন স্বপ্ন—টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠার কিংবা নতুন আত্ম-আবিষ্কারের। ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর প্রথম টেস্টের আধিপত্যে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে এরই মধ্যে একটা মানসিক জয় তো পাওয়া হয়েই গেছে। এই টেস্টে জয় হোক, আরেকবার দেয়ালে ওদের পিঠ ঠেকিয়ে ড্র—সবই হবে এগিয়ে যাওয়ার আরেকটি উজ্জ্বল সিঁড়ি। স্টেইনের মতো অত বড় মাইলফলক না হোক, একটি ব্যক্তিগত মাইলফলক বাংলাদেশের একজনের সামনেও আছে। আর তিন উইকেট হলেই ১৫০ উইকেট হয়ে যাবে সাকিব আল হাসানের। ১৩ টেস্টে ৪৪ উইকেট—মিরপুরে প্রতি টেস্টেই গড়ে তিনের বেশি উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টেস্ট উইকেটশিকারি বোলার। এই টেস্টে সাকিবের ঝাঁপিতে তিন উইকেট তো উঠতেই পারে।
তবে বাংলাদেশের চোখে ব্যক্তিগত এই প্রাপ্তির চেয়ে আরেকটি গৌরবময় দলীয় অর্জনই নিশ্চয় আলো ছড়াচ্ছে। কাল সেই আলোর রেখাই দেখা গেল মুশফিকদের চোখে।
No comments