দুই বছর আগেই মারা যান মোল্লা ওমর
মোল্লা ওমর |
আফগানিস্তানে
তালেবান বাহিনীর প্রধান মোল্লা মোহাম্মদ ওমর দুই বছর আগে মারা গেছেন।
গতকাল বুধবার রাতে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার মুখপাত্র এ খবর নিশ্চিত করেন।
গতকালই এর আগে পরস্পরবিরোধী খবরে তালেবানের এই নেতার অবস্থা নিয়ে ব্যাপক
গুঞ্জন ছড়ায়। খবর বিবিসি, এএফপি ও গার্ডিয়ানের।
গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটির মুখপাত্র হাসিব সিদ্দিকী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘মোল্লা ওমর মৃত। তিনি ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে করাচির এক হাসপাতালে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মারা যান।’
হাসিব সিদ্দিকীর বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগে আফগান সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তাও বলেছিলেন, দুই বা তিন বছর আগে মোল্লা ওমরের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এর পরপরই আবার প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত না করে বলেন, মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
২০০১ সালে মার্কিন সামরিক অভিযানে তালেবান সরকারের পতনের পর থেকে মোল্লা ওমরকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তাঁর গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুর গুঞ্জন শোনা গেছে। তবে তালেবান কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি।
এর আগে মৃত্যুর খবর প্রথম প্রচারিত হওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণির মুখপাত্র সৈয়দ জাফর হাসেমি বলেছিলেন, ‘আমি যেটুকু বলতে পারি তা হলো, আমরা তাঁর মৃত্যুর খবর শুনেছি। আমরা এই খবরটাকে নিশ্চিত বা প্রত্যাখ্যান কোনোটাই করছি না। মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবর পুরোপুরি নিশ্চিত হলে গণমাধ্যম ও দেশবাসীকে জানিয়ে দেব।’
তখন তালেবানের মুখপাত্র কারি ইনসাফ আহমেদিকে উদ্ধৃত করে স্কাই নিউজ জানায়, মোল্লা ওমর জীবিত আছেন এবং এখনো দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সম্প্রতি তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। গত বছর নির্বাচিত আশরাফ গণি সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল। এ আলোচনার পেছনে মোল্লা ওমরের সমর্থন আছে বলে খবর প্রচারিত হয়েছিল।
মোল্লা ওমরের সঙ্গে আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এই সূত্র ধরে যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের টুইন টাওয়ার হামলার পর মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে অভিযান চালায়। এরপর থেকেই ওমর পালিয়ে ছিলেন।
তালেবান সূত্র অনুযায়ী, মোল্লা ওমরের জন্ম ১৯৬০ সালে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের চাহ-ই-হিম্মত গ্রামে। তিনি গত শতকের আশির দশকে দেশটিতে সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হন এবং যুদ্ধের সময় তাঁর ডান চোখে আঘাত পান। ১৯৯৬ সালে তিনি তালেবানের শীর্ষ নেতা হন। আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সৈন্য চলে যাওয়ার পর দেশটিতে বিবদমান গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে গৃহযুদ্ধে তালেবান বাহিনী মোল্লা ওমরের নেতৃত্বেই জয়ী হয়। গত কয়েক বছর ধরে তালেবানের পক্ষ থেকে যেসব বার্তা পাঠানো হয় বা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়, এর সবই এই পলাতক নেতার নামেই দেওয়া হয়। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওমরের নামে দেওয়া সর্বশেষ এক বিবৃতিতে তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের শান্তি আলোচনায় সমর্থন দেওয়া হয়। তবে এবারের তালেবানের ওয়েবসাইটে ওমরের নামে লিখিত বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনো অডিও বা ভিডিও প্রকাশ করা হয়নি। আর এর ফলেই ওমর মারা গেছেন, এমন গুঞ্জন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটির মুখপাত্র হাসিব সিদ্দিকী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘মোল্লা ওমর মৃত। তিনি ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে করাচির এক হাসপাতালে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মারা যান।’
হাসিব সিদ্দিকীর বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগে আফগান সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তাও বলেছিলেন, দুই বা তিন বছর আগে মোল্লা ওমরের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এর পরপরই আবার প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত না করে বলেন, মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
২০০১ সালে মার্কিন সামরিক অভিযানে তালেবান সরকারের পতনের পর থেকে মোল্লা ওমরকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তাঁর গুরুতর অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুর গুঞ্জন শোনা গেছে। তবে তালেবান কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি।
এর আগে মৃত্যুর খবর প্রথম প্রচারিত হওয়ার পরপরই প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণির মুখপাত্র সৈয়দ জাফর হাসেমি বলেছিলেন, ‘আমি যেটুকু বলতে পারি তা হলো, আমরা তাঁর মৃত্যুর খবর শুনেছি। আমরা এই খবরটাকে নিশ্চিত বা প্রত্যাখ্যান কোনোটাই করছি না। মোল্লা ওমরের মৃত্যুর খবর পুরোপুরি নিশ্চিত হলে গণমাধ্যম ও দেশবাসীকে জানিয়ে দেব।’
তখন তালেবানের মুখপাত্র কারি ইনসাফ আহমেদিকে উদ্ধৃত করে স্কাই নিউজ জানায়, মোল্লা ওমর জীবিত আছেন এবং এখনো দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সম্প্রতি তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। গত বছর নির্বাচিত আশরাফ গণি সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছিল। এ আলোচনার পেছনে মোল্লা ওমরের সমর্থন আছে বলে খবর প্রচারিত হয়েছিল।
মোল্লা ওমরের সঙ্গে আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এই সূত্র ধরে যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের টুইন টাওয়ার হামলার পর মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তানে অভিযান চালায়। এরপর থেকেই ওমর পালিয়ে ছিলেন।
তালেবান সূত্র অনুযায়ী, মোল্লা ওমরের জন্ম ১৯৬০ সালে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের চাহ-ই-হিম্মত গ্রামে। তিনি গত শতকের আশির দশকে দেশটিতে সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হন এবং যুদ্ধের সময় তাঁর ডান চোখে আঘাত পান। ১৯৯৬ সালে তিনি তালেবানের শীর্ষ নেতা হন। আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সৈন্য চলে যাওয়ার পর দেশটিতে বিবদমান গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে গৃহযুদ্ধে তালেবান বাহিনী মোল্লা ওমরের নেতৃত্বেই জয়ী হয়। গত কয়েক বছর ধরে তালেবানের পক্ষ থেকে যেসব বার্তা পাঠানো হয় বা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়, এর সবই এই পলাতক নেতার নামেই দেওয়া হয়। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওমরের নামে দেওয়া সর্বশেষ এক বিবৃতিতে তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের শান্তি আলোচনায় সমর্থন দেওয়া হয়। তবে এবারের তালেবানের ওয়েবসাইটে ওমরের নামে লিখিত বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনো অডিও বা ভিডিও প্রকাশ করা হয়নি। আর এর ফলেই ওমর মারা গেছেন, এমন গুঞ্জন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
No comments